আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
77 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (30 points)
আসসালামুআলাইকুম, শায়েখ।

আমি একজন কলেজ পড়ুয়া। আমার আব্বা-আম্মা বদ-দীন ।গত বছর আমার আব্বা আমার আম্মার উপর রেগে গিয়ে বলে বসেন, "তোকে তালাক দিতেসি, এক তালাক, দুই তালাক"। এমনটা আমার আব্বা দুইবার দুইটা ভিন্ন ঘটনায় বলেছেন আমার আম্মাকে। মোটকথা, আমার আব্বা আমার আম্মাকে ৪ বার তালাক বলেছেন। আমি দুই-তিনজন বিশ্বস্ত উলামায়ে কেরামের সাথে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ করে জানতে পারি যে আমার আব্বা-আম্মা এখম পরস্পরের জন্য হারাম হয়ে গেসে। তাদের আর বিবাহ নেই। এ কথা আমি আমার আব্বা-আম্মাকে বোঝানোর চেষ্টা করি। আমি আমার সাধ্যমতো তাদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও, তারা মানতে নারাজ। আমি রীতিমতো তাদেরকে এই হারাম সম্পর্ক থেকে আলাদা করার জন্য ছেলে হিসেবে যতটুকু প্রতিবাদ করা দরকার, তার থেকে অনেক বেশি করেছি, যার ফলে অনেকসময় তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে এবং আমাকেও অনেক পেরেশানির শিকার হতে হয়েছে।

আজ এক বছরের বেশি পার হয়ে গেছে সেই ঘটনাগুলোর। কিন্তু, আজও তারা সংসার করছে। আমিও তাদের সঙ্গেই থাকি বাধ্য হয়ে, কারণ আমি আমার বাবার উপর  নির্ভরশীল। এখন আর আমি তাদের একত্র থাকা নিয়ে কোনো প্রতিবাদ করি না, কারণ তারা আমার কথা কানে লাগায় না এবং অহেতুক এই নিয়ে বাসায় ফেতনা-ফাসাদ সৃষ্টি হয়। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আমার সামনে যদি আমার বাবা-মা তাদের এই হারাম সম্পর্ককে চালিয়ে যায়, এবং শারিরীক মেলামেশা করে, তাহলে কি আমি কোনো অংশে এর জন্য গুনাহগার হবো?

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
edited by
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

اِنۡ تَکۡفُرُوۡا فَاِنَّ اللّٰہَ غَنِیٌّ عَنۡکُمۡ ۟ وَ لَا یَرۡضٰی لِعِبَادِہِ الۡکُفۡرَ ۚ وَ اِنۡ تَشۡکُرُوۡا یَرۡضَہُ لَکُمۡ ؕ وَ لَا تَزِرُ وَازِرَۃٌ وِّزۡرَ اُخۡرٰی ؕ ثُمَّ اِلٰی رَبِّکُمۡ مَّرۡجِعُکُمۡ فَیُنَبِّئُکُمۡ بِمَا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ ؕ اِنَّہٗ عَلِیۡمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوۡرِ ﴿۷﴾ 

যদি তোমরা কুফরী কর তবে (জেনে রাখ) আল্লাহ তোমাদের মুখাপেক্ষী নন। আর তিনি তার বান্দাদের জন্য কুফরী পছন্দ করেন না। এবং যদি তোমরা কৃতজ্ঞ হও তবে তিনি তোমাদের জন্য তা-ই পছন্দ করেন। আর কোন বোঝা বহনকারী অপরের বোঝা বহন করবে না। তারপর তোমাদের রবের কাছেই তোমাদের ফিরে যাওয়া। তখন তোমরা যা আমল করতে তা তিনি তোমাদেরকে অবহিত করবেন। নিশ্চয় অন্তরে যা আছে তিনি তা সম্যক অবগত।
(সুরা আয যুমার ০৭)

وَ لَا تَزِرُ وَازِرَۃٌ وِّزۡرَ اُخۡرٰی

কোনো ব্যাক্তি অন্য কোনো ব্যাক্তির গুনাহের বোঝা বহন করবেনা।
(সুরা ফাতির ১৮)

অর্থাৎ কেয়ামতের দিন কোন মানুষ অন্য মানুষের পাপভার বহন করতে পারবে না। প্রত্যেককে নিজের বোঝা নিজেই বহন করতে হবে। “বোঝা” মানে কৃতকর্মের দায়দায়িত্বের বোঝা। এর অর্থ হচ্ছে, আল্লাহর কাছে প্রত্যেক ব্যক্তি নিজেই তার কাজের জন্য দায়ী এবং প্রত্যেকের ওপর কেবলমাত্র তার নিজের কাজের দায়-দায়িত্ব আরোপিত হয়। এক ব্যক্তির কাজের দায়-দায়িত্বের বোঝা আল্লাহর পক্ষ থেকে অন্য ব্যক্তির ঘাড়ে চাপিয়ে দেবার কোন সম্ভাবনা নেই। কোন ব্যক্তি অন্যের দায়-দায়িত্বের বোঝা নিজের ওপর চাপিয়ে নেবে এবং তাকে বাঁচাবার জন্য তার অপরাধে নিজেকে পাকড়াও করাবে  এরও কোন সম্ভাবনা নেই।
,
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,    
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তো আপনার মায়ের উপর তিন তালাক পতিত হয়ে আপনার বাবার জন্য তিনি হারাম হয়ে গিয়েছে।
তাদের এখন যেনার সংসার চলছে।
,
তবে আপনি যেহেতু আপনার বাবা মাকে সাধ্যমতো বুঝিয়েছেন,সুতরাং তাদের এই গুনাহের বোঝা আপনার উপর বর্তাবেনা।
তারাই তাদের গুনাহের দায়ভার নিবে। 

আপনি বিষয়টি নিয়ে আরো চেষ্টা করতে পারেন,আপনার এলাকার ইমাম সাহেবের মাধ্যমে একান্তে নিজ বাবাকে বুঝাতে পারেন,কোনো ফতোয়া বিভাগ থেকে লিখিত ফতোয়া নিয়ে এসে আপনার বাবাকে দিতে পারেন,পরিবারে যারা মুরব্বি রয়েছে,তাদের মাধ্যমেও বুঝাতে পারেন।

তিন তালাকের বিধান জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...