আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
158 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
নবি (সঃ) কি আল্লাহর বন্ধু? বন্ধু হলে কোরান এবং হাদিস থেকে দলিল দিন।
বন্ধু বলতে তো দুইজনকে সমান বুঝি আমরা।  যেমন একজন চেয়ারম্যান আরেকজন চেয়ারম্যানের বন্ধু।
তাহলে নবি (সঃ) কি আল্লাহর সমান?
নবি (সঃ) কি কিয়ামতের দিন ক্ষমা করে দিতে পারবেন?
by (42 points)
আল্লাহ তো মুমিনদেরও বন্ধু

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর নিকটতম বন্ধু। এতে কোনো সন্দেহ নেই। আল্লাহকে তিনি খুব ভালোবাসতেন আল্লাহও তাকে খুব ভালোবাসেন।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِنَّ اللَّهَ اتَّخَذَنِي خَلِيلاً كَمَا اتَّخَذَ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلاً فَمَنْزِلِي وَمَنْزِلُ إِبْرَاهِيمَ فِي الْجَنَّةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ تِجَاهَيْنِ وَالْعَبَّاسُ بَيْنَنَا مُؤْمِنٌ بَيْنَ خَلِيلَيْنِ " .

আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা আমাকে প্রিয় বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন, যেমন ইব্রাহীম (আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে তিনি বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছিলেন। কিয়ামতের দিন জান্নাতে আমি ও ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) সামনাসামনি আসনে উপবিষ্ট থাকবো এবং আব্বাস আমাদের দুজনের মাঝে একজন মুমিন হিসাবে অবস্থান করবেন।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ১৪১.জামি সগীর ১৫৩০, ১৫৩১, ২৪৪৫, ২৭৪৫।)

نْ أَبِيْ سَعِيْدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ خَطَبَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم النَّاسَ وَقَالَ إِنَّ اللهَ خَيَّرَ عَبْدًا بَيْنَ الدُّنْيَا وَبَيْنَ مَا عِنْدَهُ فَاخْتَارَ ذَلِكَ الْعَبْدُ مَا عِنْدَ اللهِ قَالَ فَبَكَى أَبُوْ بَكْرٍ فَعَجِبْنَا لِبُكَائِهِ أَنْ يُخْبِرَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ عَبْدٍ خُيِّرَ فَكَانَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم هُوَ الْمُخَيَّرُ وَكَانَ أَبُوْ بَكْرٍ أَعْلَمَنَا فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ مِنْ أَمَنِّ النَّاسِ عَلَيَّ فِيْ صُحْبَتِهِ وَمَالِهِ أَبَا بَكْرٍ وَلَوْ كُنْتُ مُتَّخِذًا خَلِيْلًا غَيْرَ رَبِّيْ لَاتَّخَذْتُ أَبَا بَكْرٍ وَلَكِنْ أُخُوَّةُ الْإِسْلَامِ وَمَوَدَّتُهُ لَا يَبْقَيَنَّ فِي الْمَسْجِدِ بَابٌ إِلَّا سُدَّ إِلَّا بَابَ أَبِيْ بَكْرٍ

আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা সাহাবীদের উদ্দেশ্যে খুত্বার কালে বললেন, আল্লাহ্ তাঁর এক প্রিয় বান্দাকে পার্থিব ভোগ বিলাস এবং তাঁর নিকট রক্ষিত নি‘মাতসমূহ এ দু’য়ের মধ্যে যে কোন একটি বেছে নেয়ার স্বাধীনতা দান করেছেন এবং ঐ বান্দা আল্লাহর নিকট রক্ষিত নিয়ামতসমূহ বেছে নিয়েছে। রাবী বলেন তখন আবূ বাকর (রাঃ) কাঁদতে লাগলেন। তাঁর কান্না দেখে আমরা আশ্চর্যান্বিত হলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক বান্দার খবর দিচ্ছেন যাকে এভাবে স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে (তাতে কান্নার কী কারণ থাকতে পারে?) কিন্তু পরে আমরা বুঝতে পারলাম, ঐ বান্দা স্বয়ং আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন এবং আবূ বাকর (রাঃ) আমাদের মধ্যে সর্বাধিক জ্ঞানী ছিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যে ব্যক্তি তার ধন-সম্পদ দিয়ে, তার সঙ্গ দিয়ে আমার উপর সর্বাধিক ইহসান করেছে সে ব্যক্তি হল আবূ বাকর (রাঃ)। আমি যদি আমার রব ছাড়া অন্য কাউকে আন্তরিক বন্ধুরূপে গ্রহণ করতাম, তাহলে অবশ্যই আবূ বাকরকে করতাম। তবে তার সঙ্গে আমার দ্বীনী ভ্রাতৃত্ব, আন্তরিক ভালবাসা আছে। মসজিদের দিকে আবূ বাকরের দরজা ছাড়া অন্য কোন দরজা খোলা রাখা যাবে না। 
(বুখারী শরীফ ৩৬৫৪.৪৬৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৩৮২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৩৮৯)

★বন্ধু বলতে দুইজনকে সমান বুঝা এটি বন্ধুত্বের পূর্ণ অর্থ নয়।
নিজের থেকে অনেক বড় আর বড় সম্মানিত ব্যাক্তির সাথেও বন্ধুত্ব হতে পারে।
যার প্রমান দুনিয়াতে অসংখ্য রয়েছে।

★নবি (সঃ)  কিয়ামতের দিন কাউকে ক্ষমা করে দিতে পারবেননা।
তবে তিনি সুপারিশ করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...