আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
98 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (28 points)
১.হুজুর আমি শয়তানকে শুয়োরের বাচ্চা বলে গালি দেই । গালি দেওয়ার পর  ভাবি যে আমার ভুল হল নাকি তখন       আমি আস্তাগফিরুল্লাহ পরি।  আস্তাগফিরুল্লাহ পরার পর আমার মনে হল যে  শয়তানকে গালি দেওয়ার পর আস্তাগফিরুল্লাহ পরলাম  কেন তখন আবার আস্তাগফিরুল্লাহ পরি। এরকম বলার দারা কি ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

২.আমি ফেসবুকে এক্টি লেখা পরি রাসুল সাঃ খাদিজা রাঃ কে কি রকম ভালোবাসতেন সেখানে লেখা ছিল। লেখার শেষে লেখা ছিল যে  হে আল্লাহ আমদেরকে  রাসুল সাঃ এর মত ভালোবাসার তৌফিক দাও।  লেখাটা হবুহ আমার মনে নেই। এইরকমই কিছুটা ছিল। তখন আমি মনে মনে ভাবি যে রাসুল সাঃ এর মত আমরা ভালোবাসতে পারব। লেখাটা  কি ঠিক হল,  ভুল হল নাকি। তখন আমি মনে মনে আস্তাগফিরুল্লাহ পরি। আস্তাগফিরুল্লাহ পরার পর আমার মনে হল যে আস্তাগফিরুল্লাহ যে  পরলাম এখানে আস্তাগফিরুল্লাহ পরার কারনে গুনাহ হল নাকি তখন আমি আবার আস্ততাগফিরুল্লাহ পরি। এভাবে বলার দারা কি ঈমানের কোন সমস্যা হবে?
৩.হুজুর আমার আধো আধো ঘুম আছে এই সময় আমার কি যেন একটা কথা মনে হয়  সঠিক মনে নেই। তখন আমি মনে মনে   বলি যে আল্লাহ আমার পক্ষে আছেন । এ কথা বলার পর আমার মনে হল যে কথার মধ্যে কোন ভুল হল নাকি। তখন আমি          আস্তাগফিরুল্লাহ পরি।    এর দারা ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

৪.হুজুর কোন একটা পাপের জন্য আল্লাহর কাছে তওবা করছিলাম তখন আমি বলি যে ইনশাআল্লাহ এই পাপ আমি আর করব না, আল্লাহ যদি না করায়। (আস্তাগফিরুল্লাহ   )    । একথা বলার পর আমারমনে হয় যে এগুলো তো কুফরি কথা আল্লাহ তো পাপা করার জন্য নিষেধ করেছেন। তখন আমি সাথে সাথে ইস্তিগফার পড়ি। হুজুর এর দারা কি ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

৫. হুজুর সবসময় শুধু বিভিন্ন কথা বা কাজে ঈমান ভংগ হল নাকি এরকম মনে হচ্ছিল।  তখন  অন্য একটি কাজ করার সময়   আমি মনে মনে বলি বা আমার মনে হয় যে,  খালি অই কথাই মনে হচ্ছে (এখানে কথার জায়গায় বলি যে শুধু অই  ভো.......য় মনে হচ্ছে একটা গালি  মনে  মনে দেই বা আমার মনে মনে মনে হয়।)হুজুর আমি সাথে সাথে ইস্তিগফার পড়ি।     এর কারনে কি আমার কোন  ঈমানের    সমস্যা হবে? সবসময় মনে হওয়ার কারনে আমার ওভাবে মনে হয় বা আমি মনে মনে গালির শব্দ বলি।

৬.কারো যদি টয়লেটে কুফরি কোন শব্দ মনে হয় বা আল্লাহ সম্পর্কে বাজে কথা মনে হয় তাহলে কি টয়লেটে কি ইস্তিগফার পরবে না বাহিরে এসে ইস্তিগফার পরবে?

৬.    হুজুর আমরা অনেক সময় অ মাই গড বলি। এভাবে বল্লে ঈমানের কোন সমস্যা হবে কি?

৭. হুজুর আমি ছোট থাকতে আমার দাদা খাবার পর থাল ধোয়ার পানি খেত। থাল ধোয়ার পানি খাওয়া নাকি সুন্নাত। তখন এটা দেখে আমার খারাপ লাগত বা একটু ঘ্রিনা লাগত। হুজুর এর কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?
৮.হুজুর কেউ যদি মোবাইলে রাসুল সাঃ এর দাসী ছিল নাকি সার্চ করে তাহলে কি তার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?
৯.হুজুর একটা বিষয় মনে মনে চিন্তা করার সময় হঠাৎ আমার মনে আসল বা মনে হল ইসলাম দাসিদের প্রতি এত বর্বর। (আস্তাগফিরুল্লাহ)  হুজুর এগুলো আমি বিশ্বাস করি না বা এগুলো আমি মনে করতে চাইনা তবুও আমার মনে হল। আমি তখন বাথরুমে ছিলাম সাথে সাথে আমি ইস্তিগফার পড়ি। এর দারা কি ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

১০.কোন পাপ কাজ থেকে তওবা করার সময় আমার মনে হয় যে আল্লাহ যেন আর না  করায়। তখন আমার মনে হয় যে আল্লাহ তো পাপ কাজ করতে নিষেধ করছেন। তখন আমি বাথরুমে ছিলাম আমি সাথে সাথেই মনে মনে ইস্তিগফার পড়ি। হুজুর এই রকম মনে মনে বলার দারা ঈমানের কোন সমস্যা হবে কি?  আর বাথরুমে মনে মনে ইস্তিগফার পরলে কি কোন সমস্যা হবে?

১১.কেউ যদি ব্যাথা পেয়ে অ মা বাচা বলে তাহলে কি তার ঈমানের কোন সমস্যা হবে কি?

১২.কেউ যদি কোন দিবসকে অশুভ মনে করে তাহলে কি তার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

১৩. হুজুর আপনাদের আই ফতোয়া ওয়েবসাইটে একাধিক একাউন্ট খুলে প্রশ্ন করার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
মুমিন অশ্লীল কথাও বলে না, গালিও দেয় না। এ স্বভাব মুমিনের সাথে যায় না। হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-

لَيْسَ الْمُؤْمِنُ بِالطَّعَّانِ، وَلَا اللَّعَّانِ، وَلَا بِالْفَاحِشِ، وَلَا بِالْبَذِيءِ.

মুমিন (অন্যের) দোষ চর্চাকারী হয় না, লানতকারী, অশ্লীল ও গালিগালাজকারী হয় না (বাজে কথা বলে না)। -জামে তিরমিযী, হাদীস ১৯৭৭

হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-

أَرْبَعٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ كَانَ مُنَافِقًا خَالِصًا، وَمَنْ كَانَتْ فِيهِ خَصْلَةٌ مِنْهُنَّ كَانَتْ فِيهِ خَصْلَةٌ مِنَ النِّفَاقِ حَتَّى يَدَعَهَا: إِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ، وَإِذَا حَدَّثَ كَذَبَ، وَإِذَا عَاهَدَ غَدَرَ، وَإِذَا خَاصَمَ فَجَرَ.

চারটি (মন্দ) স্বভাব আছে, এগুলো যার মাঝে থাকবে সে খালেছ মুনাফিক বলে গণ্য হবে। আর যার মাঝে এই চার স্বভাবের কোনো একটি থাকল, তার মাঝে মুনাফেকির একটি স্বভাব থাকল; যতক্ষণ না সে তা বর্জন করে। 
১. আমানত রাখলে খেয়ানত করে। 
২. কথা বলে তো মিথ্যা বলে। 
৩. প্রতুশ্রুতি দিলে ভঙ্গ করে।
 ৪. তর্কের সময় গালাগালি করে। 
(সহীহ বুখারী, হাদীস ৩৪)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
শয়তানকে এভাবে গালি দিলে হাদীসে বর্ণিত নিষেধকৃত গালি দেয়ার অন্তর্ভুক্ত হবেনা।
তবে মুমিন যেহেতু অকথ্য ভাষায় কথা বলেনা,অশ্লীল কথা বলেনা,তাই অকথ্য ভাষা ও অশ্লীল কথা পরিহার করতে হবে।
এতে যবানের বরকতও নষ্ট হয়।

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এরকম বলার দ্বারা আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।

(০২)
এভাবে বলার দ্বারা আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।

(০৩)
এর দ্বারা আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।

(০৪)
এর দ্বারা আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।

(০৫)
এর দ্বারা আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।

(০৬)
এতে ঈমানের সমস্যা হবেনা।
তবে এরকম অভ্যাস মুমিনদের পরিবর্তন করতে হবে।

(০৭)
এতে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।

(০৮)
এতে ঈমানের সমস্যা হবেনা।

(০৯)
এতেও আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।

(১০)
এতে ঈমানের সমস্যা হবেনা।
আর বাথরুমে মনে মনে ইস্তিগফার পরলে কোন সমস্যা নেই।
তবে যবানে উচ্চারণ করা যাবেনা।

(১১)
এতে ঈমানের সমস্যা হবেনা।
তবে এরকম অভ্যাস মুমিনদের পরিবর্তন করতে হবে।

(১২)
এতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা।
তবে এটি ইসলামী আকীদার খেলাফ,তাই তওবা করতে হবে।

(১৩)
এতে ঈমানের সমস্যা হবেনা।
তবে ইহা নিয়ম বহির্ভুত কাজ করা হবে ও ধোকা দেয়া হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (28 points)
হুজুর একটা প্রশ্ন করতে ভুলে গেছিলাম। দয়া করে উত্তর দিবেন।  হুজুর আমি ইয়াজিদ সম্পর্কে ইউটিউবে একজন হুজুরের    ভিডিও দেখতেছিলাম। তখন সেখানে বলা হয়  ইয়জিদদের আমলে   হোসাইন রাঃ ও তার বংশধরদের হত্যা করা হয়। তখন আমি মনে করেছি ইয়াজিদের নেতৃত্বএ এ হত্যা করা হয়। তখন আমি তাকে মনে মনে  গালি দেই।  গালি দেওয়ার পর ইস্তিগফার পড়ি।    পরে আরও ভিডিও দেখে  জানতে পারি যে, ইয়াজিদ কে আমরা গালিও দিবনা আবার ভালোও বাসবনা। হুজুর আমার গালি দেওয়ার কারনে কি ঈমানের কোন সমস্যা হবে?                  
by (678,880 points)
এতে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...