আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
143 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। আমার কিছু প্রশ্ন ছিল। এগুলোর উত্তর দিলে উপকৃত হব।

১. আল্লাহ কে মাবুদ ও মাওলা ডাকা যাবে?

২.সালাতুত তওবার নামাজ হল তওবার জন্য।এই নামাজটিকে নিয়মিত আমল হিসেবে করা যাবে?

৩.কোন পাপ না করেও শুধু নিয়মিতভাবে তওবা করা যাবে?

৪.আমার পাঠ্যবইয়ে বিয়ে শব্দ পেলে ওই শব্দটা আমার কোন বন্ধুকে দেখিয়ে। এমনিতেই একটু মজা করি।এটা কি জায়েয?

৫. জুমার ফরজ নামাজ বা যোহরের ফরয নামাযের পর পর যে
সুন্নত পড়া হয় ওটা কি সুন্নাতে মুয়াক্বাদা নাকি সুন্নাতে যায়িদা?

৬.কোন ফাসিক ব্যাক্তির জন্য মাগফিরাতের দুআ করা কি জায়েজ?

জাযাকাল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
আল্লাহ তায়ালে কে মাবুদ ও মাওলা ডাকা যাবে।

(০২)
হ্যাঁ, এই নামাজটিকে নিয়মিত আদায় করা যাবে।

(০৩)
হ্যাঁ,এভাবে নিয়মিত ভাবে তওবা করা যাবে।

(০৪)
জায়েজ আছে।
কোনো যৌন কামনা চলে আসে,এমন বাক্য বলা যাবেনা।
কোনো নারীকে নিকে কুচিন্তা করা যাবেনা।

(০৫)
জুম'আর ফরজ নামাজ বা যোহরের ফরয নামাযের পর পর যে সুন্নত পড়া হয় সেটা সুন্নাতে মুয়াক্বাদা।

রাসূলুল্লাহ ﷺ-পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামাজের পূর্বে ও পরে এই বার রাকাত সুন্নত নামাজ নিয়মিত আদায় করতেন, বিশেষ কোন কারণ ছাড়া তা ত্যাগ করতেন না। এই জন্য এই বার রাকাত সুন্নতকে সুন্নাতে মুআক্কাদা বলা হয়। এই বার রাকাত সুন্নত সালাতের অনেক বড় ফযীলত রয়েছে। 

হাদিস শরিফে এসেছে,


عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ ثَابَرَ عَلَى اثْنَتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً بَنَى اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ، أَرْبَعًا قَبْلَ الظُّهْرِ وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الظُّهْرِ، وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْمَغْرِبِ، وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعِشَاءِ، وَرَكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْفَجْرِ

আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি দিবা-রাত্র বার রাকাত (সুন্নাতে মুআক্কাদা) আদায়ে অভ্যস্ত হয়ে যায় আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানিয়ে রাখেন। চার রাকাত জোহরের ফরয নামাযের পূর্বে এবং দু’রাকাত জোহরের ফরয নামাজের পরে, দু’রাকাত মাগরিবের ফরয নামাজের পরে, দু’রাকআত ইশার ফরয নামাজের পরে এবং দু’রাকআত ফজরের ফরয নামাজের পূর্বে। (সুনানে নাসায়ী ১৭৯৫)

জুম'আর পরে সুন্নাত সংক্রান্ত হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
আবূ হুরায়রা রাযি. বলেছেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

إذا صَلَّيْتُمْ بَعْدَ الجُمُعَةِ فَصَلُّوا أرْبَعًا. [وفي رواية]: قالَ سُهَيْلٌ: فإنْ عَجِلَ بكَ شَيءٌ فَصَلِّ رَكْعَتَيْنِ في المَسْجِدِ، ورَكْعَتَيْنِ إذا رَجَعْتَ

তোমাদের কেউ যখন জুমআ’ (ফরজ) পড়ে তখন সে যেন ‘বা’দাল জুমআ’ চার রাকাত পড়ে নেয়। সুহায়ল রহ. বলেন, ত্বরা থাকলে মসজিদে দুই রাকাত, ঘরে ফিরে দুই রাকাত পড়ো। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৮৮১)

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি.-এর বিশিষ্ট শাগরিদ আবু আব্দুর রহমান আসসুলামী রহ.-এর বর্ণনা :

كان عبد الله يأمر أن نُصَلِّي قَبْلَ الجُمْعة أربعا، وبعدها أربعا، حتى جاءنا علي فأمرنا أن نصلي بعدها ركعتين ثم أربعا

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি. আমাদেরকে জুমআ’র আগে চার রাকাত এবং জুমআ’র পরে চার রাকাত পড়ার আদেশ করতেন। পরে যখন আলী রাযি. আগমন করলেন তখন তিনি আমাদেরকে জুমআ’র পরে প্রথমে দুই রাকাত এরপর চার রাকাত পড়ার আদেশ করেন। (মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক খন্ড ৩, পৃ. ২৪৭)

আবু আব্দুর রহমান আসসুলামী রাহ.-এর বর্ণনা :
كان عبد الله يأمر أن نُصَلِّي قَبْلَ الجُمْعة أربعا، وبعدها أربعا، حتى جاءنا علي فأمرنا أن نصلي بعدها ركعتين ثم أربعا

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি. আমাদেরকে জুমআ’র আগে চার রাকাত এবং জুমআ’র পরে চার রাকাত পড়ার আদেশ করতেন। পরে যখন আলী রাযি. আগমন করলেন তখন তিনি আমাদেরকে জুমআ’র পরে প্রথমে দুই রাকাত এরপর চার রাকাত পড়ার আদেশ করেন। (মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক খন্ড ৩, পৃ. ২৪৭)

(০৬)
ফাসিক ব্যাক্তির জন্য মাগফিরাতের দুআ করা জায়েজ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...