আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ। প্রশ্ন দুটির উত্তর দিয়ে সাহায্য করবেন ইন শা আল্লাহ।
১। বর্তমান ফিতনার যুগে নযরের হেফাযত করা অতিশয় কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলস্বরূপ পুরুষদের স্ত্রীদের প্রতি বিভিন্নমুখী চাহিদারও উদ্ভব ঘটেছে। তবে স্বামীদের এহেন চাহিদা পূরণে, তাঁদের নযরের পূর্ণ হেফাযত ও স্ত্রীদের প্রতিই নিবিষ্ট থাকা ও মহব্বত তৈয়ারের লক্ষে তাগাইয়ুরে খালকিল্লাহের নিয়মাবলী মেনে চলা জরুরি তা আপনাদের ৪৬৬ নং ফাতাওয়াতে পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ।
এর সাথে আরও কয়েকটি বিষয় জানতে চাচ্ছিলাম উস্তাদ তা হল স্ত্রীদের অলংকার,পোশাক পরিচ্ছদ, কিছু কাজকর্ম এবং আসবাব ব্যাবহার প্রসঙ্গে, বাজনাসহ অলংকার বাদ দিয়ে। উল্লিখিত কি কি অলংকার, পোশাক পরিচ্ছদ স্ত্রীরা শুধুমাত্র স্বামীদের চাহিদার খাতিরেই তার সামনে ব্যাবহার করতে পারবে বা কোন নিষেধাজ্ঞা আছে কিনা এসবের ব্যাপারেঃ কানের দুই জায়গা ফোরানো লাগে এমন দুল পড়া, স্বর্ণের মুকুট জাতীয় অলংকার মাথায় ব্যাবহার, নাকের মাঝে ফুরিয়ে নোলক পরিধান, বাহু বন্ধনী, বুক উচুকারী অন্তর্বাস বা এমন কোন কিছু যা কুফফারদের রাষ্ট্রে বেশি চলে (এতে কি কাফিরদের অনুসরণ হবে কিনা), পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করে নখ সামান্য বড় রেখে ব্রিদেবল (breathable মানে পানি প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে না এমন) নেইল পলিশ পড়া, হাত পা ছাড়াও অন্য কোন অঙ্গে মেহেদি ডিজাইন করা, আট সাট জামা কাপড় ব্যাবহার, কোমর বিছা পড়া, নাভিতে দুল ব্যাবহার, থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট পড়া, হাই হিল জুতা পরিধান (সাধারণভাবে ব্যাবহার নয় বরং স্বামীর উপস্থিতিতে অন্তরঙ্গ সময়ে সাময়িকভাবে), ভারি নুপুর পড়া যা নাড়া চাড়ায় যৎসামান্য আওয়াজ হলেও হতে পারে, পায়ে এক বা একাধিক আংটি পরিধান, লোম উঠানোর ক্রিম ব্যাবহার, ত্বক পরিস্কারকারী ক্রিম ব্যাবহার।
যাবতীয় এসব আসবাব একান্ত স্বামীর উপস্থিতিতে কি উস্তাদ ব্যাবহারযোগ্য নাকি কোথাও শরিয়াহের বিধান লঙ্ঘন হচ্ছে, আর কোনটার ব্যাবহার পরিহার করা উত্তম হলেও (মাকরুহে তানযিহি হলে), যদি স্বামী এগুলো খরিদ করে, ব্যাবহার করতে বলে বারবার স্ত্রীকে আর না করলে নফরত তৈরি হয় স্ত্রীর প্রতি তখন কি সেটা ব্যাবহার করা যাবে রুখসত হিসেবে?
এর সাথে যদি স্বামীর এমন কিছু অদ্ভুত চাহিদা থাকে যেমন শরীরে মৃদু দংশন করা, রান, পায়ের পাতা, আঙুল ইত্যাদি মুখে নেওয়া ইত্যাদিতে কি শরিয়াহের কোন বিধান লঙ্ঘিত হবে? স্বামী আল্লাহের রহমতে তাকওয়াবান, যত্নশীল তবে তাঁর উল্লিখিত উদ্ভট কিছু চাহিদা থাকলে আর তা স্ত্রীর মাধ্যমে চরিতার্থ করলে তাতে কি গুনাহ হবে দম্পতির? অনুগ্রহ করে জানাবেন উস্তাদ।
২। হস্তমৈথুন করার ব্যাপারে বিধি নিষেধ, আর একমাত্র যিনায় পতিত হওয়ার মারাত্মক আশংকা থাকলে সাময়িক বৈধতার লেখা পেয়েছি আপনাদের সাইট থেকে। তবে উস্তাদ হস্তমৈথুন কি আসলে মৈথুনের ফলে বীর্য নির্গত হওয়া পর্যন্ত বোঝায় নাকি কল্পনাপ্রবণ হয়ে গোপনাঙ্গে নিজ হাতে স্পর্শ করা, ঘর্ষণ করা কিন্তু বীর্য নির্গত না হওয়াকেও বোঝায়? মূল হস্তমৈথুনের মাধ্যমে বীর্য স্খলন তো কবিরা গুনাহ, তবে বীর্য নির্গত না করে যদি কেউ এরকম করে তাহলেও কি একই ফায়সালা?
অগ্রিম জাযাকাল্লাহু খাইরান।