আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
732 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম
১. বিদআতিদের সালাম দেওয়া যাবে বা কথা বলা যাবে? একটা হাদীসে দেখলাম যে বিদআতিদের সালাম দিল সে ইসলাম ধর্ম ধ্বংসে সাহায্য করলো তাছাড়া এ ব্যাপারে কিছু ইমামদেরও মত দেখেছি। তাহলে যারা মিলাদ কিয়াম করে বা অন্য বিদআত করে তাদের সালাম দেওয়া যাবে বা কথা বলা যাবে?

২. কেউ যদি বলে কথিত আছে মা দুর্গা গজে চড়ে আসলে নাকি ফসল ভালো উৎপন্ন হয়, হাত মোজা, পায়ে মোজা পরে জীবন্ত তাবুর মত ঘুরার কোন মানে হয় না অথবা হিন্দু মূর্তির সামনে পুজাতে হিন্দুদের সাথে কোন পাউডার জাতীয় কিছু (জিনিসটা কি সঠিক জানি না) ঢালে তাহলে সে কি মুসলিম বলে গন্য হবে?

৩. উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যের কেউ কি রাষ্ট্রপ্রধান হবার যোগ্যতা রাখে?

1 Answer

+2 votes
by (710,840 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ কিতাবে সালাম সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে,
ইমাম নববী রাহ আল-আযকার কিতাবে লিখেন,
وَذَكَرَ فِي الأَْذْكَارِ أَنَّ الْمُبْتَدِعَ وَمَنِ اقْتَرَفَ ذَنْبًا عَظِيمًا وَلَمْ يَتُبْ مِنْهُ يَنْبَغِي أَنْ لاَ يُسَلَّمَ عَلَيْهِمْ وَلاَ يُرَدَّ عَلَيْهِمُ السَّلاَمُ.
বিদাতি এবং বড় গোনাহকে স্বীকারকারী যে আবার তাওবাহও করেনি,এমন ব্যক্তিদ্বয়কে সালাম না করাই উচিৎ।এবং তাদের সালামের জবাব না দেয়াই উচিৎ।(২৫/২৬৭)

সুতরাং মিলাদ কিয়াম সহ বিভিন্ন বিদ'আতে লিপ্ত ব্যক্তিদেরকে সালাম না করাই উচিৎ।কেননা এতে তারা বিদ'আতের প্রতি আরো উৎসাহিত হবে।এবং তাদেরকে সম্মান প্রদানের দরুণ সমাজে আরো বিদ'আত বেশী হবে।তবে হেকমত ও মুসলিহত থাকলে তাদেরকেও সালাম করা যাবে।


(২)
(ক)মা দুর্গা গজে চড়ে আসলে ফসল উৎপন্ন ভালো হয়।
(খ)হাত মোজা,পা' মোজা পরে জীবন্ত তাবুর মত ঘুরার কোন মানে হয় না।
(গ)হিন্দু মূর্তির সামনে পুজাতে হিন্দুদের সাথে কোন পাউডার জাতীয় কিছু ঢালা।

এসবই শিরকি মনোভাব ও কাজ।প্রথম দুই প্রকার স্পষ্ট কুফরী। এর জন্য তাওবাহ করে ঈমানকে নবায়ন করতে হবে।তৃতীয় প্রকারের ব্যাপারে বলা যায় যে,যদি হিন্দু দেবদেবীকে সম্মান প্রদর্শনের নিয়তে কিছু ঢালা হয়,তাহলে ঈমান চলে যাবে।আর যদি সম্মান প্রদর্শন নয়,বরং ভিন্ন কোনো কারণে এসব করে,তাহলে ঈমান যদিও যাবে না,তবে এমনটা করা কখনো জায়েয হবে না।


(৩)
না রাখেন না।



(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...