আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
162 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (2 points)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ

আজ থেকে আমি নাস্তিকদের মতো চলবো।আমার কোনো ধর্ম কর্ম নাই।আমি সিম্পলি চলবো, দেন সুইসাইড করবো।

এই কথা যদি কেউ বলে তার কি ঈমান থাকবে?
যদি ঈমান না থাকে তার স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক থাকবে নাকি তালাক হয়ে যাবে ?

তার এসব বলার কারণ জীবনের প্রতি হতাশা,ক্যারিয়ারে অগ্রগতি না থাকা।

স্বামী যদি পরবর্তীতে বলে আমি শুধু কথার কথা বলছি,তালাক মানি না ,স্ত্রীর করণীয় কি ?

উস্তায ,আমি এই বিষয়ে একটু আগেও প্রশ্ন করেছিলাম।আমার স্বামীর অভিযোগ তার বক্তব্য আমি ভুলভাবে উপস্থাপন করছি।


আমার আগের প্রশ্নটা-
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।


আমাদের বিয়ের সময় আমার স্বামী আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিলেন।তার লাইফে নানা রকম বিপদ আপদ লেগে আছে কয়দিন হলো।আজকে তিনি  নিজেকে নাস্তিক বলে ঘোষণা করছেন এবং তিনি বলতেছেন তিনি এসব মন থেকেই বলতেছেন এবং আল্লাহ যেহেতু তাকে সাহায্য করতেছেন না তিনিও তাকে বিলিভ করবেন না।

আমি শুনেছি কাফির আর মুসলমানের বিয়ে বৈধ নয় ।আমাদের বৈবাহিক সম্পর্ক কি আর টিকে আছে ?

যদি টিকে না থাকে এবং পরবর্তীতে উনি তাওবাহ করেন কিংবা দাবি করেন মন থেকে বলেন নাই সেক্ষেত্রে আমার করণীয় কি ?<!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_220808_191200_382.sdocx-->

1 Answer

0 votes
by (572,970 points)
edited by
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


শরীয়তের বিধান হলো ইচ্ছাপূর্বক ভাবে নিজেকে নিজে কাফের বলে পরিচয় দেওয়া কুফরী। 

সূরা নাহলের ১০৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-
مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ مِنْ بَعْدِ إِيمَانِهِ إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالْإِيمَانِ وَلَكِنْ مَنْ شَرَحَ بِالْكُفْرِ صَدْرًا فَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ مِنَ اللَّهِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ (106)

“কেউ বিশ্বাস স্থাপনের পর আল্লাহকে অস্বীকার করলে এবং প্রত্যাখ্যানের জন্য হৃদয় মুক্ত রাখলে তার উপর আল্লাহ ক্রোধ পতিত হবে এবং তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি। তবে তার জন্য নয়, যাকে (সত্য প্রত্যাখ্যানে) বাধ্য করা হয়, কিন্তু তার অন্তর বিশ্বাসে অটল।” (১৬:১০৬)
,

ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী তে আছে
"وَمَنْ يَرْضَى بِكُفْرِ نَفْسِهِ فَقَدْ كَفَرَ."
(كتاب السير، الْبَابُ التَّاسِعُ فِي أَحْكَامِ الْمُرْتَدِّين ، مطلب فِي مُوجِبَاتُ الْكُفْرِ أَنْوَاعٌ مِنْهَا مَا يَتَعَلَّقُ بِالْإِيمَانِ وَالْإِسْلَامِ، ٢ / ٢٥٧، ط: دار الفكر)
"এবং যে কুফরীতে সন্তুষ্ট থাকে, সে কাফের হয়ে গেছে
,
অন্যত্রে এসেছে
"رجل كفر بلسانه طائعا، وقلبه مطمئن بالإيمان يكون كافرا ولا يكون عند الله مؤمنا كذا في فتاوى قاضي خان."
(كتاب السير، الباب التاسع في أحكام المرتدين، مطلب في موجبات الكفر أنواع منها ما يتعلق بالإيمان والإسلام، ج: 2، صفحہ: 283، ط: دارالفکر)
সারমর্মঃ  কেহ যদি যবান দ্বারা (জবরদস্তি ছাড়াই) কুফরী বলে,এবং তার কলব ঈমানের উপর অটল থাকে,তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছেঃ
আপনার স্বামী জীবনের প্রতি হতাশ হয়ে বলেছে ""আজ থেকে আমি নাস্তিকদের মতো চলবো।আমার কোনো ধর্ম কর্ম নাই।আমি সিম্পলি চলবো, দেন সুইসাইড করবো""

এখানে তিনি স্পষ্ট ভাবে নিজেকে নাস্তিক বলে ঘোষণা না দিলেও নিজে কোনো ধর্ম না মেনে নাস্তিকদের মতো চলবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
সুতরাং তিনি ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে গিয়েছেন।

আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
,
সে যদি পুনরায় তওবা করে কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করে ঈমান আনে,তাহলে আপনার নতুন করে বিবাহ পড়িয়ে নিয়ে ঘর সংসার করতে পারবেন।
,
নতুবা আপনাদের ঘর সংসার করা হারাম।
,
এখানে স্বামী শরীয়তের বিধান না মেনে সংসার চালিয়ে গেলে মুরব্বিদের মাধ্যমে বুঝিয়ে বা বৈঠক করে তাকে শরীয়তের বিধান মানানোর চেষ্টা করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...