আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
118 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (34 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু

আমার ৩ টা প্রশ্ন ছিলো।

আমার অনেক এলার্জির সমস্যা,, মুখেও
আমার একজন পার্সোনাল ডক্টর আছে,,,যদিও উনার বয়স আমার দাদার বয়স এর সমান।যখন আমি বেদিন ছিলাম।তখন কোনো সমস্যা ছিলো না।

কিন্তু এখন আমি পর্দা করার চেষ্টা করি আলহামদুলিল্লাহ।

আমার কিছুদিন পর পর ডক্টর এর কাছে যেতে হয়।আমি পরিপূর্ণ পর্দা মেইনটেন করে যাই কিন্তু চ্যাম্বারে আমার মুখ খুলতে হয়।

আমার এলার্জির অবস্থা দেখার জন্য।

এখন আমি কি করতে পারি?

আরেকটা প্রশ্ন হচ্ছে,,,

আমাদের এলাকায় অনেক দেরিতে আজান দেওয়া হয়।মাগরিব এর নামায এর সময় কম থাকে,,আমি মুসলিম অ্যাপস ইউজ করি,,,এখন আমি কি অ্যাপস দেখে রোজা ভেঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবো?

আরেকটা হচ্ছে,,শুনেছি মডার্ন বোরকা জায়েজ নেই।কিন্তু যদি সিম্পল বোরকা পড়ি,,,কিন্তু কালারফুল যেমন-কালো,গোলাপি,বেগুনি ইত্যাদি তাহলে কি সমস্যা হবে?

এই প্রশ্ন গুলো উত্তর জানাবেন উস্তাদ।

জাযাকাল্লাহু খইরন।

1 Answer

0 votes
by (682,400 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
https://ifatwa.info/7711/ ফতোয়াতে উল্লেখ করা হয়েছেঃ  
শরীয়তের মূলনীতি হল, পুরুষ যাবে পুরুষ ডাক্তারের কাছে, মহিলা যাবে মহিলা ডাক্তারের কাছে। যদি পুরুষ ডাক্তার পাওয়া না যায়, তাহলে মহিলা ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে পারবে। অনুরূপভাবে মহিলার জন্যও যদি মহিলা ডাক্তার না পাওয়া না যায়, তাহলে পুরুষ ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে পারবে। (সারাখসী, আল-মাবসূত ১০/১৫৬ ; কাসানী,বাদাই ৫/১২২)


হযরত আনাস ইবনু মালিক রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

كان رسول الله ﷺ يغزو بأم سليم ونسوة من الأنصار معه إذا غزا فيسقين الماء ويداوين الجرحى

রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন অভিযানে বের হতেন তখন তিনি উম্মু সুলাইম রাযি. ও কিছু আনসারী মহিলাকে সাথে নিয়ে যেতেন। তাঁরা পানি পরিবেশন করতেন এবং আহতদের চিকিৎসা করতেন। (মুসলিম ১৮১০)

এ হাদীসের ব্যাখ্যায় ইমাম নববী রহ. বলেন,

وهذه المداواة لمحارمهن وأزواجهن ، وما كان منها لغيرهم لا يكون فيه مس بشرة إلا في موضع الحاجة

এ হাদীস থেকে জানা যায় যে, যুদ্ধক্ষেত্রের উদ্দেশ্যে মেয়েদের বের হওয়া এবং পানি পরিবেশন ও চিকিৎসা প্রভৃতি কাজে তাদেরকে খাটানো জায়িয। তারা মাহরাম ও স্বামীদের চিকিৎসা ও সেবা করবে। অন্যদেরও সাধারণভাবে স্পর্শ করা ছাড়া চিকিৎসা করতে পারবে; তদুপরি জরুরতের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় স্থান স্পর্শ করতেও কোন অসুবিধা নেই। (নববী, শরহু মুসলিম, পৃ ৫১১)

ইবনু হাজার আসকালানী রহ. বলেন,

فيه جواز معالجة المرأة الأجنبية الرجل الأجنبي للضرورة

এ হাদীস থেকে জানা যায় যে, প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে মহিলার জন্য বেগানা পুরুষের চিকিৎসা করা জায়িয হবে।  (ইবনে হাজার, ফাতহুল বারী ৬/৮০)

আরো জানুনঃ 
,
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু এই বিষয়ে অনেক অভিজ্ঞ  মহিলা ডাক্তার রয়েছে , তাই প্রশ্নে উল্লেখিত পুরুষ ডাক্তারকে দেখানো জায়েজ হবেনা।    

হ্যাঁ যদি আপনারা কোনো অভিজ্ঞ মহিলা ডাক্তার খুজে না পান,সেক্ষেত্রে সেই অভিজ্ঞ পুরুষ ডাক্তারকে বিশেষ প্রয়োজন বশত দেখাতে পারবেন।      

★★উল্লেখ্য যে,উল্লেখিত ডাক্তারের বয়স যদি অনেক বেশি হয়,যৌন শক্তিহীন এমন বৃদ্ধ হয়, যার মাঝে মহিলাদের প্রতি কোন আকর্ষণ নেই আবার মহিলাদেরও তার প্রতি কোন আকর্ষণ নেই।
তাহলে তার সামনে আপনি দেখা করতে পারবেন,সমস্যা নেই।

(০২)
যদি তাহা দেশের নির্ভরযোগ্য ক্যালেন্ডার ইসলামীক ফাউন্ডেশন অনুযায়ী হয়,তাহলে  নিজ জেলার সময় দেখে আপনি নামাজ রোযা আদায় করতে পারবেন।

(০৩)
জায়েজ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...