জবাবঃ-
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
(০১)
শরীয়তের বিধান হলো, মৃত ব্যাক্তির ছেলে সন্তান জীবিত থাকলে নাতী কোনো সম্পদ পাবেনা।
,
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন :
تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ وَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ يُدْخِلْهُ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا وَذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ * وَمَنْ يَعْصِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيَتَعَدَّ حُدُودَهُ يُدْخِلْهُ نَارًا خَالِدًا فِيهَا وَلَهُ عَذَابٌ مُهِينٌ
অর্থ : এইসব আল্লাহর নির্ধারিত সীমা। যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অনুসরন করবে আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যার তলদেশ দিয়ে নহর প্রবাহিত। তারা সেখানে স্থায়ী হবে এবং এটা মহা সাফল্য। আর যে আল্লাহ ও তার রাসূলের অবাধ্য হবে এবং নির্ধারিত সীমাকে লঙ্ঘন করবে তাকে দোযখে নিক্ষেপ করবেন। সেখানে সে স্থায়ী হবে এবং সেখানে তার জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাকর শাস্তি। সূরা নিসা-১৩-১৪
আল্লাহ তাআলা ওয়ারিশদের প্রত্যেকের অংশ নির্ধারন করে দিয়েছেন অতপর সতর্ক করে দিয়েছেন যে, এই বন্টন না মেনে নিজ থেকে করলে আল্লাহর দেওয়া সীমা লঙ্ঘনের ফলে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে।
,
সহীহ বুখারীতে হযরত যায়েদ বিন সাবেত রা. এর ফাতওয়া উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি বলেন-
ولا يرث ولد الابن مع الابن
অর্থ : ছেলে থাকাবস্থায় (মৃত) ছেলের সন্তানাদি কোন মীরাস পাবে না। (সহীহ বুখারী ২/৯৯৭)
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনার বাবার মা আপনার বাবার নানা মারা যাওয়ার আগেই মারা গিয়েছে,সুতরাং এক্ষেত্রে আপনার বাবার মামা থাকলে আপনার বাবা কোনো সম্পদ পাবেনা।
তাই এক্ষেত্রে অন্য কোনোভাবে সেই সম্পদ আপনার বাবা আয়ত্তে আনলে তাহা জায়েজ হবেনা।
হ্যাঁ যদি আপনার বাবার নানা মারা যাওয়ার সময় আপনার বাবার মামা জীবিত না থাকে,বা আপনার বাবার মামাই না থাকে,সেক্ষেত্রে আপনার বাবা তার নানার সম্পদ শরয়ী নীতিমালা অনুযায়ী পাবে।
(০২)
এই জমির যারা মালিক ছিলো,তারা তো এখনো মালিক আছে।
তাদের ওয়ারিশগন যেহেতু জমি নিতে এসেছে,তাদেরকে তাদের জমি দলিল প্রমানের ভিত্তিতে বুঝে দেয়া উচিত।
অথবা তাদের সাথে আলাপ আলোচনা করে তারা বিক্রয় করতে রাজি হলে তাদের থেকে ক্রয় করে নেয়া উচিত।
তবে তারাই যে এর মালিক ছিলো,এর কোনো দলিল প্রমান না থাকলে সেক্ষেত্রে আদালতে মামলা দায়েরের পর যাহা সিদ্ধান্ত হবে,সেটি মেনে নেয়া উচিত হবে।