আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
384 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
আসসালমুআলাইকুম শায়েখ,
আমি দুটি বিষয় জানতে চাইছি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনুরোধ করছি উত্তর দুটি দিবেন তারা তারি।
১. একজন অনেকদিন আগে উত্তেজিত হয়ে স্পর্শ করে , এবং উত্তেজিত হয়ে নিজের হাত গোপন অঙ্গে দিতেই কিছু খন এর মধ্যে বীর্য পাত হয়ে যায়। বিষয় হলো যে হেতু বীর্য পাত হয়েছে ঘটনাস্তানে তাই হুরমত হবে না , কিন্তু সেই ব্যক্তির এখন মনে হচ্ছে বীর্য্যপাত হয়নি। আবার মনে হচ্ছে হয়েছিল তো বীর্য্যপাত ।
*******সে দুটানার মধ্যে হয়েছে , তার মনে হচ্ছে না যে বীর্য্যপাত হয়েছে, বেশির ভাগ মনে হচ্ছে হয়নি আবার মনে হচ্ছে হয়েছে। হয়ত বীর্য্যপাত হয়েছে কিন্তু মনে নেই সেই জন্য মনে হচ্ছে যে বীর্য্যপাত হয়নি। বা হয়ত বীর্য্যপাত হয়নি কিন্তু মনে হচ্ছে হয়েছে , আবার মনে হচ্ছে হয়নি , এইরকম অবস্থা, এক্ষেত্রে কি হুরমত হবে ?
২. কোনো ব্যক্তি স্ত্রীকে বলে, বেশি কথা বাড়ালে তালাক দিবো , স্ত্রী চুপ হয়ে যায়, তার পর ও স্বামী রেগে গিয়ে বলে *এক তালাক*। স্ত্রী তখন জিজ্ঞাসা করে তুমি সত্যি সত্যি বলেছ, স্বামী বলে হ্যাঁ সত্যি বলেছি, কথা হলো তালাক তো এমন বাক্যে দিতে হয়, যে তালাক দিলাম, বা দিয়েছি, এখন কথা হলো সেই ব্যাক্তি ১ তালাক বলেছে সে তো বলিনি যে ১তালাক দিলাম। সে বলেছে ১ তালাক। পরবর্তী তে জিজ্ঞাসা করলে বলে হ্যাঁ আমি উচিত শিক্ষা দিতে তাকে সত্যি সত্যি বলেছি।
******কিন্তূ তার বলার বাক্য তো ঠিক ছিলনা , তাই এই ক্ষেত্র কি তালাক হবে ? যদি না হয় তো ভালো , আর যদি ১ তালাক পতিত হয়, তাহলে তাদের সম্পর্ক সঠিক ভাবে আবার ফিরিয়ে আনার পদ্ধতি কি ? তারা যেনাঁ করী বা গুনহাগার না হয়
একটু বর্ণনা করে বলবেন। জাযাকাল্লাহ খাইর

1 Answer

0 votes
by (566,160 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে সন্দেহ থাকায় হুরমতে মুসাহারাত প্রমানিত হবেনা।

তবে যদি সে নিশ্চিত হয় যে বীর্যপাত হয়নি,এক্ষেত্রে কামভাবের সহিত মহিলার গোপন অঙ্গ কাপড় ছাড়াই সরাসরি স্পর্শ করে থাকলে ও হুরমতে মুসাহারাত প্রমানিত হওয়ার সমস্ত শর্ত পাওয়া গেলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমানিত হবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০২)
স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে এক তালাক/তালাক বললেই তালাক হয়ে যায়।

"দিলাম/দিয়েছি" এগুলো বলার আবশ্যকীয়তা নেই।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এক তালাকে রজয়ী পতিত হয়েছে।
এখন উক্ত স্ত্রীকে ইদ্দতকাল (তিন হায়েজ) অতিবাহিত হওয়ার
আগেই ফিরিয়ে নিতে চাইলে রজয়াত করতে হবে।
,
হাদিস শরিফে এসেছে,

ثَلاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ : النِّكَاحُ ، وَالطَّلاقُ ، وَالرَّجْعَةُ

‘রাসূল (সা.) বলেছেন, তিনটি বিষয় এমন রয়েছে যা গোস্বায় হোক বা হাসি ঠাট্টায় হোক সর্বাবস্থায় কার্যকরী হয়ে থাকে। বিবাহ, তালাক ও রজয়াত।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২১৯৪; সুনানে তিরমিযী, হাদিস: ১১৮৪]

★স্পষ্ট বাক্যে এক তালাক বা দুই তালাক দেয়ার পর স্বামীর অধিকার থাকে, স্ত্রীকে ইদ্দত তথা তিন হায়েজ অতিক্রান্ত হওয়ার আগে রাজআত করা তথা স্ত্রীকে স্ত্রী হিসেবে ফিরিয়ে আনা। 

রাজআত দু’ভাবে হতে পারে–
১. কথার মাধ্যমে ইদ্দতের ভেতর স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো। যেমন সরাসরি অথবা ফোনে অথবা কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে একথা বলা যে, ‘তোমাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করলাম’। একথার মাধ্যমে তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক পুনঃবহাল হয়ে যাবে।
২. কর্মের মাধ্যমে ইদ্দতের ভেতর স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো। অর্থাৎ স্ত্রীর সঙ্গে এমন কোনো আচরণ দেখানো যা একজন স্বামী একজন স্ত্রীর সঙ্গেই দেখাতে পারে। যেমন তাকে চুমো দেয়া কিংবা তার সঙ্গে সহবাস করে নেয়া ইত্যাদি। এজাতীয় কর্মের মাধ্যমেও তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক পুনঃবহাল হয়ে যাবে।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এক তালাকে রজয়ী পতিত হয়েছে।
এখন উক্ত স্ত্রীকে ইদ্দতকাল অতিবাহিত হওয়ার
আগেই ফিরিয়ে নিতে চাইলে রজয়াত করতে হবে।

আর যদি স্ত্রীকে ইদ্দতকাল অতিবাহিত হওয়ার
আগেই ফিরিয়ে নিতে না পারে,যদি ইদ্দতকাল শেষ  হয়ে যায়,এক্ষেত্রে নতুন ভাবে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...