আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

–1 vote
158 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম আমার কয়েকটি প্রশ্ন ছিল এগুলোর উত্তর দিলে উপকৃত হব।

১.কারো নামের সাথে যদি মুহাম্মদ তথা নবীজীর নাম থাকে তাহলে তার নাম শুনলে কি দরূদ পড়তে হবে?

২.সকাল-সন্ধ্যার জিকির আমি পড়াশোনার সাথে করে ফেলি।এতে আমার পড়াশোনার ক্ষতি হয় না।কি আমার মায়ের আপত্তি।এখন পড়ার সময় জিকির করা জায়েজ হবে?

৩.আমি যেই স্কুলে পড়ি।সে স্কুলে অনেক কিশোর গ্যাং আছে।তারা অনেকেই জুলুম নির্যাতন করে সাধারণ ছাত্রদের।এখন আমি যদি প্রতিবাদের জন্য তাদের কাউকে আহত করি বা মেরে ফেলি তাহলে কি আমার সওয়াব হবে?

৪.অনেকে দেখি স্ত্রী পরকিয়া করায় স্ত্রীকে খুন করে। এভাবে আইন হাতে তুলে নেওয়া কি জায়েয?

৫.আমি আপনাদের একটি ফতোয়ায় দেখেছিলাম যে,তওবা করতে বিলম্ব করলে আরেকটি তওবা করতে হবে।কারণ বিলম্ব করলে গুণাহ হয়।এখন আমি যদি একসাথে সকল প্রকার গুণাহ অর্থাৎ ইসলামী শরিয়ত মতে যতগুলো কাজ গুণাহ সেগুলো থেকে একসাথে তওবা করি তাহলে কি বিলম্ব করার জন্য কি আবার তওবা করতে হবে নাকি মোবাইল যথেষ্ট?

৬.বাংলাদেশে হানাফী মাযহাব প্রচলিত।এখন কেউ যদি আহলে হাদীস বা অন্য মাযহাব মানে। তাহলে সে কি হকপন্থী হবে?

৭.বাংলাদেশে অনুসরণীয় কয়েকজন হক্বানি সালাফি আলেমদের নাম বললে ভালো হয়।যাতে সালাফিরা তাদের মানতে পারে। কারণ আমাদের দেশে বেশিরভাগ সালাফি আলেমগণ ভ্রান্ত কথা বলেন।

৮.অপ্রয়োজনে লাইট ফেন অন রাখা কি জায়েয?

জাযাকাল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আপনার প্রশ্নের জবাব প্রস্তুত হচ্ছে।ইনশাআল্লাহ অচিরেই জবাব পেয়ে যাবেন। ধর্য সহকারে অপেক্ষার জন্য আন্তরিক অভিবাদন। জাযাকুমুল্লাহ।

প্রথমে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোকে একটু মন দিয়ে পড়ার চেষ্টা করেন-
ফতোয়া আরবী শব্দ এবং কুরআন-সুন্নাহ ও ইসলামী শরীয়তের একটি মর্যাদাপূর্ণ পরিভাষা। বিস্তারিত আলোচনার পূর্বে ‘ফতোয়া’ সংক্রান্ত আরো কিছু শব্দের অর্থ জেনে নেওয়া আবশ্যক। যথা : ইস্তিফতা, মুসতাফতী, মুফতী, ইফতা ও দারুল ইফতা। কুরআন-সুন্নাহ ও দ্বীনী ইলমের মাহির আলিমের নিকট কোনো দ্বীনী বিষয়ে ইসলামী শরীয়তের বিধান জিজ্ঞাসা করাকে ‘ইস্তিফতা’ বলে। প্রশ্নকারীকে ‘মুস্তাফতী’ বা ‘সাইল’ বলে। বিশেষজ্ঞ আলিম শরীয়তের দলীলের আলোকে যে বিধান বর্ণনা করেন তাকে ‘ফতোয়া’ বলে। বিধান বর্ণনাকারী আলিমকে মুফতী এবং তার এই কাজ অর্থাৎ প্রশ্নকারীর প্রশ্নের উত্তরে শরীয়তের বিধান বর্ণনা করাকে ‘ইফতা’ বলে। যে প্রতিষ্ঠান এই দায়িত্ব পালন করে তাকে ‘দারুল ইফতা’ বলে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...