বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ কিতাবে সালাম সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে,
ইমাম নববী রাহ আল-আযকার কিতাবে লিখেন,
وَذَكَرَ فِي الأَْذْكَارِ أَنَّ الْمُبْتَدِعَ وَمَنِ اقْتَرَفَ ذَنْبًا عَظِيمًا وَلَمْ يَتُبْ مِنْهُ يَنْبَغِي أَنْ لاَ يُسَلَّمَ عَلَيْهِمْ وَلاَ يُرَدَّ عَلَيْهِمُ السَّلاَمُ.
বিদাতি এবং বড় গোনাহকে স্বীকারকারী যে আবার তাওবাহও করেনি,এমন ব্যক্তিদ্বয়কে সালাম না করাই উচিৎ।এবং তাদের সালামের জবাব না দেয়াই উচিৎ।(২৫/২৬৭)
সুতরাং মিলাদ কিয়াম সহ বিভিন্ন বিদ'আতে লিপ্ত ব্যক্তিদেরকে সালাম না করাই উচিৎ।কেননা এতে তারা বিদ'আতের প্রতি আরো উৎসাহিত হবে।এবং তাদেরকে সম্মান প্রদানের দরুণ সমাজে আরো বিদ'আত বেশী হবে।তবে হেকমত ও মুসলিহত থাকলে তাদেরকেও সালাম করা যাবে।
(২)
(ক)মা দুর্গা গজে চড়ে আসলে ফসল উৎপন্ন ভালো হয়।
(খ)হাত মোজা,পা' মোজা পরে জীবন্ত তাবুর মত ঘুরার কোন মানে হয় না।
(গ)হিন্দু মূর্তির সামনে পুজাতে হিন্দুদের সাথে কোন পাউডার জাতীয় কিছু ঢালা।
এসবই শিরকি মনোভাব ও কাজ।প্রথম দুই প্রকার স্পষ্ট কুফরী। এর জন্য তাওবাহ করে ঈমানকে নবায়ন করতে হবে।তৃতীয় প্রকারের ব্যাপারে বলা যায় যে,যদি হিন্দু দেবদেবীকে সম্মান প্রদর্শনের নিয়তে কিছু ঢালা হয়,তাহলে ঈমান চলে যাবে।আর যদি সম্মান প্রদর্শন নয়,বরং ভিন্ন কোনো কারণে এসব করে,তাহলে ঈমান যদিও যাবে না,তবে এমনটা করা কখনো জায়েয হবে না।
(৩)
না রাখেন না।