আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
105 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (55 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমি আজকে আমার জীবনের সবচেয়ে সেন্সিটিভ অপরাধটা নিয়ে লিখছি৷ এই অপরাধটা হতে বেচে থাকার জন্য আমি বহু চেষ্টা করেছি। তাও আমি বারবারই ব্যর্থ হয়েছি। আমার তিন বছরের একটা বাচ্চা আছে। ও মাত্রার চেয়ে বেশি বিরক্ত করলেই আমি ওকে মার দিয়ে ফেলি। এই মার দেয়াটা শুরু হয়েছে ওর দুই মাস বয়স হতে। দুই মাস বয়সী একটা বাচ্চার শরীরে মার দেয়ার জায়গা থাকেনা। আমি তাও দিয়েছি। আরেকটু বড় হলে অনেক সময় খুব খারাপ ভাবেও মেরেছি যে নরম শরীর হতে সামান্য পরিমানে রক্ত বের হয়ে গিয়েছে। পরে বাবুকে জড়িয়ে ধরে কান্না করেছি তাও পুরোপুরি সংশোধন হইনি। আমি জানিনা রাগ উঠে গেলে আমার এরকম কেন হয়। মনে হয় শয়তান ভর করেছে আমার উপর। আমি বহু বার আল্লাহর কাছে মাফ চেয়েছি, তাওবা করেছি। এই জঘন্য কাজ হতে বেচে থাকতে সকাল সন্ধ্যার আমল,  দরুদ ও ইস্তেগফারের আমল, কুরান তিলাওয়াত, সাদাকা, কি নাই যে করিনি৷ তারপরেও মাসুম বাচ্চাটার উপর অন্যায় করা বাদ দিতে পারিনি। আমি জানি মুখে থাপ্পড় দেয়া হারাম,  আমি তাও দিয়েছি। জানার পরেও দিয়েছি৷ আমি কেন জানি নিজেকে সেই সময় কন্ট্রোল করতে পারতাম না।এমনও হয়েছে ওকে মারছি কিন্তু মাথায় চিন্তা চলছে আল্লাহ তো সব দেখছেন, এটা আমার মারাত্মক গুনাহ হচ্ছে কিন্তু তাও নিজের হাতকে কন্ট্রোল করতে পারিনি। এই রমজানে রোজা রেখে ইফতারের আগে প্রতিদিন আল্লাহর সাহায্য চেয়েছি যেন আর না মারি, তাহাজ্জুদ পড়ে পড়ে সাহায্য চেয়েছি যাতে আর না মারি,  কয় দিন ভাল থাকি তারপর হঠাত একদিন মার দিয়ে ফেলি। বহু বার দুয়া করেছি আল্লাহ যেন অন্তরের এই পৈশাচিকতা দূর করে দেন কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছেনা। মারব না এই দৃড় মনোবল নিয়ে কয়দিন চলি, তারপর বাধ ভেংগে যায়, মার দিয়ে ফেলি৷
এমনিতে ওর যত্নে কোন ত্রুটি রাখিনা। কিন্তু এই জায়গাটায় খুব খারাপ কাজ করে ফেলছি বারবার৷ কতভাবে নিজেকে মোটিভেট করতে চেষ্টা করেছি, কিন্তু ওইযে,  রাগ উঠলে আমি যেন অমানুষ হয়ে যাই৷ অবুঝ শিশুর কান্না শুনেও আমার কোন ভাবান্তর হয়না। আমি জানিনা এটা কি শুধু আমার নফসের কারনে, নাকি আমার জ্বিন,যাদু বা বদনজরের কোন সমস্যা আছে কিনা?  নাহলে একটা মানুষ এরকম অমানুষের মত করে রাগবে কেন,  মাসুম বাচ্চাকে মারবে কেন? নিজেকে পরকালের ভয়, আল্লাহর শাস্তির ভয় সব ভয়ই দেখিয়েছি, কিন্তু ওইয,, রাগ উঠলে অমানুষ হয়ে যাই। এটা থেকে বলা যায় আমি, নিশ্চিতভাবেই পৃথিবীর সবচে খারাপ মা, পিশাচ মা, নিঃসন্দেহে। কিন্তু আমি পৃথিবীর সবচে ভাল মা হতে চাই৷ আমি কি সেটা হতে পারব না?
আমার সমস্যার আলোকে কিছু পরামর্শ দেবেন প্লিজ?

1 Answer

0 votes
by (687,440 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


রাগ সম্পর্কে মুসলিম শরীফের এক হাদিসে আছে, 
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে রাগের সময় নিজেকে সামলে নিতে পারে, সেই প্রকৃত বাহাদুর। আরেক হাদিসে বলা হয়েছে, রাগ দেখানোর সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যে তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, আল্লাহতায়ালা তাকে কিয়ামতের দিন পুরস্কৃত করবেন।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  এ থেকে বাঁচার পথ বাতলে দিয়েছেন- 
إِذَا غَضِبَ أَحَدُكُمْ فَلْيَسْكُتْ.
কেউ যখন রেগে যায় সে যেন চুপ হয়ে যায়। (যাতে গালিগালাজ, মন্দ কথা থেকে বাঁচতে পারে।) -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২১৩৬

,
এক হাদিসে বলা হয়েছে, ‘যখন তোমাদের কারও রাগ আসে, তখন সে দাঁড়িয়ে থাকলে যেন বসে পড়ে। তাতে যদি রাগ দমে না যায়, তাহলে সে যেন শোয়ে পড়ে। ’ -তিরমিজি

আবু দাউদ শরীফের একটি হাদিসে আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রাগ আসে শয়তানের কাছ থেকে। শয়তান আগুনের তৈরি। আর আগুন নেভাতে লাগে পানি। তাই যখন তোমরা রেগে যাবে, তখন অজু করে নেবে। ’
,
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার রাগ উঠলে উপরে উল্লেখিত রাসুল সাঃ এর সমস্ত নির্দেশ মানতে হবে।
আর আল্লাহ তায়ালার রাগ কমানোর জন্য দোয়া করতে হবে,ধৈর্য ধারনের চেষ্টা করতে হবে।  
,
আপনি যদি একাকী থাকেন,তাহলে এমন বাসায় থাকবেন,(যেমন শশুর বাড়ি,স্বামী থেকে বেশি দূরে থাকবেননা) ,যেখানে যখনই আপনার এমন রাগ উঠবে, তখনই যেনো আপনার সন্তানকে কন্ট্রোল করে,মারতে যেনো না দেয়,এমন স্থানে থাকুন।

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (55 points)
শাইখ, যে লিংকটা দিয়েছেন সেটা দেখা যাচ্ছে না

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 85 views
...