আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
76 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
Assalamualaikum wa Rahmatullahi barkathu

১. স্ত্রী তার মায়ের বাড়ি ছিল ।কিছু দিন আগে স্ত্রীর সঙ্গে রাত্রি তে ঝামেলা হয়ে ১তালাক  বলা হয়েছে ফোনে। সকালে সেই ঝামেলা ঠিক করার জন্য  আমি স্ত্রী  কে নিয়ে একটু বাইরে ঘুরতে নিয়ে জাই।
কিন্তু সেইখানে আমার এত রাগ হয়েছিল বলার মত না । কারণ স্ত্রীর ভুলের জন্য এত বড় কান্ড হলো। শুধু মাত্র স্ত্রীর ভুলের জন্য এমন হয়েছিল তাই আমার রাগ কষ্ট হচ্ছিল। ( রাত্রিতে সব ঠিক করে নিয়েছি কিনা মনে পড়েনা কিন্তু সন্ধার সময় ফিরিয়ে নিয়েছিলাম , বা সঙ্গে সঙ্গে হয়ত ফিরিয়ে নিয়েছিলাম)
স্ত্রী বারবার ভুল শিকার করছিল ক্ষমা চাইছিল স্ত্রীর কথা শুনলে রেগে যাচ্ছিলাম  ।"
""*"""  তাই স্ত্রী কে বললাম তোমাকে দেখলেই আমার রাগ হয়ে যাচ্ছে"""""""""
"""""""তোমার মুখ দেখলে রাগ হয়ে যাচ্ছে। " """"""""
এক্ষেত্রে কটা তালাক হবে?
২. আমার স্ত্রীর সঙ্গে যখন একটু কথা কাটা কাটি হয়, বা স্ত্রী যখন আমাকে রাগিয়ে দেই, তখনি মনে মনে তালাক এর ভাবনা চলে আসে। দিয়ে আমার ভয় হয়ে জাই যে কি বলবো না বলবো যদি কোনো আবার তালাক এর বাক্য হয়ে জাই তাই আমি চুপ থাকি। কিন্তু রাগ কে কন্ট্রোল করতে প্লন পেরে , গালি দি। তালাকের ভাবনা মাথায় ঘুরে  , দিয়ে এত কিছু না ভেবে স্ত্রী কে গালি দিয়েছি,
শুয়োর এর বাচ্চা।, বেশ্যা ম্যাগী, খানকীর বাচ্চা, মাকে চু* , ইত্যাদি বলে না না ভাষায় গালি দিয়েছি,
এইসব গালি দেওর সময় তালাকের ভাবনা মাথায় ছিল। কিন্তু উদ্দেশ্য ছিলনা তালাক দিবো। এমনি গালি দিয়েছি রেগে।  এই রকম মনে হচ্ছে মাঝের মধ্যে যা হবে হোক। দিয়ে গালি দিয়ে দিয়েছি। কিন্তু তালাক কে মাথায় তালাকের ভাবনা ঘুরেছে কিন্তু উদ্দেশ্য করে গালি দেইনি। যদিও কোনো দিন হয় সেইটা ঠিক সরণে আসেনাম
হুজর এর জন্য কি তালাক হবে??
৩. স্ত্রীর ওপর প্রচুর রেগে গিয়েছিলাম , তালাকের ভাবনা মাথায় ঘুরেছে , কি বাক্য বলবো দিয়ে হয়ত তালাকের কোনো বাক্য হবে, সেই ভয় স্ত্রীর রাগ করে বলতাম * নির্লজ্জ, বেহায়া। জন্মের দোষ ( যেনো তালাকের কোনো বাক্য না হয়)  ইত্যাদি বলেছি।
এর জন্য কি তালাক হবে?
৪. হুজুর আমাকে জানিয়ে দিন যে কি কি গালি দিলে তালাক হয়।
by
edited
হুজুর স্ত্রীর সঙ্গে এই নিয়ে কথা হচ্ছিলো, স্ত্রী রেগে বলছে তুমি যখন গালি দিয়েছি তখন কি তোমার ছেড়ে দেওয়ার নিয়ত ছিল আমি বললাম না। 
আমি বললাম  মনে মনে ভয় এ  অন্য ভাবনার সৃষ্টি হয়। কিন্তু ইচ্ছা নেই। দিয়ে স্ত্রী বলছে তাহলে তোমার মনে এই রকম চিন্তা হচ্ছে কেনো ? আমি চুপ ছিলাম জাস্ট রাগে ওই রকম মনে হয়। 
এর জন্য তালাক হবে না তো?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।


আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...