আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
167 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (89 points)
edited by
১.কেও যদি অন্য জনের কোনো কুফরি লেখা কপি করে,  তৃতীয় ব্যাক্তিকে পাঠায়। (কিন্তু এটা বলে নি যে লেখাটা আরেকজনের কপি থেকে পেস্ট করে দিয়েছে),তবে যাকে দিয়েছে সেই তৃতীয় ব্যক্তি বুঝেছে যে কথাটি প্রেরকের নিজের না। বরং অন্যের থেকে কপি করা,কেবল তাকে দেখানোর জন্য কপি করে দিয়েছে। এই কপি পেস্ট করার ফলে সে ব্যক্তি কি কাফের হবে। (যদি সে ইসব কুফরি মাসআলা মাসায়েল না জানে)

২.কেও যদি এরকম বলে মজা করে "নিজের দু*ধ খাওয়াতে হয় এইটাতে ভালোবাসা বাড়ে ...আর হাসব্যান্ড খেতে না চাইলে জোর করে খাওয়াবা!" এটা কি কুফরী হবে? এই কথা শুনে কেও
হাসাহাসি করলে কি কুফরী হবে? যেহেতু স্বামীর জন্য বউ এর দুধ খাওয়া হারাম।

২. কোনো মানুষ কুফর হবার পদ্ধতি মাসআালা মাসায়েল এইগুলো জান না। সে যদি কোনো কুফর করে তাকে কি কাফের বলা যায়?(যেমন,  নিজেকে কাফের দাবী করলে কাফের হবে, বা অন্তরে বিশ্বাস রেখে কুফরী কথা বললেও কাফের হবে, ইত্যাদি)
৩. আর মাসআলা /মাসায়েল জানার পর এমন মানুষের যদি আগের কোনো ঘটনা মনে পরে যে তা কুফরী ছিলো সেই ঘটনার জন্য সে কি কাফের হবে?বিবাহ দুহরাতে হবে?

৪. অনেক সময় লোকেরা মজা করে বিভিন্ন কথা বলে, যেমন তোমার একটা প্রেম করা উচিত, বা তোমার উচিত ওকে পরীক্ষায় দেখানো, বা তোমার ওই বাকি টাকা মেরে দেওয়া দরকার।  এই টাইপের কথা বললে কি কাফের হবে?

৫.কেও যদি মনে করে যে নিজের দুধ খাওয়া জায়েজ তবে কি কাফের হবে?( ইউটিউব দেখে জেনেছিলো )

1 Answer

0 votes
by (710,360 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কেউ যদি অন্য জনের কোনো কুফরি লেখা কপি করে,  তৃতীয় ব্যক্তিকে পাঠায়। (কিন্তু এটা বলেনি যে লেখাটা আরেকজনের কপি থেকে পেস্ট করে দিয়েছে),তবে যাকে দিয়েছে সেই তৃতীয় ব্যক্তি বুঝেছে নিয়েছে যে, কথাটি প্রেরকের নিজের না। বরং অন্যের থেকে কপি করে নেয়া,কেবল তাকে দেখানোর জন্য কপি করে দিয়েছে। এই কপি পেস্ট করার ফলে সে ব্যক্তি কাফের হবে না।

২.কেউ যদি এরকম বলে মজা করে "নিজের দুধ খাওয়াতে হয় এইটাতে ভালোবাসা বাড়ে ...আর হাজবেন্ড খেতে না চাইলে জোর করে খাওয়াবা!" এটা কুফরী হবে না।তবে এটা অশ্লীল কথা। স্বামীর জন্য স্ত্রীর দুধ খাওয়া হারাম।


২. কোনো মানুষ কুফর হবার পদ্ধতি মাসআালা মাসায়েল এইগুলো জান না। সে যদি কোনো কুফরি করে,তাহলে তাকে কাফের বলা যায়।(যেমন,  নিজেকে কাফের দাবী করলে কাফের হবে, বা অন্তরে বিশ্বাস রেখে কুফরী কথা বললেও কাফের হবে, ইত্যাদি)

এখানে উযর বিল জাহালত গ্রহণযোগ্য হবে না।


৩. মাসআলা /মাসায়েল জানার পর এমন মানুষের যদি আগের কোনো ঘটনা মনে পরে যে তা কুফরী ছিলো সেই ঘটনার জন্য তাকে ঈমান দোহড়াতে হবে। এবং বিয়েও দোহড়াতে হবে।

কোন কোন কথা ঈমান বিধ্বংসী, তা একজন আলেমের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে।


৪. লোকেরা মজা করে বিভিন্ন কথা বলে, যেমন তোমার একটা প্রেম করা উচিত, বা তোমার উচিত ওকে পরীক্ষায় দেখানো, বা তোমার ওই বাকি টাকা মেরে দেওয়া দরকার।  এই টাইপের কথা বলা গোনাহ,তবে সে কাফের হবে না।

৫.কেউ যদি মনে করে যে নিজের দুধ খাওয়া জায়েয, তাহলে এটা গোনাহের কাজ হলেও এজন্য সে কাফির হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...