আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
243 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (-1 points)
আসসালামু আলাইকুম,

অধিকাংশ আলেমদের মুখে যেধরনের কথাগুলো শোনা যায় যে-

* তুমি যদি পিতা-মাতার সাথে খারাপ ব্যবহার করো তাহলে তোমার সন্তানও তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করবে।

* তুমি যদি অন্যায়ভাবে কারো গায়ে হাত তোলো তাহলে তোমার মৃত্যুর আগে কেউ না কেউ তোমার উপর পা তুলবে।

* তুমি যদি অন্যের মেয়েকে ধর্ষণ করো তাহলে তোমার মেয়েকেও ভবিষ্যৎ-এ ধর্ষণ করা হবে।

প্রশ্ন: কুরআন-হাদিসের আলোকে এই কথাগুলো কী প্রমাণিত?

1 Answer

0 votes
by (682,160 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

""তুমি যদি পিতা-মাতার সাথে খারাপ ব্যবহার করো তাহলে তোমার সন্তানও তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করবে।""

মর্মে কুরআন হাদীস থেকে কিছুই পাইনি।

তবে এটা মা বাবার অভিশাপ তথা বদ দোয়ার কারনে হয়ে থাকে,তাই উলামায়ে কেরামগন এই বিষয়ে সতর্ক করে থাকেন।

পিতা মাতার সন্তুষ্টিতেই আল্লাহর সন্তুষ্টি,আর পিতা মাতার অসন্তুষ্টিির ভিতরেই আল্লাহ তায়ালার অসন্তুষ্টি। 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ      
   بَابُ قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَوَصَّيْنَا الإِنْسَانَ بِوَالِدَيْهِ حُسْنًا}
حَدَّثَنَا آدَمُ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَعْلَى بْنُ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ: رِضَا الرَّبِّ فِي رِضَا الْوَالِدِ، وَسَخَطُ الرَّبِّ فِي سَخَطِ الْوَالِدِ.

পরিচ্ছেদঃ ১- আল্লাহর বাণীঃ “আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছি” (২৯ : ৮)।
 ইবনে উমার (রাঃ) বলেন, (কারো প্রতি তার) পিতা সন্তুষ্ট থাকলে প্রভুও তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকেন এবং তার পিতা অসন্তুষ্ট থাকলে প্রভুও অসন্তুষ্ট থাকেন।- (তিরমিযী, হাকিম, বাযযার, তাহাবী, আদ-দুররুল মানসুর)

তাই তাদের বদ দুয়া থেকে সব সময় বেঁচে থাকার চেষ্টা করতে হবে।
  
*তুমি যদি অন্যায়ভাবে কারো গায়ে হাত তোলো তাহলে তোমার মৃত্যুর আগে কেউ না কেউ তোমার উপর পা তুলবে।
* তুমি যদি অন্যের মেয়েকে ধর্ষণ করো তাহলে তোমার মেয়েকেও ভবিষ্যৎ-এ ধর্ষণ করা হবে।

এই মর্মেও কুরআন হাদীস থেকে কিছুই পাইনি।
,
তবে অন্যকে কাফের বললে সে আসলে কাফের না হলে সেই কুফরী নিজের দিকে আসবে মর্মে হাদীস শরীফ থেকে একটি হাদীস পাই।

হাদীসে রাসূল সাঃ যে ব্যক্তি কাফের না তাকে কাফের বললে, সেই কুফরী নিজের দিকে প্রত্যাবর্তন করে মর্মে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন-

عن أبي ذر رضي الله عنه أنه سمع النبي صلى الله عليه و سلم يقول ( لا يرمي رجل رجلا بالفسوق ولا يرميه بالكفر إلا ارتدت عليه إن لم يكن صاحبه كذلك )

হযরত আবু জর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসুল সাঃ বলেছেন যে, তোমাদের কেউ যদি কাউকে ফাসেক বলে, কিংবা কাফের বলে অথচ লোকটি এমন নয়,তাহলে তা যিনি বলেছেন তার দিকে ফিরে আসবে। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৬৯৮}


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...