بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
জবাব,
https://ifatwa.info/24275/নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, অমুসলিম
ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিৎসা গ্রহণ নাজায়েয নয়। হ্যা, উত্তম হল, মুসলিম ডাক্তারের নিকট থেকে চিকিৎসা গ্রহণ
করা। যেহেতু লকডাউনের কারণে আপনি অমুসলিম ডাক্তার ব্যতিত এই মুহুর্তে ভালো কোনো ডাক্তার
পাবেন না, তাই আপনার উচিৎ উক্ত হিন্দু
ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া। হ্যা অবশ্যই পূর্ণ হিজাব পরে যাবেন।
আবেদীন
শামী রাহ, এর নিম্নোক্ত আলোচনা অতিলক্ষণীয়.................
إذا كان
المرض في سائر بدنها غير الفرج يجوز النظر إليه عند الدواء، لأنه موضع ضرورة، وإن
كان في موضع الفرج، فينبغي أن يعلم امرأة تداويها فإن لم توجد وخافوا عليها أن
تهلك أو يصيبها وجع لا تحتمله يستروا منها كل شيء إلا موضع العلة ثم يداويها الرجل
ويغض بصره ما استطاع إلا عن موضع الجرح اهـ فتأمل والظاهر أن " ينبغي "
هنا للوجوب
যদি কোনো
মহিলার স্ত্রী লিঙ্গ ব্যতীত সমস্ত শরীরে রোগ হয়ে যায়, তাহলে পুরুষ ডাক্তারের জন্য উক্ত মহিলার
সমস্ত শরীরে দৃষ্টি দেয়া জায়েয আছে।কেননা তখন চিকিৎসার স্বার্থে দেখাটা অতি প্রয়োজনীয়
হয়ে যায়।আর যদি রোগ স্ত্রী লিঙ্গে(লজ্জাস্থানে) থাকে,তখন ওয়াজিব হয়ে যায়, কোনো মহিলাকে ডাক্তারি শিক্ষা দেওয়া, যে মহিলা পরবর্তিতে উক্ত মহিলার চিকিৎসা
করবে।কিন্তু যদি কোনো মহিলা না পাওয়া যায় বা দেরী হলে উক্ত মহিলার রোগ বেড়ে যাবে বা
মহিলা মারা যাবে,তখন রোগাক্রান্ত
লজ্জাস্থান ব্যতীত উক্ত মহিলার সমস্ত শরীর ঢেকে দেওয়া হবে,অতঃপর পুরুষ ডাক্তার উক্ত মহিলার রোগাক্রান্ত লজ্জাস্থানের
চিকিৎসা করবে।তবে চিকিৎসা করার সময় রোগাক্রান্ত স্থান ব্যতীত অন্যান্য সমস্ত অঙ্গ থেকে
নিজ চক্ষুকে হেফাজত করবে।(রদ্দুল মুহতার;৬/৩৭০--৩৭১)
**মহিলাদের চিকিৎসার জন্য অমুসলিম মহিলা ডাক্তারের কাছে যাওয়া নিষেধ নয়। তবে
মুসলিম মহিলা ডাক্তারের কাছে যাওয়া উত্তম। (সারাখসী, আল-মাবসূত ১০/১৫৬ ; কাসানী, বাদাই ৫/১২২)
‘ইসলামী
ফিকাহ একাডেমি’ থেকে একটি সিদ্ধান্তে এ বিষয়ে বলা হয়েছে, তাতে রয়েছে-
الأصل أنه إذا توافرت طبيبة متخصصة يجب أن تقوم بالكشف على المريضة ، وإذا
لم يتوافر ذلك فتقوم بذلك طبيبة غير مسلمة ثقة ، فإن لم يتوافر ذلك يقوم به طبيب
مسلم ، وإن لم يتوافر طبيب مسلم يمكن أن يقوم مقامه طبيب غير مسلم ، على أن يطّلع
من جسم المرأة على قدر الحاجة في تشخيص المرض ومداواته وألا يزيد عن ذلك وأن يغض
الطرف قدر استطاعته ، وأن تتم معالجة الطبيب للمرأة هذه بحضور محرم أو زوج أو
امرأة ثقة خشية الخلوة
শরিয়তের
মূল বিধান হচ্ছে- বিশেষজ্ঞ মহিলা ডাক্তার মহিলা রোগীর চেক-আপ করবেন। যদি মুসলিম মহিলা
ডাক্তার না পাওয়া যায় তাহলে বিশ্বস্ত অমুসলিম মহিলা ডাক্তার মহিলা রোগীর চেক-আপ করবেন।
যদি অমুসলিম মহিলা ডাক্তারও না পাওয়া যায় তাহলে মুসলিম পুরুষ ডাক্তার মহিলা রোগীর চেক-আপ
করবেন। যদি মুসলিম ডাক্তারও না পাওয়া যায় তাহলে অমুসলিম পুরুষ ডাক্তার সে দায়িত্ব পালন
করবেন। তবে শর্ত হল, পুরুষ ডাক্তার
রোগিনীর শরীরের ততটুকু দেখবেন যতটুকু দেখা রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার স্বার্থে প্রয়োজন; এর বেশি দেখবে না এবং সাধ্যমত দৃষ্টি অবনত
রাখবে। পুরুষ ডাক্তারকে রোগিনীর চিকিৎসা করতে হবে রোগিনীর মাহরাম কিংবা স্বামী কিংবা
কোন বিশ্বস্ত নারীর উপস্থিতিতে; যাতে করে নিষিদ্ধ নির্জনবাস না ঘটে। (একাডেমীর জার্নাল থেকে
সংকলিত ৮/১/৪৯)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি
বোন!
অমুসলিম
ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিৎসা গ্রহণ নাজায়েয নয়। হ্যা, উত্তম হল মুসলিম ডাক্তারের নিকট থেকে চিকিৎসা গ্রহণ
করা। সুতরাং
প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে যদি নরমাল ডেলিভারির জন্য কোন মুসলিম নারী ডাক্তার না পান
তাহলে আপনার জন্য হিন্দু মহিলা ডাক্তারের নিকট চিকিৎসা (ডেলিভারি করা) করা জায়েয
হবে ইশাআল্লাহ।