ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
যদি কোন মুনাজাতে তওবা করা হয়। তাহলে তওবা করার পর অন্য দোয়া পড়া যাবে।এতে কোনো সমস্যা নেই।
(২)
ছেলেদের সতর নাভি থেকে টাকনুর উপর। এখন কোন ছেলে যদি খালি গায়ে নামাজ পড়ে তাহলে নামাজ ফাসিদ হবে না। তবে নামাযে সুন্দর্য্য গ্রহণ করা সুন্নত।
এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
خذوا زينتكم عند كل مسجد
তাই সতর ঢাকার পর খালি গায়ে নামায পড়া মাকরুহে তানযিহি।
(৩)
কোনো একটি কাজ হালাল না হারাম? সে সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা না থাকলে, সেই কাজকে পরিত্যাগ করাই শ্রেয়।
(৪)
না, গোনাহ হবে।শুধুমাত্র হারাম বা নাজায়েয কাজ করলেই গোনাহ হবে।
(৫)
উচ্ছস্বরে বা নিম্নস্বরে যেকোনো ভাবে পড়া যাবে, যেহেতু এগুলোকে দু'আ হিসেবে পড়া হয়, তাই নিম্নস্বরে পড়াই উত্তম।কেননা দু'আর মধ্যে উত্তম হল, নিম্নস্বরে পড়া।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ادْعُوا رَبَّكُمْ تَضَرُّعًا وَخُفْيَةً ۚ إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ
তোমরা স্বীয় প্রতিপালককে ডাক, কাকুতি-মিনতি করে এবং সংগোপনে। তিনি সীমা অতিক্রমকারীদেরকে পছন্দ করেন না।(সূরা আ'রাফ-৫৫)
(৬)
আজানের সময় নবীজির নাম শুনলে তখনো দরুদ পড়তে হবে।পাশাপাশি আজানের জবাবও দিতে হবে।
(৭)
সকল বিষয়ে জায়েয নাজায়েযের বিধান স্পষ্টভাবে আসবে না। অনুচিৎ এর অর্থই হল, কাজটি মূলত জায়েয।কেননা হারাম হওয়ার যথেষ্ট দলীল নেই, তবে প্রতিষ্টানের নিয়ম ও সার্বজনীন পরিস্থিতি বিবেচনায় কাজটি অনুচিৎ। প্রতিষ্টানিক নিয়মকে রক্ষা করা প্রত্যেকের উপর ওয়াজিব।
(৮)
অনিচ্ছাকৃত হলে গোনাহ হবে না।তবে ইচ্ছাকৃত হলে অবশ্যই গোনাহ হবে।
(৯)
না, গোনাহ হবে না।
(১০)
কোনো পরনারীর চিন্তা করা জায়েয হবে না।
(১১)
জরুরত ব্যতিত মেয়েদের সাথে কথা বলা জায়েয হবে না।