যেমন শিরক করা
নবী বা মৃত আওলিয়াদের নিকট কিছু চাওয়া অথবা কোন ওলী আওলিয়ার অনুপস্থিতিতে দূর থেকে তার কাছে সাহায্য চাওয়া অথবা ঐ পীর বুজুর্গের উপস্থিতিতে তার কাছে এমন কিছু চাওয়া যা দেওয়ার ক্ষমতা তার নেই ।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
(হে নবী!) “শিরক যদি তুমিও করো তাহলে তোমার সকল ইবাদত বাতিল হয়ে যাবে । অতঃপর তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাবে।” (সূরা ৩৯; যুমার ৬৫)
★গায়রুল্লাহকে সিজদা করা
জেনে-বুঝে কোন রাজা, বাদশা, পীর, বুজুর্গ, জীবিত বা মৃত ব্যক্তিকে ইবাদতের নিয়তে রুকূ বা সিজদা করা।
★ইসলামের কোন একটি রুকন অস্বীকার করা
যেমন- ঈমান, সালাত, সওম, যাকাত যাকাত ও হজ্জ । অথবা ঈমানের কোন একটি রুকন অস্বীকার করা। যেমন আল্লাহ, তাঁর রাসূল, তাঁর ফেরেশতা, আসমানি কিতাব, তাকদীরের ভালোমন্দ এবং মৃত্যুর পর পুনরুত্থান এগুলোর উপর ঈমান আনতেই হবে । এর কোন একটিকে অস্বীকার করলে ঈমান বিনষ্ট হয়ে যায়।
★কুরআন-হাদীসের কোন বিষয় নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা কিংবা ইসলামের কোননা হুকুম-আহকাম নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করা
এ বিষয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন,
“বল, তোমরা কি আল্লাহ, তাঁর আয়াতসমূহ ও তাঁর রাসূলকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করেছিলে? (কাজেই আজ আমার সামনে) তোমরা কোন ওজর-আপত্তি পেশ করো না। ঈমান আনার পর (বিদ্রুপের করে) পুনরায় তোমরা কুফুরী করেছ।” (সূরা ৯; তাওবা ৬৫-৬৬)
অতএব, কুরআন-হাদীস নিয়ে ঠাট্টা করা হলো কুফরী কাজ, যার ফলে ঈমান চলে যায় ।
★কুরআন-হাদীসের কোন কথা অস্বীকার করা
জেনে-শুনে ইচ্ছাকৃতভাবে কুরআন কারীমের কিংবা বিশুদ্ধ হাদীসের কোন অংশ বা কথা অস্বীকার করলে ইসলাম থেকে বহিস্কার হয়ে যায়। যদিও তা কোন ক্ষুদ্র বিষয়ে হোক না কেন ।
★আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে গালি দেওয়া
মহান রবকে গালি দেওয়া, দীন ইসলামকে অভিশাপ দেওয়া, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে গালি দেওয়া বা তার কোন অবস্থা নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করা, তার প্রদর্শিত জীবনবিধানের সমালোচনা করা । এ জাতীয় কর্মকাণ্ডের কোন একটি কাজ করলেও কাফির হয়ে যাবে, ঈমান চলে যাবে।।
★হালালকে হারাম ও হারামকে হালাল করে ফেলা।
যেমন সুদকে বৈধ ঘোষণা দেওয়া বা হালাল মনে করা ইত্যাদি। আল্লাহ তাআলা বলেন,
“আর আল্লাহ ব্যবসাকে বৈধ করেছেন, আর সুদকে করেছেন হারাম” (সূরা ২; বাকারা ২৭৫)।
সেক্ষেত্রে দলিলের দিক থেকে যাহা শক্তিশালী, সেটা মানতে হবে,মন যেটা চাচ্ছে,সেটা মানা যাবেনা।