আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
81 views
in সালাত(Prayer) by (4 points)

আসসালামু আলাইকুম!

হযরত যেহেতু আমরা জানি যে, সুরা ফাতেহা নামাযের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কেউ যদি নামাযে সুরা ফাতেহার কোনো একটি আয়াতের কিছু অংশ না পড়ে থাকে। সেক্ষেত্রে শরিয়তের হুকুম কি?

আমি বিষয়টির দুইভাবে উত্তর কামনা করছি।

১। যদি কেউ আয়াতের কিছু অংশ ইচ্ছাকৃত না পড়ে থাকে, তবে শরিয়তের হুকুম কি?

২। আর যদি কেউ  আয়াতের কিছু অংশ ভুলবশত না পড়ে থাকে, তবে শরিয়তের হুকুম কি?

আপনাদের উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম!

1 Answer

+1 vote
by (62,960 points)
edited by

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

নামাযে যেকোনো ভুলের কারণে সেজদা সাহু ওয়াজিব হয়ে যায় না। বরং ভুলে নামাযের কোনো ওয়াজিব ছুটে গেলে কিংবা কোনো ফরয বা ওয়াজিব বিলম্বিত হলে ওয়াজিব হয়। আর যদি ভুলে কোনো ফরয ছুটে যায়, তবে সেজদা সাহু করা যথেষ্ট নয়, বরং পুনরায় নামায আদায় করতে হবে। আর কোনো সুন্নত বা মুস্তাহাব ছুটে গেলে সেজদা সাহু করার বিধান নেই।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حدثنا عبد الله بن يوسف، أخبرنا مالك بن أنس، عن ابن شهاب، عن عبد الرحمن الأعرج، عن عبد الله بن بحينة رضي الله عنه، أنه قال: صلى لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم ركعتين من بعض الصلوات، ثم قام فلم يجلس، فقام الناس معه، فلما قضى صلاته ونظرنا تسليمه كبر قبل التسليم، فسجد سجدتين وهو جالس، ثم سلم.

আবদুল্লাহ ইবনে বুহায়না রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক নামায আমাদের দুই রাকাত পড়ান। তারপর না বসে দাঁড়িয়ে যান। মুকতাদীরাও তাঁর সাথে দাঁড়িয়ে যায়। যখন তিনি নামায পূর্ণ করলেন এবং আমরা তাঁর সালাম ফিরানোর অপেক্ষা করছিলাম তখন সালাম ফিরানোর আগে তাকবীর দিলেন এবং বসা অবস্থায় দুটি সেজদা করলেন। তারপর সালাম ফিরালেন। (সহীহ বুখারী, হাদীস ১২২৪ সহীহ মুসলিম, হাদীস ৫৭০ নামাযে যেকোনো ভুলের কারণে সেজদা সাহু ওয়াজিব হয়ে যায় না। বরং ভুলে নামাযের কোনো ওয়াজিব ছুটে গেলে কিংবা কোনো ফরয বা ওয়াজিব বিলম্বিত হলে ওয়াজিব হয়। আর যদি ভুলে কোনো ফরয ছুটে যায়, তবে সেজদা সাহু করা যথেষ্ট নয়, বরং পুনরায় নামায আদায় করতে হবে। আর কোনো সুন্নত বা মুস্তাহাব ছুটে গেলে সেজদা সাহু করার বিধান নেই।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حدثنا عبد الله بن يوسف، أخبرنا مالك بن أنس، عن ابن شهاب، عن عبد الرحمن الأعرج، عن عبد الله بن بحينة رضي الله عنه، أنه قال: صلى لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم ركعتين من بعض الصلوات، ثم قام فلم يجلس، فقام الناس معه، فلما قضى صلاته ونظرنا تسليمه كبر قبل التسليم، فسجد سجدتين وهو جالس، ثم سلم.

আবদুল্লাহ ইবনে বুহায়না রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক নামায আমাদের দুই রাকাত পড়ান। তারপর না বসে দাঁড়িয়ে যান। মুকতাদীরাও তাঁর সাথে দাঁড়িয়ে যায়। যখন তিনি নামায পূর্ণ করলেন এবং আমরা তাঁর সালাম ফিরানোর অপেক্ষা করছিলাম তখন সালাম ফিরানোর আগে তাকবীর দিলেন এবং বসা অবস্থায় দুটি সেজদা করলেন। তারপর সালাম ফিরালেন।  (সহীহ বুখারী, হাদীস ১২২৪ সহীহ মুসলিম, হাদীস ৫৭০)

কেউ যদি ফরজ নামাজের শেষ দুই রাকাতে সূরায়ে ফাতেহা ছেড়ে দেয় বা সুরা ফাতেহার জায়গায় অন্য সূরা পড়ে নেয় তাহলে তার নামাজ হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে না এবং পুনরায় নামাজ পড়তে হবে না। কারণ ফরজের শেষ দুই রাকাতে সূরায়ে ফাতেহা পড়া সুন্নত। আর নামাজে সুন্নত ছেড়ে দিলে নামাজ ভেঙ্গে যায় না এবং একারণে সিজদায়ে সাহুও ওয়াজিব হয় না। তবে প্রথম দুই রাকাতে সুরা ফাতিহা ছেড়ে দিলে এর কারণে সিজদায়ে সাহু দিতে হবে। -(আহসানুল ফাতাওয়া;৪/৫০ ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ;৭/৪১২)

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

১. ফরজ নামাজের প্রত্যেক রাকাতে এবং সুন্নাত ও নফল সালাতের প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতেহা পূর্ণ পাঠ করা ওয়াজিব। সুতরাং ইচ্ছাকৃত ভাবে কোন ব্যক্তি সূরা ফাতেহার একটি আয়াত বা কিছু অংশ না পড়লে তার নামাজ ফাসেদ হয়ে যাবে। পুনরায় উক্ত নামাজ আদায় করা তার উপর আবশ্যক।

২. তবে ভুলক্রমে যদি কিছু অংশ ছাড়া পড়ে যায় এবং পরবর্তি রাকাতে স্মরণ হয় তাহলে সালাতের শেষ বৈঠকে সাহু সেজদা করা ওয়াজিব।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (4 points)
আপনার ২ নম্বর উত্তরটি পুন:রায় কনফিউজড করেছে, আপনি বলেছেন, পরবর্তি রাকাতে স্মরণ হয়  তাহলে সালাতের শেষ বৈঠকে সাহু সেজদা করা ওয়াজিব। 

এক্ষেত্রে আমার প্রশ্ন যদি স্মরণ না হয় আর স্বাভাবিক নিয়মে (সাহু সেজদা ছাড়া) নামাজ সমাপ্ত করে ফেলে। তখন কি নামায আদায় হয়ে যাবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 78 views
...