ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এতে ঈমান চলে যাবেনা।
(০২)
মনের মাঝে শুধুমাত্র বাজে চিন্তা বা কুফরী চিন্তা আসলেই ব্যক্তি কাফের হয়ে যায় না।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلُوهُ إِنَّا نَجِدُ فِي أَنْفُسِنَا مَا يَتَعَاظَمُ أَحَدُنَا أَنْ يَتَكَلَّمَ بِهِ . قَالَ ” وَقَدْ وَجَدْتُمُوهُ ” . قَالُوا نَعَمْ . قَالَ ” ذَاكَ صَرِيحُ الإِيمَانِ ”
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কতিপয় সাহাবী তাঁর সমীপে এসে বললেন, আমাদের অন্তরে এমন কিছু সংশয়ের উদয় হয়, যা আমাদের কেউ মুখে উচ্চারণ করতেও মারাত্মক মনে করে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তরে বললেনঃ সত্যই তোমাদের তা হয়? তারা জবাব দিলেন, জ্বী, হ্যাঁ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এটই স্পষ্ট ঈমান। (কারণ ঈমান আছে বলেই সে সম্পর্কে ওয়াসওয়াসা ও সংশয়কে মারাত্মক মনে করা হয়।) [সহীহ মুসলিম-১/৭৯, হাদীস নং-১৩২, ইফাবা, হাদীস নং-২৪০]
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। [সহীহ বুখারী-১/৩৪৩, হাদীস নং-২৫২৮, ইফাবা, হাদীস নং-২৩৬১]
★সুতরাং মনের মাঝে কুফরি চিন্তা আসলে ঈমানের কোনো ক্ষতি হবে না। এগুলো মূলত শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। তাই যখনই এ জাতীয় চিন্তার উদ্রেগ হবে, আল্লাহ তাআলার কাছে অভিশপ্ত শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে।
(ফাতহুল বারি ৫/১৬১)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এতে ঈমান চলে যাবেনা।
(০৩)
ইচ্ছাকৃতভাবে হলে ঈমান ভেঙ্গে যাবে।
(০৪)
বুঝে শুনে ইচ্ছাকৃতভাবে মুখ দিয়ে উচ্চারণ করে বললে উভয়ের ক্ষেত্রেই ঈমান চলে যাবে।
(০৫)
হ্যাঁ এমন।
তবে কুফরি কাজ করলে ঈমান চলে যাবে।
(০৬)
এমনটি ধরে নেয়া যাবেনা।
কাফের হয়ে যাওয়ার মতো কোনো কথা বা কাজ করলে ঈমান চলে যাবে।
(০৭)
এভাবে আপনাকে বারবার নিয়ত করতে হবেনা,বারবার কালেমা পাঠ করতে হবেনা,বারবার গোসলও করতে হবেনা।
এগুলো সবই আপনার ওয়াসওয়াসা মাত্র।
(০৮)
ঈমান ভেঙ্গে গেলে বিবাহও নবায়ন করতে হবে।
তবে ঈমান ভেঙ্গে যাওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে নিজে নিজে ফতোয়া দিবেনা,কোনো বিজ্ঞ মুফতী সাহেব থেকে জেনে নিতে হবে।
(০৯)
পরামর্শ হলোঃ
আপনার যে ওয়াসওয়াসা আসছে,,,
এগুলো মূলত শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। তাই যখনই এ জাতীয় চিন্তার উদ্রেগ হবে, আল্লাহ তাআলার কাছে অভিশপ্ত শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে।
এগুলোর প্রতি ভ্রুক্ষেপ করবেননা।
(১০)
আপনি মনে মনে তাদের এহেন কাজের প্রতি ঘৃণা নিয়ে আসবেন,তাহলেই আপনার কোনো গুনাহ হবেনা।
তবে আপনার অধিনস্ত হলে আপনি তাদের অভিভাবক হলে আপনাকে নিষেধ করতেই হবে।
(১১)
গুনাহ হবেনা।
(১২)
এতে আপনার ইমান চলে যাবেনা।
গুনাহ হবেনা।