বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম " কুরআনের অংশ।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
إِنَّهُ مِن سُلَيْمَانَ وَإِنَّهُ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ
সেই পত্র সুলায়মানের পক্ষ থেকে এবং তা এইঃ সসীম দাতা, পরম দয়ালু, আল্লাহর নামে শুরু;(সূরা নমল-৩০)
তবে প্রত্যেক সূরার প্রথমে যে বিসমিল্লাহ রয়েছে,সেটা কি কুরআনের অংশ? তা নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।
ইমাম শাফেয়ী রাহ সহ কিছুসংখ্যক উলামায়ে কেরামের মতে, প্রত্যেক সূরার প্রথমে যে বিসমিল্লাহ রয়েছে, সেটাও কুরআনের অংশ। তবে হানাফি মাযহাব অনুযায়ী বলা হয় যে, প্রত্যেক সূরার প্রথমে যে, বিসমিল্লাহ রয়েছে, সেগুলো কুরআনের অংশ নয়।বরং এগুলো দুইটি সূরার মধ্যে পৃথক করার উদ্দেশ্যে নাযিল করা হয়েছে।
বিসমিল্লাহ পড়া :
তিলাওয়াতকারীর উচিত সূরা তাওবাহ ব্যতীত সকল সূরার শুরুতে
“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম পড়া। হাদীসে এসেছে, রাসূল (সা) এক সূরা শেষ করে আরেক সূরা বিসমিল্লাহ সহ পড়তেন।– বাযযার,হা/৪৯৭৯।।
এক সূরা শেষ করার পর যদি ওয়াক্ফ (বিরতি)করা হয়,তাহলে দ্বিতীয় সূরার শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়তে হবে,আর যদি এক সূরার পরিবর্তি সূরার সাথে মিলিয়ে পড়া হয়,তাহলে বিসমিল্লাহ পড়া লাগবে না।
(২)
"'আমিন" কুরআনের কোনো আয়াত নয় বা কুরআনের কোনো অংশ নয়। বরং সূরায়ে ফাতিহা বা সূরায়ে বাকারার পর "আমীন" বলা নববী তা'লিম হিসেবে সুন্নত।
(৩)
নামাযে দেখে দেখে পড়া যাবে না। পড়লে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
ইবনে আব্বাস রাযি. বর্ণনা করেন,
: نَہَانَا أمیرُ المُوٴمِنِیْنَ عُمَرُ رضی اللّٰہ عنہ أَن یَوٴُمَّ النَّاسَ فِي الْمُصْحَفِ، وَنَہَانَا أَن یَّوٴُمَّنَا اِلَّا الْمُحْتَلِمُ․
অর্থাৎ আমিরুল মুমিনিন উমর রা. রাযি. ইমাম সাহেবকে নামাজে কুরআন দেখে পড়তে নিষেধ করেছেন৷ কিতাবুল মুসহাফ, ইমাম আবু দাউদ লিখিত, হাদিস নং ১৮৯)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/15741
ذَهَبَ أَبُو حَنِيفَةَ إِِلَى أَنَّهُ لَيْسَ لِلْمُصَلِّي أَنْ يَقْرَأَ مِنَ الْمُصْحَفِ، فَإِِِنْ قَرَأَ بِالنَّظَرِ فِي الْمُصْحَفِ فَسَدَتْ صَلاَتُهُ مُطْلَقًا، أَيْ قَلِيلاً كَانَ مَا قَرَأَهُ أَوْ كَثِيرًا، إِِمَامًا كَانَ أَوْ مُنْفَرِدًا، وَكَذَا لَوْ كَانَ مِمَّنْ لاَ يُمْكِنُهُ الْقِرَاءَةُ إِِلاَّ مِنْهُ لِكَوْنِهِ غَيْرَ حَافِظٍ.
(আল মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাতুল কোয়েতিয়্যা-৩৮/১১)