ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
দুইজন মুসলিম ডাক্তার যদি একথার সাক্ষ্য দান করেন যে, মা বা সন্তান যেকোনো একজনকে বাচানোর চেষ্টা করতে হবে। মানুষের জ্ঞান হিসেবে এটাই আমাদের সর্বশেষ চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত।তাহলে এমতাবস্থায় মাকে বাচানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
(২)
সাদা পানি ভাঙ্গার পরও নামায ফরয থাকবে।কেননা সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পরই নেফাস শুরু হয়।
وَهُوَ دَمٌ يَعْقُبُ الْوِلَادَةَ كَذَا فِي الْمُتُونِ
নেফাস হল সেই রক্ত যা সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পর বাহির হয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭)
সুতরাং সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পরই নেফাস শুরু হবে।এর পূর্বে সাদা পানি ভাঙ্গার সময় নামায ফরয থাকবে।সম্ভব হলে নামাযকে পড়ে নেয়া হবে, নতুবা পরবর্তীতে কাযা করতে হবে।
(৩)
নফল ইবাদত শুরু করার পর তাকে পূর্ণ করা ওয়াজিব।সুতরাং আপনি এই রোযাকে পূনরায় রাখবেন।রাখা ওয়াজিব।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَلَا تُبْطِلُوا أَعْمَالَكُمْ
হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, রসূলের (সাঃ) আনুগত্য কর এবং নিজেদের কর্ম বিনষ্ট করো না।(সূরা মুহাম্মদ-৩৩)