আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
139 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (7 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
হুজুর,

প্রায় দেড় মাস যাবত আমি খুব পেরেশানির ভিতরে আছি।  সবসময় তালাকের চিন্তা মাথায় ঘুরতে থাকে। সবসময় তালাক দিলাম, তালাক দিলাম শব্দ মাথায় আসতে থাকে। সারাদিন এই নিয়ে চিন্তা করতে থাকি। আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি। মন চাই কান্নাকাটি করি। এই পেইন আর নিতে পারছি না।একটার পর একটা সন্দেহ মনে আসতেই আছে। ২ বছর আগে ওয়াইফকে কি বলছিলাম? ওয়াইফ কি তালাক হয়ে গেছে? এসব চিন্তা এখন আমার দিন রাতের সংগি।
★ ওয়াইফ এর সাথে কোন কথা বললে তারপরেই মনে চলে আসছে তালাক দিলাম। খুব খারাপ লাগছে। এমনিতেই মনে সবসময় এই কথা আসতে থাকে। আজ আবার হালকা একটু ওয়াইফ এর সাথে মন মালিন্য হয়েছে সকালে। সন্ধায় খাওয়ার সময় খাচ্ছি আর মনে মনে ভাবছি, তুমি বাসা থেকে বের হও,তালাক দিলাম।। এমনিতে যদি কেউ বলে তুমি কি আসলেই তালাক দিতে চাও? তবে আমি বলবো যে "না"। কিছু সময় পর আমি আর মনে করতে পারছি না আমি এটা মনে মনে বললাম না উচ্চারণ করলাম। আমি ৮০% শিওর যে আমি খেতে খেতে মনে মনে বলছি। কিন্তুু সন্দেহ হচ্ছে।
এতে কি তালাক হবে?
★★ গোছল করার সময় ওয়াইফকে একটু জোর গলায় বললাম যে, সরো। তখনি মনের ভিতর হলো "তালাক দিলাম"।
এতে কি তালাক হবে?
★★★ যেহেতু "তালাক দিলাম" কথাটি মনের ভিতর সবসময় চলতে থাকে তাই ভয় হয় যদি কোন কেনায়া বাক্য বলে ফেলি তাহলে কি তালাক হয়ে যাবে?

আমি ওয়াসওয়াসার রোগি। আশা করি আপনার উওরে আমার অশান্ত মন শান্তি পাবে।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


শরীয়তের বিধান হলো, মুখে উচ্চারণ না করে শুধু মনে মনে তালাক দিলে বা মনে মনে শর্ত যুক্ত তালাক দিলে তাহা পতিত হবেনা।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।

ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

অন্য এক হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

বিস্তারিত জানুনঃ- 
 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরণ মতে কোনো ছুরতেই তালাক হবেনা।
প্রশ্নে উল্লেখিত তালাক সংক্রান্ত এসব সন্দেহের ফলে আপনাদের বৈবাহিক জীবনে সমস্যা হবেনা।
আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক আগের মতোই বহাল রয়েছে। 
আপনি নিশ্চিত থাকুন।
অতিতকাল নিয়ে আর না ভাবার পরামর্শ রইলো।

এগুলো ওয়াসওয়াসা শয়তানের পক্ষ থেকে আসে।
এহেন চিন্তাভাবনা মাথায় আসলেই বিতাড়িত শয়তান হতে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবেন।
أعوذ بالله من الشيطان الرجيم 
পড়বেন।

لا حول ولا قوة الا بالله العلي العظيم 
পড়ে বাম পার্শে থুথু ফেলতে পারেন।

তালাম সংক্রান্ত মাসয়ালা,প্রশ্ন না করার পরামর্শ রইলো।
এধরনের চিন্তাভাবনা, কথা মাথায় আসলেই অন্য মনস্ক হয়ে যেতে হবে,অন্য কাজে লেগে যেতে হবে।
নিজেকে একাকিত্বে না রাখার চেষ্টা করতে হবে। 
,
আপনি এসব চিন্তা পরিহার করে অন্য মনস্ক হতে প্রয়োজনে সময় সুযোগ মোতাবেক তাবলীগে সময় লাগাতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...