আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
208 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
আমি পূর্বে হারাম (সুদের) চাকরি থেকে পাওয়া বেতন থেকে একটি ক্ষুদ্র হালাল ব্যবসা করতেছি (মূলধন 35000 এরও কম) করতেছি, এবং তা দিয়েই পরিবারের ভরণপোষন করতেছি। আমি জানি যে, মূলধনটি হারাম, কিন্তু আমার কাছে ওটাই একমাত্র সম্বল। হারাম চাকরি থেকে অবসর নেয়ার পর থেকে আর্থিকভাবে খুবই দুরাবস্থায় আছি। এবং আমার আশেপাশের মুসলমানদের দুয়ো শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছে যে, আমি কেন হারাম চাকরি ছেড়ে দিয়েছি? সবাই হারাম খায়, সব চাকরি, সব ব্যবসায়তে হারাম মিক্স আছে। এখন নিজের মায়ের চিকিৎসা পর্যন্ত করতে পারতেছ না। ওই সুদের প্রতিষ্ঠান হলেও জবের বেতনের টাকা তো পরিশ্রমের টাকা। হারাম খেয়েও সবাই নামাজ পড়তেছে, রোজা রাখছে, হজ্জ্বে যাচ্ছে ইত্যাদি ইত্যাদি। এখন আমার প্রশ্ন হলো:

1. আমার হালাল ব্যবসার লভ্যাংশের টাকাও কি হারাম হবে। যদি হারাম হয়, তাহলে কি আসলেই কি সব চাকরি, ব্যবসায় হারাম সংযুক্ত?? মানে হালাল প্রতিষ্ঠানের মালিক যদি সুদের টাকা থেকে হালাল কাজে নিয়োজিত কর্মীকে বেতন দেয়, সেটাও কি হারাম?? সেক্ষেত্রে হালাল ভাবে কিভাবে জীবন-যাপন সম্ভব??

2. সুদের জবের বেতনের টাকা কি আসলেই আমার পরিশ্রমের টাকা ছিল?

3. হারাম জবের বেতনের টাকা দিয়ে অন্য কোন উপায় না পেয়ে তা দিয়ে বাধ্যগতভাবে জীবনযাপন করতেছি। কিন্তু বর্তমানে নতুনভাবে হারাম জব এবং আয় করা থেকে বিরত আছি। কিনতু হারাম জব ছাড়ার সময়, আমার এবং আমার ফ্যামিলির এক টাকাও হালাল টাকা জমা ছিল না। এখন ও নেই। এখন উপরিক্ত হারাম টাকা (ব্যবসার মুলধনটি) কিভাবে পরিত্যাগ করব???? আর এটি ফেলে দিলে ব্যবসা করার জন্য আবার ব্যাংক থেকে বা এনজিও থেকে লোন নিতে হবে, তাহলে তো আবার নতুনভাবে হারাম জড়াব।

4. যারা এক মুসলমান, আরেক মুসলমান কে হারাম পথে যেতে অনুপ্রাণিত করতেছে, উপদেশ দিতেছে, তাদের কি কোন গুনাহ হবে?

5. হারাম উপার্জন করেও কি মুমিন হওয়া যায়?

1 Answer

0 votes
by (712,600 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হারাম মূল দ্বারা যদি কেউ হালাল উপায়ে কিছু উপার্জন করে, যে উপার্জনের তার শ্রমও থাকবে, ফুকাহায়ে কেরামের মতে এখানে মূলধন হারাম থাকার কারণে ঐ ব্যক্তির উপার্জন হারাম হবে না। বরং হালালই থাকবে। কেননা এখানে তার হালাল শ্রম রয়েছে। এবং পদ্ধতিও হালাল ছিল। হ্যা, তার উপর ওয়াজিব,সে ঐ হারাম মূলধনকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দিবে বা সওয়াবের নিয়ত ব্যতীত সদকাহ করে দিবে। কারো সামর্থ্য থাকাবস্থায় হারাম মূলধন দ্বারা ব্যবসা করা কখনো জায়েয হবে না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/53560


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) হারাম টাকা দিয়ে হালাল ব্যবসার লভ্যাংশের টাকা হারাম হবে না।হ্যা, কেউ কেউ হারামও বলেছেন। তবে হারাম মূলধনকে সদকাহ করা,তার মালিকের নিকট পৌছিয়ে দেয়া ওয়াজিব।
হালাল প্রতিষ্ঠানের মালিক যদি সুদের টাকা থেকে হালাল কাজে নিয়োজিত কর্মীকে বেতন দেয়, সেটাও হারাম না। হ্যা, কেউ কেউ সেটাকেও হারাম বলেছেন।

(২) সুদের কাজের বেতনের টাকা পরিশ্রমের টাকা হিসেবে গণ্য হবে না।

(৩) হারাম জবের বেতনের টাকা সদকাহ করে দিবেন।যদি এই হারাম টাকা ব্যতিত আর কোনো হালাল টাকা আপনার নিকট না থাকে, তাহলে আপনি আপাতত এই হারাম মূলধন দ্বারা ব্যবসা করতে পারবেন।তবে এই হারাম মূলধনকে অবশ্যই সদকাহ করতে হবে।

(৪) যারা এক মুসলমান, আরেক মুসলমানকে হারাম পথে যেতে অনুপ্রাণিত করতেছে, উপদেশ দিতেছে, তাদের অবশ্যই গুনাহ হবে।

(৫) হারাম উপায়ে উপার্জন করলে পরিপূর্ণ মুমিন হওয়া যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,600 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...