আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
141 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু। আমার কয়েকটি প্রশ্ন ছিল এর উত্তর দিলে উপকৃত হব


১.আমি যদি কোন মুনাজাতে তওবা করি। তাহলে তওবা করার পর অন্য দোয়া পড়তে পারব?


২.ছেলেদের সতর নাভি থেকে টাকনুর উপর। তাহলে কোন ছেলে যদি খালি গায়ে নামাজ পড়ে তাহলে কি নামাজ হবে?


৩.কোন কাজ হালাল না হারাম তা বুঝতে পারছি না।এখন ওই কাজটি করা যাবে কি?


৪.নেক আমল ছেড়ে দিলে কি গুণাহ হবে?


৫.নামাজের পর বিভিন্ন আমল আছে যেমন আয়াতুল কুরসি পাঠ করা,ফালাক -নাস পাঠ করা। এগুলো কি আস্তে আস্তে অর্থাৎ একাকী নামাজে যেভাবে কিরাত পড়ে সেভাবে পড়া যাবে?এটা কি সবরকম তেলাওয়াত এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?


৬.রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নাম শুনলে দরুদ পড়তে হয়। আজানের সময় নবীজীর নাম শুনা যায়।তখনও কি দরুদ পড়তে হবে?


৭.আপনাদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন যে,ক্লাসে বসে কথা বলা,শিক্ষক না থাকলে বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকা পরিহার করা উচিত। বুঝলাম তবে এই কাজগুলো কি জায়েয না নাজায়েজ?

৮.মনের মধ্যে অনেক সময় হারাম বাদ্যযন্ত্র চলে।এতে কি আমার গুণাহ হবে?

৯.ছোটবেলায় কার্টুন দেখতাম। এছাড়াও নানা রকম হারাম কাজের স্মৃতি আছে। এগুলো মনে করলে কি গুণাহ হবে?

১০.কোন পরনারীর চিন্তা করা কি জায়েজ?

১১.মেয়েদের সাথে কথা বলা কি জায়েয?

জাযাকাল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
যদি কোন মুনাজাতে তওবা করা হয়। তাহলে তওবা করার পর অন্য দোয়া পড়া যাবে।এতে কোনো সমস্যা নেই।

(২)
ছেলেদের সতর নাভি থেকে টাকনুর উপর। এখন কোন ছেলে যদি খালি গায়ে নামাজ পড়ে তাহলে নামাজ ফাসিদ হবে না। তবে নামাযে সুন্দর্য্য গ্রহণ করা সুন্নত।
এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
 خذوا زينتكم عند كل مسجد 
অর্থাৎ প্রত্যেক নামাযের সময় সুন্দর পোশাক - পরিচ্ছদ গ্রহণ কর। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/5745

তাই সতর ঢাকার পর খালি গায়ে নামায পড়া মাকরুহে তানযিহি।

(৩)
কোনো একটি কাজ হালাল না হারাম? সে সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা না থাকলে, সেই কাজকে পরিত্যাগ করাই শ্রেয়।

(৪)
না, গোনাহ হবে।শুধুমাত্র হারাম বা নাজায়েয কাজ করলেই গোনাহ হবে।

(৫)
উচ্ছস্বরে বা নিম্নস্বরে যেকোনো ভাবে পড়া যাবে, যেহেতু এগুলোকে দু'আ হিসেবে পড়া হয়, তাই নিম্নস্বরে পড়াই উত্তম।কেননা দু'আর মধ্যে উত্তম হল, নিম্নস্বরে পড়া।

আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ادْعُوا رَبَّكُمْ تَضَرُّعًا وَخُفْيَةً ۚ إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ
তোমরা স্বীয় প্রতিপালককে ডাক, কাকুতি-মিনতি করে এবং সংগোপনে। তিনি সীমা অতিক্রমকারীদেরকে পছন্দ করেন না।(সূরা আ'রাফ-৫৫)

(৬)
আজানের সময় নবীজির নাম শুনলে তখনো দরুদ পড়তে হবে।পাশাপাশি আজানের জবাবও দিতে হবে।

(৭)
সকল বিষয়ে জায়েয নাজায়েযের বিধান স্পষ্টভাবে আসবে না। অনুচিৎ এর অর্থই হল, কাজটি মূলত জায়েয।কেননা হারাম হওয়ার যথেষ্ট দলীল নেই, তবে প্রতিষ্টানের নিয়ম ও সার্বজনীন পরিস্থিতি বিবেচনায় কাজটি অনুচিৎ। প্রতিষ্টানিক নিয়মকে রক্ষা করা প্রত্যেকের উপর ওয়াজিব।

(৮)
অনিচ্ছাকৃত হলে গোনাহ হবে না।তবে ইচ্ছাকৃত হলে অবশ্যই গোনাহ হবে।

(৯)
না, গোনাহ হবে না।

(১০)
কোনো পরনারীর চিন্তা করা জায়েয হবে না।

(১১)
জরুরত ব্যতিত মেয়েদের সাথে কথা বলা জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...