আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
79 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (2 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম

নিম্নোক্ত বিষয়গুলোকে পরিস্কার হলে আমার আইন পেশায় আসা বা না আসার সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হবে।

এখন যেহেতু বেশির ভাগ দেশেই ইসলামি আইনের প্রয়োগ নেই,সবই মানুষের তৈরি আইন। আর আপনারা পরামর্শ দিয়েছেন বিচারক পেশায় আসার জন্য।
আপনারা বলেছেন যে কুরআন সুন্নাহ এর উল্টো যায় এমন রায় দেওয়া যাবে না। আমাদের দেশের দন্ডবিধি আইন অনুযায়ী, রেপ এর শাস্তি ১০ বছর, চুরির শাস্তি ৩ বছর ইত্যাদি অনেক শান্তি আছে যেগুলো ইসলামি আইনে ভিন্ন। ইসলামে আছে  যেমন, চুরির শাস্তি হাত কেটে ফেলা, রেপ এর শাস্তি মৃত্যু দন্ড দেওয়া ইত্যাদি।
তাহলেতো বিচারক দেশীয় আইন অনুযায়ী বিচার করতে বাধ্য। তার ইচ্ছা থাকলেও চুরির শাস্তি হাত কেটে ফেলার আদেশ দিতে পারবে না।

 এমতাবস্থায় একজন বিচারকের উক্ত শাস্তি দেশীয় আইন অনুযায়ী দিলে সেটা কি কুরআন সুন্নাহ এর উল্টো রায় হবে?
আর যদি উল্টো হয় তাহলে একজন বিচারকতো কাফের, জালিম বা ফাসিক পর্যায়ে উপনীত হতে পারে! তারপরও জেনেশুনে কেন আইন পেশায় আসার পরামর্শ দিচ্ছেন??

যেহেতু আপনারা আইন পেশায় আসার পরামর্শ দিচ্ছেন সেহেতু এই পেশায় আসলে তো দেশীয় আইন অনুযায়ী বিচার করা লাগবে,যেটা ইসলামী আইন না।তাহলে এমতাবস্থায় একজন বিচারক এর করণীয় কী হবে??

আর এগুলো কুরআন সুন্নাহ এর উল্টো না হলে কোন বিষয় গুলো উল্টো হবে?? তা উদাহরণসহ ও কুরআন সুন্নাহর আলোকে বুঝিয়ে দিবেন।

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

 ﻭَﻣَﻦ ﻟَّﻢْ ﻳَﺤْﻜُﻢ ﺑِﻤَﺎ ﺃَﻧﺰَﻝَ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻓَﺄُﻭْﻟَـﺌِﻚَ ﻫُﻢُ ﺍﻟْﻔَﺎﺳِﻘُﻮﻥَ

যারা আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই পাপাচারী।(সূরা মায়েদাঃআয়াতঃ৪)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/623


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

আপনি বাংলাদেশে বসবাস করছেন, এখানকার ৯০ ভাগ মুসলিম জনসংখ্যা। আপনার মত এমন ব্যক্তি যার অন্তরে অন্ততপক্ষে এমন প্রশ্ন উদয় হয়েছে, যে আমার ফয়সালা কি কুরআন সুন্নাহ অনুযায়ী হচ্ছে।আমার জন্য আইন পেশায় জয়েন হওয়া কি জায়েয হবে?  এখন আপনি যদি আইন পেশায় না আসেন, তাহলে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী কেউ একজন এসে আপনার জায়গা দখল করে বসবে।অথবা স্বজাতীর এমন কোনো ভদ্রলোক জয়েন হবে, যেকিনা নিজের পেঠের প্রয়োজনে দেশকে বিক্রি করতেও দ্বিধাবোধ করবে না। ইসলামী র্রাষ্টের মৌলিক মূলনীতির একটি মূলনীতি হল, ইনসাফ কায়েম করা, সেই ব্যক্তি ইনসাফের কবর রচনা করবে। মাজলুমকে সাহায্য করার বদলে জালিমের পক্ষাবলম্বন করবে। অন্ততপক্ষে আপনার দ্বারা ইনসাফতো প্রতিষ্টা হবে। মাজলুমের সাহায্য হবে।

বিচারক যিনিই হবেন, উনাকে তো দেশীয় আইনেই বিচার করতে হবে।উনি একা তো আইনকে বদলাতে পারবেন।হ্যা, আইনকে বদলানোর চেষ্টা তিনি করতে পারেন।যেভাবে সমস্ত মুসলমানেন উপর আইনকে বদলানো ওয়াজিব।ঠিক ব্যক্তি হিসেবে উনার উপরও ওয়াজিব থাকবে। 

মজবুরির হালতে দেশীয় আইনে বিচার করার কারণে উনাকে একা ফাসিক জালিম আখ্যায়িত করা যাবে না।বরং পূর্ণ সমাজকেই এর দায়ভাড় নিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (715,680 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (2 points)
 জাযাকাল্লাহ খাইরান। আমি জবাবের অপেক্ষায় রইলাম, আশা করি খুব দ্রুতই জবাব পাবো। 
by (2 points)
আসসালামু আলাইকু, প্রিয় শায়েখ ও মুফতিগন। আমার জবাব এখনো পেলাম না,দয়া করে জানাবেন।  যদি জনসম্মুখে বলা অনুচিত তাহলে আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে জানানোর অনুরোধ রইলো। 
by (715,680 points)
জ্বী, আপনার জবাব দিচ্ছি।
by (715,680 points)
মোটামোটি জবাব দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। আপনার আর কোনো প্রশ্ন থাকলে বলতে পারেন
by (2 points)
জাযাকাল্লাহ খাইরান 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...