আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
329 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (31 points)
২৬ শে মার্চ, ২০২১ এ বায়তুল মুকাররম এ অনেক মুসলিম ভাই অবস্থান নিয়েছে। শেষে ওখানে দেখা যাই আগুন এর আঁচ। আমাকে এক হিন্দু ভাই বলে, ""এর জন্য দায়ী কে বা কারা?? কি মনে হয় তোর! মসজিদ ত পবিত্র জায়গা, এটাকে ব্যাবহার করা কি ঈমান এর মধ্যে পড়ে?""

এর উত্তরে আমি বললাম,

"প্রথমত দায় সরকারের। বায়তুল মুকাররম এ যারা দাড়িয়েছিল, তাদের মধ্যে অনেক উলামায়ে একরাম ছিল। তারা ইসলাম সম্পর্কে যা জানে তার ০.১%ও আমি জানিনা। মসজিদ রক্ষা করা ইমানের মধ্যে পড়ে। এটাকে ব্যবহার করে নাই। এইখানে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে শেষে। আল্লাহ ই ভালো জানেন।"

এখন হিন্দু ভাই টিকে কি উত্তর দিব? পবিত্র জায়গায় কি আন্দোলন করা ব্যাপারে। এটা কি জায়েজ না, নাজায়েজ?

1 Answer

0 votes
by (709,320 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
 عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا اتُّخِذَ الْفَىْءُ دُوَلاً وَالأَمَانَةُ مَغْنَمًا وَالزَّكَاةُ مَغْرَمًا وَتُعُلِّمَ لِغَيْرِ الدِّينِ وَأَطَاعَ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ وَعَقَّ أُمَّهُ وَأَدْنَى صَدِيقَهُ وَأَقْصَى أَبَاهُ وَظَهَرَتِ الأَصْوَاتُ فِي الْمَسَاجِدِ وَسَادَ الْقَبِيلَةَ فَاسِقُهُمْ وَكَانَ زَعِيمُ الْقَوْمِ أَرْذَلَهُمْ وَأُكْرِمَ الرَّجُلُ مَخَافَةَ شَرِّهِ وَظَهَرَتِ الْقَيْنَاتُ وَالْمَعَازِفُ وَشُرِبَتِ الْخُمُورُ وَلَعَنَ آخِرُ هَذِهِ الأُمَّةِ أَوَّلَهَا فَلْيَرْتَقِبُوا عِنْدَ ذَلِكَ رِيحًا حَمْرَاءَ وَزَلْزَلَةً وَخَسْفًا وَمَسْخًا وَقَذْفًا وَآيَاتٍ تَتَابَعُ كَنِظَامٍ بَالٍ قُطِعَ سِلْكُهُ فَتَتَابَعَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ . وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যখন গানীমাতের (যুদ্বলব্দ) মাল ব্যক্তিগত সম্পদে পরিণত হবে, আমানতের মাল লুটের মালে পরিণত হবে, যাকাতকে জরিমানা মনে করা হবে, ধর্ম বিবর্জিত শিক্ষার প্রচলন হবে, পুরুষ স্ত্রীর অনুগত হয়ে যাবে কিন্তু নিজ মায়ের অবাধ্য হবে, বন্ধু-বান্ধবকে কাছে টেনে নিবে, কিন্তু পিতাকে দূরে ঠেলে দিবে, মসজিদে কলরব ও হট্টগোল করবে, পাপাচারীরা গোত্রের নেতা হবে, নিকৃষ্ট লোক সমাজের কর্ণধার হবে, কোন মানুষের অনিষ্ট হতে বাঁচার জন্য তাকে সম্মান দেখানো হবে, গায়িকা-নর্তকী ও বাদ্য যন্ত্রের বিস্তার ঘটবে, মদপান করা হবে, এই উম্মাতের শেষ যামানার লোকেরা তাদের পূর্ববতী মনীষীদের অভিসম্পাত করবে, তখন তোমরা অগ্নিবায়ু, ভূমিধস, ভূমিকম্প, চেহারা বিকৃতি ও পাথর বর্ষণরূপ শাস্তির এবং আরো আলামতের অপেক্ষা করবে যা একের পর এক নিপতিত হতে থাকবে, যেমন পুরানো পুঁতিরমালা ছিড়ে গেলে একের পর এক তার পুঁতি ঝরে পড়তে থাকে। (জামে তিরমিযি-২২১১)যঈফ, মিশকাত (৫৪৫০)

আল্লামা হাসকফি রাহ বলেন,
وَيَحْرُمُ إدْخَالُ صِبْيَانٍ وَمَجَانِينَ حَيْثُ غَلَبَ تَنْجِيسُهُمْ وَإِلَّا فَيُكْرَهُ
বাচ্ছা,পাগল,যাদের ব্যাপারে নাজাসত আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল,তাদের জন্য মসজিদে প্রবেশ করা হারাম। এ ছাড়া অন্যান্যদের জন্য মসজিদে প্রবেশ করা মাকরুহে তানযিহি।

ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,
 (قَوْلُهُ وَيَحْرُمُ إلَخْ) لِمَا أَخْرَجَهُ الْمُنْذِرِيُّ " مَرْفُوعًا «جَنِّبُوا مَسَاجِدَكُمْ صِبْيَانَكُمْ وَمَجَانِينَكُمْ، وَبَيْعَكُمْ وَشِرَاءَكُمْ، وَرَفْعَ أَصْوَاتِكُمْ، وَسَلَّ سُيُوفِكُمْ، وَإِقَامَةَ حُدُودِكُمْ، وَجَمِّرُوهَا فِي الْجُمَعِ، وَاجْعَلُوا عَلَى أَبْوَابِهَا الْمَطَاهِرَ» " بَحْرٌ.
ইমাম মুনযিরি রাহ, রাসূলুল্লাহ সাঃ এর হাদীস উল্লেখ করে বলেন, তোমরা তোমাদের বাচ্ছাদেরকে এবং পাগলদেরকে  মসজিদ থেকে দূরে রাখো।মসজিদ থেকে ক্রয়-বিক্রয়কে দূরে রাখো।উচ্ছ আওয়াজকে মসজিদ থেকে দূরে রাখো।খোলা তরবারি এবং হদ কায়েম থেকে মসজিদকে দূরে রাখো।শুক্রবারে লোকদেরকে জমায়েত করো এবং মসজিদের দরজায় সুগন্ধি লাগিয়ে দাও(রদ্দুল মুহতার-১/৬৫৬)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মসজিদে শোরগোল করা ঠিক নয়। তবে দ্বীনের স্বার্থে মসজিদে কথা বলা যায়। আমাদের জানামতে মসজিদেরে ভিতর  কখনো মিছিল মিটিং হয়না। বাহিরে হয়ে থাকে। এবং ভিতরে আত্মরক্ষার জন্য যাওয়া হয়। মসাজিদের ভিতর আন্দোলন ও মিছিল মিটিং করা কখনো জায়েয হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...