আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
77 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (67 points)
edited by

১.গত বছরের একটি ঘটনাঃ
তখন দূর্গাপুজা চলছে।  এর ভিতরে আমার পাঞ্জাবী একটা আয়রন করার দরকার পরে। অনেক খোঁজার পরে এক জন এমনিতেই এটা করে দিতে রাজি হয়, (তার আয়রন এর দোকান না)। সে আয়রন করার সময় বলছিলো যে "পান্জাবী ভালে না হলে তো পুজা/অনুষ্ঠান মাটি হয়ে যাবে। (কোন শব্দ বলেছিলো মনে নাই পুজা বলার সম্ভাবনাই বেশি), একটা ভালো কাজ করি"
তখন বুঝতে পারতেছিলাম সে হয়তো আমাকে হিন্দু ভাবতেছিলো।একদিকে সে পরিষ্কার করে নি হিন্দুই ভেবেছে কি না, আর দোকান খোলা না থাকায় আমি আগ বারিয়ে তার ভুল ভাঙ্গানোর জন্য কিছু বলি নি। ভাবতেছিলাম কাজ টা হয়ে যাক বরং সে ভুল ভেবে(হিন্দু ভেবে)  হলেও কাজটা হয়ে যাচ্ছে বিবেচনায় খুশি হয়েছিলাম।
 *আমার এই কাজ কি কুফরীতে সন্তুষ্ট থাকা বুঝায়?বা কুফরী হয় কি?* 


২. একটা ফতোয়া দেখলাম,"কেউ অন্যকে বলল, তুমি কাফের হয়ে গেছ। সে বলল, ঠিক আছে তুমি আমাকে কাফেরই মনে করো। তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।"

 উপরের এই ঘটনা আমি হেসে একজনের সাথে শেয়ার ও করেছি বলে মনে হচ্ছে।  যে এভাবে একজন আমাকে হয়তো হিন্দু ভেবেছিলো আর কাজটা করে দিয়েছিলো। এটাও হয়তো তখন বলেছিলাম , যে তখন মনে মনে ভাবছিলাম যা ইচ্ছে ভাবুক আমার কাজ তো হইছে। ( কিন্তু শিওর হয়ে বলতে পারছি না এইটা বলেছিলাম কি না,আবছা আবছা মনে পরছে)

এই কথা বলার জন্য কি কাফের হবো?বিবাহ কি হবে?

(এইভাবে কুফরীতে সন্তুষ্ট হওয়া যে কুফরী,বা এভাবে বললেও যে কুফরী হয় তখন তা আমি জানতাম না)

1 Answer

0 votes
by (548,730 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান হলো ইচ্ছাপূর্বক ভাবে নিজেকে নিজে কাফের বলে পরিচয় দেওয়া কুফরী। 

সূরা নাহলের ১০৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-

مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ مِنْ بَعْدِ إِيمَانِهِ إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالْإِيمَانِ وَلَكِنْ مَنْ شَرَحَ بِالْكُفْرِ صَدْرًا فَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ مِنَ اللَّهِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ (106)

“কেউ বিশ্বাস স্থাপনের পর আল্লাহকে অস্বীকার করলে এবং প্রত্যাখ্যানের জন্য হৃদয় মুক্ত রাখলে তার উপর আল্লাহ ক্রোধ পতিত হবে এবং তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি। তবে তার জন্য নয়, যাকে (সত্য প্রত্যাখ্যানে) বাধ্য করা হয়, কিন্তু তার অন্তর বিশ্বাসে অটল।” (১৬:১০৬)
,

ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী তে আছে
"وَمَنْ يَرْضَى بِكُفْرِ نَفْسِهِ فَقَدْ كَفَرَ."
(كتاب السير، الْبَابُ التَّاسِعُ فِي أَحْكَامِ الْمُرْتَدِّين ، مطلب فِي مُوجِبَاتُ الْكُفْرِ أَنْوَاعٌ مِنْهَا مَا يَتَعَلَّقُ بِالْإِيمَانِ وَالْإِسْلَامِ، ٢ / ٢٥٧، ط: دار الفكر)
"এবং যে কুফরীতে সন্তুষ্ট থাকে, সে কাফের হয়ে গেছে।

বিস্তারিত জানুনঃ   

الفتاوى الهندية (2/ 54):
"ولو قال: إن فعل كذا فهو يهودي، أو نصراني، أو مجوسي، أو بريء من الإسلام، أو كافر، أو يعبد من دون الله، أو يعبد الصليب، أو نحو ذلك مما يكون اعتقاده كفرًا فهو يمين استحسانًا، كذا في البدائع.
حتى لو فعل ذلك الفعل يلزمه الكفارة، وهل يصير كافرًا؟ اختلف المشايخ فيه، قال: شمس الأئمة السرخسي - رحمه الله تعالى -: والمختار للفتوى أنه إن كان عنده أنه يكفر متى أتى بهذا الشرط، ومع هذا أتى يصير كافرًا لرضاه بالكفر".
সারমর্মঃ
যদি কেহ বলে যে সে যদি অমুক কাজ করে তাহলে সে ইহুদি অথবা নাসারা অথবা অগ্নিপুজক অথবা ইসলাম থেকে মুক্ত অথবা কাফের,,,,,
তাহলে সেটি কসম হবে।
যদি সে উক্ত কাজ করে,তাহলে সে কাফের হবে কিনা,এই ব্যাপারে মাশায়েখদের মতবিরোধ রয়েছে। 
শামসুল আঈম্মাহ সরখসি রহঃ বলেন যদি তার আকীদা এমন হয় যে এই কাজ করলেই সে কাফের হয়ে যাবে,তাহলে এহেন আকীদা থাকার পরেও উক্ত কাজ করা মানে কুফরিতে সন্তুষ্ট থাকা।
বিধায় সে কাফের হয়ে যাবে।  

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
আপনার এই কাজ কুফরিতে সন্তুষ্ট থাকা বুঝায়না।
এতে কুফরি হবেনা।

(০২)
এই কথা বলার জন্য আপনি কাফের হয়ে যাননি।বিবাহ হবে।
আপনি ঈমান নিয়ে নিশ্চিত থাকুন, আপনার ঈমানের কোনো সমস্যা হয়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...