ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আমাদের মনে রাখতে হবে,
পরকালে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ আ'মলের হিসাব নিকাশ দিতে হবে।কারো পাপের বোঝাকে অন্য কেহ বহন করবে না।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়।
(সূরা ফাতির-১৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
স্ত্রী স্বামীকে ফরজ বিধান পালনের ব্যাপারে জোর করতে পারবে।দ্বীনের হুকুম আহকামের প্রতি তার আগ্রহ বাড়াত।এরকম বলা যাবে যে " তুমি যতদিন আল্লাহর ফরজ বিধান পালন করবে না ততদিন আমার সাথে যোগাযোগ করবে না।তবে এজন্য কোনো স্ত্রী তালাক চাইতে পারবে না।
(২)
: وَمُقْتَضَى النَّظَرِ أَنَّهُ لَا يَجُوزُ لَهُ أَنْ يَزِيدَ عَلَى قَدْرِ طَاقَتِهَا، أَمَّا تَعْيِينُ الْمِقْدَارِ فَلَمْ أَقِفْ عَلَيْهِ لِأَئِمَّتِنَا، نَعَمْ فِي كُتُبِ الْمَالِكِيَّةِ خِلَافٌ فَقِيلَ يَقْضِي عَلَيْهِمَا بِأَرْبَعٍ فِي اللَّيْلِ وَأَرْبَعٍ فِي النَّهَارِ، وَقِيلَ بِأَرْبَعٍ فِيهِمَا. وَعَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَشْرُ مَرَّاتٍ فِيهِمَا. وَفِي دَقَائِقِ ابْنِ فَرْحُونٍ بِاثْنَيْ عَشَرَ مَرَّةً.
وَعِنْدِي أَنَّ الرَّأْيَ فِيهِ لِلْقَاضِي فَيَقْضِي بِمَا يَغْلِبُ عَلَى ظَنِّهِ أَنَّهَا تُطِيقُهُ اهـ. قَالَ الْحَمَوِيُّ عَقِبَهُ: وَأَقُولُ يَنْبَغِي أَنْ يَسْأَلَهَا الْقَاضِي عَمَّا تُطِيقُ وَيَكُونُ الْقَوْلُ لَهُمَا بِيَمِينِهَا لِأَنَّهُ لَا يُعْلَمُ إلَّا مِنْهَا وَهَذَا طِبْقُ الْقَوَاعِدِ-
স্ত্রীর সামর্থ্যর বাহিরে তার সাথে শারিরিক সম্পর্ক স্থাপন করা জায়েয হবে না, এটাই যুক্তিযুক্ত। কতটুকু পরিমাণ সহবাস হবে? এ সম্পর্কে আমাদের উলামাদের থেকে কোনো বক্তব্যর উপর আমি অবগত নই। হ্যা, মালিকি ফিকহের কিতাবে এ সম্পর্কে মতপার্থক্যপূর্ণ বক্তব্য বর্ণিত রয়েছে, কেউ বলেন, প্রত্যেক দিন বা রাতে সর্বোচ্ছ চার বার, কেউ বলেন,সর্বোচ্ছ দিনে দুইবার এবং রাতে দুইবার, অন্যদিকে কেউ বলেন, দিনে রাত্রে দশবার,এবং দাক্বাইকে ইবনে ফারহুন কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, দিনে রাতে সর্বোচ্ছ ১২.
ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেন, আমি মনে করি, এটা শরীয়া কোর্ট বা কাজী সাহেবের সিদ্ধান্ত উপর নির্ভরশীল হবে। কাজী সাহেব স্ত্রীর শারিরিক সমক্ষমতার দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত দিবেন। হামাওয়ী রাহ বলেন,শরীয়া কোর্ট স্ত্রীকে তার সক্ষমতা ও চাহিদা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে, তারপর শরীয়া কোর্ট উভয়কে একটি ফয়সালা শুনিয়ে দিবে।(রদ্দুল মুহতার-৩/২০৩)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্ত্রীর সুবিধা অসুবিধা এবং অক্ষমতা; এসব দিক বিবেচনায় বলবো, বাস্তব প্রয়োজনে স্ত্রী তার স্বামীকে বাধা দিতে পারবে।এতেকরে স্ত্রীর কোনো গোনাহ হবে না।