ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
কোনো সাজসজ্জা হারাম হওয়ার ব্যাপারে যতক্ষণ পর্যন্ত দলিল পাওয়া যাবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত তা বৈধ। আর হারাম হওয়ার দলিল পাওয়া গেলে তা অবৈধ। কেননা, বস্তুর মূল হচ্ছে, বৈধতা। আল্লাহ তাআলা বলেন,
قُلْ مَنْ حَرَّمَ زِينَةَ اللّهِ الَّتِيَ أَخْرَجَ لِعِبَادِهِ وَالْطَّيِّبَاتِ مِنَ الرِّزْقِ
আপনি বলুন, আল্লাহর সাজসজ্জাকে, যা তিনি বান্দাদের জন্যে সৃষ্টি করেছেন এবং পবিত্র খাদ্রবস্তুসমূহকে কে হারাম করেছে? (সূরা আ’রাফ ৩২)
সাজসজ্জার ক্ষেত্রে ক্ষতিকর বস্তু বা প্রসাধনী ব্যবহার করা যাবে না। কেননা, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, لا ضرر ولا ضرار ক্ষতি ও ক্ষতি সাধনের কোন অনুমতি নেই। (সুনানে দারাকুতনী ৩০৭৯)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি যেই ফেসওয়াশ ক্রয় করেছেন,সেটির উপাদান সম্পর্কে জানুন।
যেহেতু আপনার মনের ধারণা হচ্ছে যে এখানে হারাম উপাদান রয়েছে,তাই আপনাকে এর উপাদান হানতে হবে।
উপাদানে হারাম কিছুর কথা উল্লেখ না থাকলে সেটির ব্যবহার আপনার জন্য জায়েজ হবে।
পন্য বয়কটের দিক লক্ষ্য করে আপনি যে উক্ত দেশের প্রডাক্ট ব্যবহার না করা কথা ইচ্ছা প্রকাশ করে যেই বিষয়টি আপনি উল্লেখ করেছেন,এখানে সেটি করতে হবেনা।
কারন আপনি ক্রয় করেই ফেলেছেন,এখানে কোম্পানি তো লাভ করেছে।
আপনি যদি এখন উক্ত পন্য ব্যবহার না করে ফেলে দেন,তাহলে কোম্পানির কোনো ক্ষতি হবেনা,ক্ষতি আপনারই হবে।
তারা তো প্রডাক্টটি আপনার কাছে বিক্রয় করে লাভ করেছেই,সুতরাং আপনি উক্ত প্রডাক্ট ফেলে দিলে তাদের কোনো ক্ষতি হবেনা।