আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
153 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (15 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রশ্ন ছিল : -
পারিবারিক কোলহ থাকার কারনে যদি কেউ ওয়াইফকে তালাক দেবার উদ্দেশ্যে কোর্টে যায়,
তাহলে কি তালাক হয়ে যাবে?
যদিও যাবার পর কোন কিছু করা হয়নি। ব্যাক চলে আসা হয়েছে।

আপনার উওর : -
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কেহ যদি তার ওয়াইফকে তালাক দেবার উদ্দেশ্যে কোর্টে যায়,সে যদি মৌখিক ভাবে বা লিখিতভাবে কোনোভাবেই স্ত্রীকে তালাক না দেয়,কাউকে তালাক দেয়ার দায়িত্বও না দেয়, কাউকে তালাক দেয়ার কথা না হলে,তাহলে শুধুমাত্র কোর্টে যাওয়ার দরুন তালাক হবেনা।

তাই প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

এখন আমি জানতে চাচ্ছি : - কাউকে তালাক দেয়ার কথা না হলে, এটার মানে কি হুজুর?
আমি যাবার পর কয়েকজন জানতো যে আমি কেন আসছি। তারা রাজি ছিল না,মানা করছিল। আমার কাছে ফোন করে অনেকে নিষেধ করছিল। তাই ব্যাক চলে আসছি।
মুখে বলিনি যে তালাক দিলাম। বা লিখি ও নি কোথাও।
মাঝে কারো সাথে কথা হলে হতে পারে যে, তালাক দেবার জন্য আসছি। এছাড়া কাউকে বলিনি যে, তালাক দিয়ে দিলাম, তুমি মেয়ের পরিবারকে জানাই দাও।
এতে কি কোন সমস্যা হবে??

উকিল এর সাথে ও কথা বলছি। উকিল বলছে কিভাবে কি করতে হবে। কিন্তুু সেমন কোন কিছু করা হয়নি।

1 Answer

0 votes
by (564,060 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,

الرِّجَالُ قَوَّامُونَ عَلَى النِّسَاء بِمَا فَضَّلَ اللّهُ بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضٍ وَبِمَا أَنفَقُواْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ فَالصَّالِحَاتُ قَانِتَاتٌ حَافِظَاتٌ لِّلْغَيْبِ بِمَا حَفِظَ اللّهُ وَاللاَّتِي تَخَافُونَ نُشُوزَهُنَّ فَعِظُوهُنَّ وَاهْجُرُوهُنَّ فِي الْمَضَاجِعِ وَاضْرِبُوهُنَّ فَإِنْ أَطَعْنَكُمْ فَلاَ تَبْغُواْ عَلَيْهِنَّ سَبِيلاً إِنَّ اللّهَ كَانَ عَلِيًّا كَبِيرًا

‘পুরুষেরা নারীদের ওপর কৃর্তত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের ওপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সে মতে নেককার স্ত্রীরা হয় অনুগতা এবং আল্লাহ যা হেফাজতযোগ্য করে দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাজত করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোনো পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সবার ওপর শ্রেষ্ঠ।’ (সূরা: নিসা , আয়াত: ৩৪)।

তালাক খুবই মারাত্মক একটি বিষয়। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।
(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

স্বামী স্ত্রীর মাঝে কোনোভাবেই বনিবনা না হলে, শত চেষ্টার পরেও সমাধান না হলে সেক্ষেত্রে স্বামী তার স্ত্রীলে তালাক দিতে পারে।
এমনিতেই তালাক দেয়া ঠিক নয়।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আগের প্রশ্নের জবাবে "কাউকে তালাক দেয়ার কথা না বললে""
এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো,কাউকে আপনার পক্ষ থেকে স্ত্রীকে তালাক দেয়ার দায়িত্ব না দিলে। 
যেমন আপনি যদি কাউকে বলেন যে তুমি আমার স্ত্রীকে আমার পক্ষ থেকে তালাক দাও,সেক্ষেত্রে সে আপনার স্ত্রীকে আপনার পক্ষ থেকে উকিল হয়ে তালাক দিলে তালাক হয়ে যাবে।
,
অথবা আপনিই কাউকে বললেন যে আমি আমার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছি,এমন বাক্য সত্য হোক বা মিথ্যা হোক,কাউকে বললে তালাক হয়ে যাবে।
,
★প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি যেহেতু কাউকে তালাক দেয়ার দায়িত্বও দেননি,তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তালাক হবেনা।
আপনি নিশ্চিত থাকুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (4 points)
দায়িত্ব দিলে যাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সে ও যদি তালাক না দেয় বা লিখিত ভাবে দেওয়ার দায়িত্ব দিলেও যদি ব্যবস্থা করব বা কোর্টে যাব বলেও কোনো কিছু না করে বরং তখন যদি উল্টো স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মিল হয়ে যায় তখন কি আর তালাক হবে। আর ওই লোকের কি তখন আর দায়িত্ব থাকবে। দয়া করে জানাবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...