আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
541 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (20 points)
আমি আপনাদের ফতোয়াতে দেখলাম যালেম শাসক হতে বিনিময় দেওয়া জায়েজ নয়,কারণ তার টাকা গুলো হারাম,

আবার দেখলাম উমার রা কাফেরদের হারাম মাল বিক্রি করে অর্থ জিযিয়া নিতে বলেছেন,আসলে কোনটা সত্য হবে?

আমি কি তাদের সুদের টাকা হতে আমার হালাল কাজের বিনিময় নিতে পারবো কি না?স্পষ্ট ভাবে জানান।

আর উমার রা তো এসব হারাম মাল যুদ্বের সময় নিয়েছেন,এটা সাথে তো আমার বর্তমানে সুদের টাকায়  হালাল কাজের বিনিময় নেওয়া জায়েজ হয় কিভাবে?

আমি আসলে বড়ই সন্দেহে আছি,আমাকে একটু স্পষ্ট ভাবে সহীহ দলিল জানান!হে শাইখ

1 Answer

0 votes
by (708,320 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
াকাজ যদি বৈধ হয়,তাহলে অমুসলিম কম্পানির কাজ হওয়ার দরুণ উক্ত কাজ হারাম হবে না। উক্ত কম্পানি তাদের হারাম উপার্জন থেকে বিনিময় দিলেও উক্ত বিনিময় গ্রহণ করা কোনো মুসলমানের জন্য হারাম হবে না। তবে অমুসলিমদের কোনো হারাম কাজ করা আঞ্জাম দেয়া কখনো কোনো মুসলমানের জন্য জায়েয হবে না। 
عن سويد بن غفلة أن بلالا قال لعمر : إن عمالك يأخذون الخمر والخنازير في الخراج ، فقال : لا تأخذوها منهم ، ولكن ولوهم بيعها ، وخذوا أنتم من الثمن- قال أبو عبيد : " يريد أن المسلمين كانوا يأخذون من أهل الذمة الخمر والخنازير من جزية رءوسهم وخراج أرضيهم بقيمتها ثم يتولى المسلمون بيعها ، فهذا الذي أنكره بلال ونهى عنه عمر ، ثم رخص لهم أن يأخذوا ذلك من أثمانها إذا كان أهل الذمة المتولين لبيعها ; لأن الخمر والخنازير مال من أموال أهل الذمة ولا يكون مالا للمسلمين .

মর্মার্থ- হযরত উমর রাযি. আহলে যিম্মা কাফির থেকে তাদের বিদ্যমান হারাম মালকে বিক্রি করে সেই মালের মূল্যকে জিযয়া হিসেবে গ্রহণ করার অনুমোদন দিয়েছেন। 
(আহকামু আহলিয-যিম্মাহ-১/১৮৩, এ’লাউস-সুনান-১৪/১৩৪, কিতাবুন-নাওয়াযিল-১২/৫১৭))

আপনি সকল প্রকার কম্পানিতেই কাজ করতে পারবেন,যদি আপানার ঐ কাজটি বৈধ হয়, যে কাজের বিনিময়ে আপনি এখন টাকা নিতে চাচ্ছেন। 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন
আর উমার রা তো এসব হারাম মাল যুদ্বের সময় নিয়েছেন,এটা সাথে তো আমার বর্তমানে সুদের টাকায়  হালাল কাজের বিনিময় নেওয়া জায়েজ হয় কিভাবে? আপনার এ মন্তব্য সঠিক নয়। কেননা এখানে হযরত উমর গণিমত নিচ্ছেন না, বরং যুদ্ধ না করার জন্য তাদেরকে জিযয়া দিতে বলছেন। কেননা জিযয়া হল ট্যাক্স, যা যুদ্ধ না করার জন্য কাফির রা মুসলমান সরকারকে দিয়ে থাকে। 

পরিস্কার কথা হল,
আপনি কাজরে বিনিময় হিসেবে, সুদের টাকা থেকেও বিনিময় নিতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
যালেম মুসলিম হারাম সম্পদের মালিক হয় না। কিন্তু কাফির আমাদের কাছে হারাম এমন সম্পদ হস্তগত করার দ্বারা (সাধারণত) মালিক হয়ে যায়। প্রিয় প্রশ্নকারী! এই নীতি খেয়াল করলে আপনার কোনো অস্পষ্টতা থাকবে না। এজন্য কাফির নাগরিক থেকে কর হিসেবে হারাম মাল নেওয়া যাবে। বিনিময়/ বেতন হিসেবেও নেওয়া যাবে। কিন্তু যালেম মুসলিমের হাদিয়া নেওয়া যাবে না। আল্লাহ আপনাকে আরো বিস্তারিত জানা ও বুঝার তাওফিক দান করুন! সতর্কতা ও নিরাপত্তার সাথে আল্লাহর রাস্তায় দান করার সামর্থ্য দিন!

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...