আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
200 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (37 points)

১। " বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম " এটা কি কুরানের আয়াত বা আয়াতের কোন অংশ নাকি সাধারন ভাবেই পরা হয় ?

২। " আমিন " এটা কি কুরানের আয়াত বা আয়াতের কোন অংশ নাকি সাধারন ভাবেই পরা হয় ?

৩। নামাজে কোন দোয়ার বই দেখে দেখে পড়া যাবে কি নাকি দেখে পড়লে নামাজ ভেঙ্গে যাবে ?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম " কুরআনের অংশ।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
إِنَّهُ مِن سُلَيْمَانَ وَإِنَّهُ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ
সেই পত্র সুলায়মানের পক্ষ থেকে এবং তা এইঃ সসীম দাতা, পরম দয়ালু, আল্লাহর নামে শুরু;(সূরা নমল-৩০)

তবে প্রত্যেক সূরার প্রথমে যে বিসমিল্লাহ রয়েছে,সেটা কি কুরআনের অংশ? তা নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।
ইমাম শাফেয়ী রাহ সহ কিছুসংখ্যক উলামায়ে কেরামের মতে, প্রত্যেক সূরার প্রথমে যে বিসমিল্লাহ রয়েছে, সেটাও কুরআনের অংশ। তবে হানাফি মাযহাব অনুযায়ী বলা হয় যে, প্রত্যেক সূরার প্রথমে যে, বিসমিল্লাহ রয়েছে, সেগুলো কুরআনের অংশ নয়।বরং এগুলো দুইটি সূরার মধ্যে পৃথক করার উদ্দেশ্যে নাযিল করা হয়েছে।

বিসমিল্লাহ পড়া :
তিলাওয়াতকারীর উচিত সূরা তাওবাহ ব্যতীত সকল সূরার শুরুতে
“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম পড়া। হাদীসে এসেছে, রাসূল (সা) এক সূরা শেষ করে আরেক সূরা বিসমিল্লাহ সহ পড়তেন।– বাযযার,হা/৪৯৭৯।।
এক সূরা শেষ করার পর যদি ওয়াক্ফ (বিরতি)করা হয়,তাহলে দ্বিতীয় সূরার শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়তে হবে,আর যদি এক সূরার পরিবর্তি সূরার সাথে মিলিয়ে পড়া হয়,তাহলে বিসমিল্লাহ পড়া লাগবে না।

(২)
"'আমিন" কুরআনের কোনো আয়াত নয় বা কুরআনের কোনো অংশ নয়। বরং সূরায়ে ফাতিহা বা সূরায়ে বাকারার পর "আমীন" বলা নববী তা'লিম হিসেবে সুন্নত।

(৩)
নামাযে দেখে দেখে পড়া যাবে না। পড়লে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
ইবনে আব্বাস রাযি. বর্ণনা করেন,

: نَہَانَا أمیرُ المُوٴمِنِیْنَ عُمَرُ رضی اللّٰہ عنہ أَن یَوٴُمَّ النَّاسَ فِي الْمُصْحَفِ، وَنَہَانَا أَن یَّوٴُمَّنَا اِلَّا الْمُحْتَلِمُ․
অর্থাৎ আমিরুল মুমিনিন উমর রা. রাযি. ইমাম সাহেবকে নামাজে কুরআন দেখে পড়তে নিষেধ করেছেন৷ কিতাবুল মুসহাফ, ইমাম আবু দাউদ লিখিত, হাদিস নং ১৮৯)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/15741

ذَهَبَ أَبُو حَنِيفَةَ إِِلَى أَنَّهُ لَيْسَ لِلْمُصَلِّي أَنْ يَقْرَأَ مِنَ الْمُصْحَفِ، فَإِِِنْ قَرَأَ بِالنَّظَرِ فِي الْمُصْحَفِ فَسَدَتْ صَلاَتُهُ مُطْلَقًا، أَيْ قَلِيلاً كَانَ مَا قَرَأَهُ أَوْ كَثِيرًا، إِِمَامًا كَانَ أَوْ مُنْفَرِدًا، وَكَذَا لَوْ كَانَ مِمَّنْ لاَ يُمْكِنُهُ الْقِرَاءَةُ إِِلاَّ مِنْهُ لِكَوْنِهِ غَيْرَ حَافِظٍ.
(আল মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাতুল কোয়েতিয়্যা-৩৮/১১)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...