আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
81 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (89 points)
১. আমি আর আমার স্ত্রী একটা স্থানে গেলাম, সেখানে তার যাওয়ার ইচ্ছে ছিলো না, কিন্তু তাও গেলো কিন্তু মন খারাপ করে ফেললো,তখন আমি বললাম তাহলে চলো ফিরে যাই  তখন সে রাগ করে বলে উঠে " তর সাথে ব্রেকাপ।  সব সম্পর্ক শেষ কইরা দিমু"
এটা বলার পর থাকে পরে আমি তাকে খুশি করাই, এর একটু পরেই তাকে জিগ্যেস করি, এই কথা তুমি তালাকের নিয়তে বলেছো কি না, সে বললো, এই শব্দ তার মুখ দিয়ে আসবে না তাই এটা বলেছে। আবার বললো, আমাদের তো ব্রেকআপের সম্পর্ক না। ( উল্লেখ্য, সাধারণত অবিবাহিত অবস্থায় যারা রিলেশনে থাকে তাদের সম্পর্ক শেষ বুঝাতে আমাদের দেশে ইদানিং ব্রেক আপ শব্দের প্রচলন হয়েছে)

 আবার বললো, তার এই কথা বলার সময়ের নিয়তের কথা পুরোপুরি মনে নাই, তবে তার বেশি অংশ মন সায় দিচ্ছে,  সে ভয় দেখানোর জন্য, এভাবে আমাকে কথাটা বলেছে।
এখন আমার বউ এর যদি তালাকের অধিকার দেওয়া থাকে তবে কি তার এই কথায় আমাদের সংসারে কোনো সমস্যা হবে?

২. অধিকার প্রাপ্ত স্ত্রী যদি তার স্বামীকে বলে "তোমার সাথে ব্রেক আপ" এতে কি কোনো সমস্যা হবে?

৩. আমার মাঝে মাঝে বিভিন্ন সংখ্যা লেখার সময় শুধু তালাকের কথা মনে চলে আসে, অথচ আমি অযথা কেনো তালা* দিতে যাবো?এসব মনে আসায় কোনো সমস্যা হবে?

৪. মানিব্যাগের ভিতরে নাপাক(যেমন, পেশাব) লাগানো, শুকনো কোনো টাকা যদি থাকে সেই মানিব্যাগ পেন্টের পকেটে নিয়ে সালাত হবে?

৫. একজন আমকে হঠাৎ জিজ্ঞেসা করলো তোমার বউকে না কি শুনলাম ডিভোর্স দিয়ে দিছো? আমি আশ্চর্য  প্রকাশ করার জন্য বলি, "হ্যাহ!"  আমি তার জবাবে হ্যা বলিননাই এটা সেও বুঝেছে যে অবাক হয়ে বলেছি, এভাবে "হ্যাহ/হ্যা!" বলার জন্য কি কোনো সমস্যা হবে?

জাজাকাল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (677,120 points)
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০৪)
এক্ষেত্রে উক্ত নাপাকির পরিমান যদি এক দিরহাম চেয়ে কম হয়,তাহলে নামাজ হবে।

আর যদি উক্ত নাপাকির পরিমান যদি এক দিরহাম বা তার চেয়ে বেশি হয়,তাহলে নামাজ হবেনা।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عن أبي هريرة رضي الله عنه  عن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال : تعاد الصلاة من قدر الدرهم من الدم (سنن الدر قطنى، كتاب الصلاة، باب قدر النجاسة التي تبطل الصلاة، رقم الحديث-1)

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-এক দিরহাম পরিণাম রক্তের দরুন নামাযকে পুনরায় আদায় কর। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৩৮৯৬, জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-১০৭৮৩, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাকী, হাদীস নং-১৩২৩, আল জামেউল কাবীর, হাদীস নং-২৩৮}

(১.২.৩.৫)
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...