আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
86 views
in পবিত্রতা (Purity) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১) কোনো মহিলার যদি ১০ দিন এর বেশি মাসিক হয় কোনো মাসে, তিনি কি ১০ দিনের পর থেকে ফরজ বা নফল রোজা রাখতে পারবেন? এর বিধান কি? আর যদি ৩ এর কম হয় তাহলে কিভাবে রোজা রাখবে? যেহেতু প্রথমে স্রাব শুরু হলে বোঝা যায়না কতদিন থাকবে, তাই অনেকেই তো রোজা বাদ দেয় ঋতুস্রাব ভেবে।
২) ১০ দিন এর বেশি মাসিক স্থায়ী হলে কি ফরজ, সুন্নত, নফল সমস্ত নামাজ পড়তে পারবে? আর ৩ দিনের কম হলে কিভাবে সালাত আদায় করবে? প্রথম এ তো বোঝা যায়না কতদিন মাসিক থাকবে? যদি সালাত বাদ দিয়ে ফেলে মাসিক ভেবে এবিং পরে দেখে দুইদিন হয়েছে তাহলে কিভাবে সালাত পূরণ করবে?? বিস্তারিত জানতে চাই। খুবই জরুরী দরকার।


জাযাকুমুল্লাহু খইরন।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا عَلِيٌّ، - يَعْنِي ابْنَ مُسْهَرٍ - عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُعَاذَةَ الْعَدَوِيَّةِ، أَنَّ امْرَأَةً، سَأَلَتْ عَائِشَةَ أَتَقْضِي الْحَائِضُ الصَّلاَةَ إِذَا طَهُرَتْ قَالَتْ أَحَرُورِيَّةٌ أَنْتِ كُنَّا نَحِيضُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ نَطْهُرُ فَيَأْمُرُنَا بِقَضَاءِ الصَّوْمِ وَلاَ يَأْمُرُنَا بِقَضَاءِ الصَّلاَةِ .

আলী ইবনু হুজর (রহঃ) ... মুআযা আদাবীয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক মহিলা আয়িশা (রাঃ)-এর কাছে জিজ্ঞাসা করল যে, ঋতুবতী মহিলা যখন ঋতু থেকে পবিত্র হবে তখন কি সে সালাত কাযা করবে? তিনি বললেন, তুমি কি হারুরী গোত্রের মহিলা? আমরা তো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে ঋতুবতী হতাম এবং যখন পবিত্র হতাম তখন আমাদেরকে সাওম কাযা করার নির্দেশ দেওয়া হল কিন্তু সালাত কাযা করার নির্দেশ দেওয়া হত না।

(নাসায়ী শরীফ ২৩২০।)

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي الْيَقْظَانِ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ " تَدَعُ الصَّلاَةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا الَّتِي كَانَتْ تَحِيضُ فِيهَا ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتَتَوَضَّأُ عِنْدَ كُلِّ صَلاَةٍ وَتَصُومُ وَتُصَلِّي " .
আদী ইবনু সাবিত (রাহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত আছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইস্তিহাযার রোগিণী সম্পর্কে বলেনঃ ইতোপূর্বে সে যে কয়দিন ঋতুবতী থাকতো ততদিন নামায ছেড়ে দেবে; অতঃপর গোসল করবে এবং প্রত্যেক নামাযের সময় নতুন করে ওযু করবে এবং রোযা রাখবে ও নামায আদায় করবে। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৬২৫) তিরমিজি ১২৬)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 

(০১)
হায়েজের সর্বোচ্চ সময়সীমা ১০ দিন ১০ রাত।
সুতরাং কোনো মহিলার যদি ১০ দিন এর বেশি মাসিক হয় কোনো মাসে, তিনি  ১০ দিনের পর থেকে ফরজ বা নফল রোজা রাখতে পারবেন।
কেননা ১০ দিনের পর যারা যাহা আসে,সেটি ইস্তেহাজা।

★তিন দিনের কম হায়েজ হলে অনেকেই যেহেতু রোজা বাদ দেয় ঋতুস্রাব ভেবে।
সুতরাং তারা পরবর্তীতে সেই রোযা গুলির কাজা আদায় করবে।
আর উল্লেখিত বিষয়টি আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেন।

(০২)
১০ দিন এর বেশি মাসিক স্থায়ী হলে ফরজ, সুন্নত, নফল সমস্ত নামাজ পড়তে পারবে।
কুরআন তিলাওয়াত করতে পারবে।
সবই করতে পারবে।  

আর ৩ দিনের কম হলে সে সালাত আদায় করবে।
এখন বিষয়টি যেহেতু বুঝার উপায় নেই,সুতরাং সে আপাতত নামাজ বন্ধ রাখবে
যখন দেখবে যে ৩ দিনের কমেই হায়েজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে,তখন সে উক্ত নামাজ গুলির কাজা আদায় করবে।
আর তার এই কাজা করার গুনাহ আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেন। 

হ্যাঁ যদি উক্ত মহিলার অভিজ্ঞতার আলোকে প্রবল ধারনা হয় যে তার এই মাসিক নিশ্চিত  ৩ দিনের কমই হবে,তাহলে সে উক্ত দিন গুলোতে নামাজ রোযা কন্টিনিউ করতে পারবে।
 
আরো জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 90 views
...