আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
48 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (48 points)

আমার আমার মা এর ফোন নিয়েছিলাম তখন তার মেসেঞ্জার এপ্লিকেশন এ একজন মানুষ সালাম দেয় এখন এই সালাম এর জবাব দেয়া কি আমার উপর কি ওয়াজিব হল নাকি এটার জবাব আমার মা এর উপর ওয়াজিব হল আর সে কি লেখে দিবে কি ?

???????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????

1 Answer

0 votes
by (677,400 points)
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم


সালামের জবাব দেওয়া আবশ্যক।  কারণআল্লাহ্ তাআলা বলেন,

وَإِذَا حُيِّيتُم بِتَحِيَّةٖ فَحَيُّواْ بِأَحۡسَنَ مِنۡهَآ أَوۡ رُدُّوهَآ

আর যখন তোমাদেরকে সালাম দেওয়া হবেতখন তোমরা তার চেয়ে উত্তম সালাম দেবে। অথবা জবাবে তাই দেবে। (সূরা আন নিসা ৮৬)

 

শরীয়তের বিধান হলোঃ   লিখিত সালামের জবাব লিখেও দেওয়া যায় আবার মুখে উচ্চারণ করেও দেওয়া যায়।

পরিচিত অপরিচিত সবাইকে সালাম দেওয়ার কথা হাদীসে এসেছে,

যেমন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি থেকে বর্ণিতএক ব্যক্তি নবীজী সাঃ কে প্রশ্ন করলইসলামের মধ্যে কোন কাজ সর্বোত্তম?

ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﻤﺮﻭ ﺃﻥ ﺭﺟﻼ ﺳﺄﻝ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺃﻱ ﺍﻹﺳﻼﻡ ﺧﻴﺮ ﻗﺎﻝ ﺗﻄﻌﻢ ﺍﻟﻄﻌﺎﻡ ﻭﺗﻘﺮﺃ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻋﻠﻰ ﻣﻦ ﻋﺮﻓﺖ ﻭﻋﻠﻰ ﻣﻦ ﻟﻢ ﺗﻌﺮﻑ ((ﺍﻟﻜﺘﺐ » ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ » ﺍﻻﺳﺘﺌﺬﺍﻥ » ﺑﺎﺏ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻟﻠﻤﻌﺮﻓﺔ ﻭﻏﻴﺮ ﺍﻟﻤﻌﺮﻓﺔ

নবীজী সাঃ প্রতিউত্তরে বললেনঃ পরিচিত অপরিচিত সবাইকে খাদ্য খাওয়ানো এবং (মুসলিম মনে হলে) সালাম প্রদান করা। (সহীহ বুখারী-৫৮৮২)


https://ifatwa.info/3817/ নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,

শরীয়তের বিধান হলো লিখিত সালামের জবাব লিখেও দেওয়া যায় আবার মুখে উচ্চারণ করেও দেওয়া যায়।

,

এক্ষেত্রে মৌখিক জবাব তাকে শুনিয়ে দেওয়া জরুরি নয় এবং সালামের জবাবের জন্য তাকে পাল্টা উত্তর লেখা কিংবা ফোন করে বা মেসেজ করে জানানো কোনোটিই জরুরি নয়। বরং একাকী মুখে জবাব দিয়ে দিলেই হবে।

-ফয়যুল কাদীর ৪/৩১রদ্দুল মুহতার ৬/৪১৫

 

শরীয়তের বিধান হলো   লিখিত সালামের জবাব দেয়াও ওয়াজিব।

,

তাই ফেসবুক,ইমো ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেহ যদি কাউকে সালাম দেয়,তাহলে সেই মেসেজ তার সামনে পরলে তাকে জবাব দিতে হবে। 

 

লেখাটির জবাব দেবার ইচ্ছে থাকলে লিখার সময় সালামের জবাব লিখে দিবে। আর না দেবার ইচ্ছে থাকলে মুখে জবাব দিয়ে দিবে।

 

তবে উত্তম ও উচিত হললেখাটি পড়ার পর পরই মৌখিক জবাব দিয়ে দেবে। কারণ পরে যদি লেখার জবাব দেয়া না হয়তাহলে যেন ওয়াজিব ছুটে যাবার গোনাহ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।


★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত সালাম যেহেতু আপনাকে দেয়া হয়নি,এই সালাম আপনার মাকে দেয়া হয়েছে,,তাই উক্ত সালামের জবাব আপনার দেয়া ওয়াজিব নয়।  তদুপরি সতর্কতামূলক মৌখিক জবাব দিতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...