আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
62 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম ওরাহ্মাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ..
জামায়াতে  নামায পড়াকালে তাশাহহুদ পড়ার সময় (আসসালামু আলাইনা....ছলিহিন...পড়তে গিয়ে ছলিহিন শব্দিটির "হিন"পড়ার সময় আমার কন্ঠস্বর কিছুটা বেড়ে যায় এক্টু জোরে পড়ে ফেলি গলা থেকে এক্টু আওয়াজ বের হয়ে যায় ..তা শুনে পাশের মুসল্লি(কম বয়সি ছেলে)আমার এ পড়া দেখে হাসে নামাযের মধ্যেই...আমার কিরকম এক্টা ফিল হয় হাসি দেখে...এখন তার এ হাসি থেকে বাচার জন্য আমি যদি ছলিহিন শব্দের "হিন" টা এক্টু আস্তে পড়ি.. তাহলে ঐ মুসল্লির জন্য আমার ছলিহিন আস্তে পড়াটা "লোকের জন্য নামায  পরিবর্তনের মধ্যে পড়বে কিনা? এটা কি রিয়া হয়ে যাবে? যেহেতু লোকের হাসি থেকে বাচার জন্যই তা আমি পরিবর্তন করেছি--অরথাৎ জোরে না পড়ে আস্তে পড়েছি

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ


ইবাদত শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তষ্টির জন্যই হওয়া চাই।
রাছূল সাঃ বলেছেন-
مَنْ صَلَّى يُرَائِي فَقَدْ أَشْرَكَ، وَمَنْ صَامَ يُرَائِي فَقَدْ أَشْرَكَ، وَمَنْ تَصَدَّقَ يُرَائِي فَقَدْ أَشْرَكَ.

অর্থ:- যে ব্যক্তি মানুষকে দেখানোর উদ্দেশ্যে নামায পড়ল সে শির্ক করল, যে ব্যক্তি মানুষকে দেখানোর উদ্দেশ্যে রোযা পালন করল সে শির্ক করল, যে ব্যক্তি মানুষকে দেখানোর উদ্দেশ্যে দান-সাদাক্বাহ করল সে শির্ক করল। (মুসনাদে আহমাদ)
 
আল্লাহর সন্তুষ্টির সাথে সমান সমান ভিন্ন কোনো নিয়ত থাকলে বা আল্লাহর সন্তুষ্টি ব্যতীত ভিন্ন কোনো নিয়ত থাকলে তখন উক্ত ইবাদতকে রিয়া বলা যায়।তবে যদি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই মূল উদ্দেশ্য থাকে এবং লোকজন ভাল বলবে, সেই আমলের দুনিয়াবী ফয়দা বিবেচনা করা হয়,তাহলে এমন নিয়ত আল্লাহর সাথে শরীক করা হয় না এবং লোক দেখানোও হয় না।
 
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সূরতটি রিয়ার অন্তর্ভুক্ত হবে না। 
যদি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই মূল উদ্দেশ্য থাকে, সেই ইবাদতে অপ্রাসঙ্গিক ভাবে লোক দেখানোর বিষয় চলে আসলে এটিকে রিয়া বলা যায়না।

তাই প্রশ্নোক্ত ছুরতকে রিয়া বলা হলা হবেনা,এতে  সমস্যা নেই। 

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...