আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
197 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (100 points)
reshown by
আমার গত ৭মাস  ধরে অনিয়মিত মাসিক হচ্ছে। আবার মে/জুন মাস থেকে ১৫ দিন পর পর মাসিক তো হচ্ছিল,আবার মাসিক শেষ হওয়ার ১৫ দিন পার হওয়ার আগেই রক্ত বের হচ্ছিল দেখে ইস্তিহাজা ধরে নামায আদায় করছিলাম। গত মাসে আবারো দুই মাসিকের মধ্যবর্তী ১৫ দিন অতিক্রান্ত আগেই রক্ত বের হওয়া শুরু হলে ইস্তিহাজা ধরে নামায শুরু করি কিন্তু আমার প্রচুর পেট ব্যথা হচ্ছিল যেমনটা মাসিকের শুরুতে আমার হয়ে থাকে।

আজ ২৩ তম দিন চলছে,এর মাঝে মাত্র ২ দিন রক্ত বের হওয়া বন্ধ ছিল,তা বাদে বাকি ২১ দিন রক্ত বেরোচ্ছে। এর মধ্যে ১০ দিন আমি হায়েজ হিসেবে নামায রোজা কুরআন  থেকে বিরত থাকি, কিন্তু সেই ১০ দিন ও অতিক্রম হয়ে আবারো ইস্তিহাজাএ হিসাব শুরু হয়ে যায় আর আমি ওভাবেই নামায আর কুরআন পড়া শুরু করি।

মাঝে ২ দিন বিরতি দিয়ে গত ২ তারিখ থেকে,অর্থাৎ এই ৪ দিন ধরে আবারো রক্ত বেরোচ্ছে এবং সাথে একটানা পেট ব্যথা করছে যেমন ব্যথা মাসিকের সময় হয়,কিন্তু ইস্তিহাযা হিসেবে নামায কুরআন পড়তেছি।

আমার একটানা ব্যথা হচ্ছে,সেই ব্যথা নিয়েই আমি নামায পড়তেছি,রাতে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতেছে এই ব্যাথার কারণে।
২৩ দিন ধরে এমন রক্ত আর ব্যথা আমাকে মানসিকভাবে ও অসুস্থ বানিয়ে দিচ্ছে আর সাথে ব্যথার কারণে শারীরিক কষ্ট তো আছেই, নামাযরত অবস্থায় ও ব্যথাটা আমার মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।

৭ মাস ধরে এই অনিয়ম,আমি আশঙ্কা করছি কোনো একটা সমস্যা হয়েছে আমার শরীরে, এখন ব্যথাটা মাত্রাতিরিক্ত হয়ে যাচ্ছে তাই ডাক্তার দেখানো আবশ্যক।

লকডাউনের কারণে যেকোনো জায়গায় যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না,আর অন্য কোনো ডাক্তারকেও চেনা নাই,যেই ডাক্তারটার কাছে যাওয়া লাগবে তিনি হিন্দু।
আমি জানি অমুসলিম নারীদের সামনেও পর্দা করতে হয়,আমি এটা কঠোরভাবে মানতে বদ্ধপরিকর।

কিন্তু এখন যখন শুনলাম যে ডাক্তার মহিলাটি হিন্দু,আমি আবারো মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছি। এই টানা ব্যথা নিয়ে আমি খুব কষ্ট পাচ্ছি,৭ মাস ধরে এই অনিয়ম আমাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে দিচ্ছে।

গাইনোকলজিস্টের কাছে যেতে হলে সতর তো খুলা লাগবে চিকিৎসার খাতিরে।

এখন এই ইমার্জেন্সিতে কি আমার জন্য হিন্দু মহিলা ডাক্তার দেখানো  জায়েজ হবে?

আরেকজন চেনা ডাক্তার আছে যার কাছে একইরকম সমস্যা নিয়ে আমার বোন আগে তার কাছে যেত কিন্তু কোনোরকম উন্নতি না হওয়ায় উনার কাছে যাওয়া বাদ দেওয়া লাগছে।

প্লিজ আমাকে জানান জায়েজ হবে কিনা

1 Answer

0 votes
by (713,840 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
অমুসলিম ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিৎসা গ্রহণ নাজায়েয নয়। হ্যা, উত্তম হল, মুসলিম ডাক্তারের নিকট থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করা। যেহেতু লকডাউনের কারণে আপনি অমুসলিম ডাক্তার ব্যতিত এই মুহুর্তে ভালো কোনো ডাক্তার পাবেন না, তাই আপনার উচিৎ উক্ত হিন্দু ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া। হ্যা অবশ্যই পূর্ণ হিজাব পরে যাবেন। 

https://www.ifatwa.info/3716 নং ফাতাওয়ায়ে আমরা বলেছি যে, 
আবেদীন শামী রাহ, এর নিম্নোক্ত আলোচনা অতিলক্ষণীয়................. 
إذا كان المرض في سائر بدنها غير الفرج يجوز النظر إليه عند الدواء، لأنه موضع ضرورة، وإن كان في موضع الفرج، فينبغي أن يعلم امرأة تداويها فإن لم توجد وخافوا عليها أن تهلك أو يصيبها وجع لا تحتمله يستروا منها كل شيء إلا موضع العلة ثم يداويها الرجل ويغض بصره ما استطاع إلا عن موضع الجرح اهـ فتأمل والظاهر أن " ينبغي " هنا للوجوب
যদি কোনো মহিলার স্ত্রী লিঙ্গ ব্যতীত সমস্ত শরীরে রোগ হয়ে যায়, তাহলে পুরুষ ডাক্তারের জন্য উক্ত মহিলার সমস্ত শরীরে দৃষ্টি দেয়া জায়েয আছে।কেননা তখন চিকিৎসার স্বার্থে দেখাটা অতি প্রয়োজনীয় হয়ে যায়।আর যদি রোগ স্ত্রী লিঙ্গে(লজ্জাস্থানে) থাকে,তখন ওয়াজিব হয়ে যায়, কোনো মহিলাকে ডাক্তারি শিক্ষা দেওয়া, যে মহিলা পরবর্তিতে উক্ত মহিলার চিকিৎসা করবে।কিন্তু যদি কোনো মহিলা না পাওয়া যায় বা দেরী হলে উক্ত মহিলার রোগ বেড়ে যাবে বা মহিলা মারা যাবে,তখন রোগাক্রান্ত লজ্জাস্থান ব্যতীত উক্ত মহিলার সমস্ত শরীর ঢেকে দেওয়া হবে,অতঃপর  পুরুষ ডাক্তার উক্ত মহিলার রোগাক্রান্ত লজ্জাস্থানের চিকিৎসা করবে।তবে চিকিৎসা করার সময় রোগাক্রান্ত স্থান ব্যতীত অন্যান্য সমস্ত অঙ্গ থেকে নিজ চক্ষুকে হেফাজত করবে।(রদ্দুল মুহতার;৬/৩৭০--৩৭১)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...