আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
70 views
in পবিত্রতা (Purity) by (134 points)
আসসালামুআলাইকুম।


আমি যদি কোনো স্কিন এর প্রবলেম এর কারণে সবসময় আমার শরীরে কোনো না কোনো ক্ষত থেকে এক বিন্দু দুই বিন্দু করে ক্ষতের রস এসে জমে থাকে। এমন ক্ষেত্রে দেখা যায় যে আমি হঠাৎ চুলকানি ফিল হওয়ার কারণে হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখি যে রস বের হয়েছে। এই রস অনেক ক্ষুদ্র পরিমাণ এ হয়। এমনটা আমার নির্দিষ্ট কিছু পরিপ্রেক্ষিতে সবসময় এ প্রায় হয়। এত অল্প পরিমাণ এ যে আমি কখনোই বুঝতে পারিনা যে এটা কাপড়ে ঘসা লেগে ছড়িয়েছে নাকি ছড়ায়নি, কাপড়ে আদৌ লেগেছে নাকি লাগেনি। এক্ষেত্রে আমার ওয়াসওয়াসা রুগী হওয়ায় এমনটা হওয়ার কারণে প্রায় এ আমি গোসল এ করে ফেলতাম। বারবার কাপড় কে নাপাক মনে করি বারবার ধুতে হয়। এক্ষেত্রে কি করণীয় ?
1. কখনো যদি মনে হয় এটা রিসেন্ট ক্ষত ছড়ানোর কথা না তখন কি প্রবল ধারণার উপর কাপড় শরীর পাক ধরবো?
2. যখন কোনদিকে ই নিশ্চিত না হয়ে পারি তখন কি করণীয়? এটাই বেশি হয় এভাবে আমার জামা কাপড় ও নাপাক ধরতে ধরতে আর শরীর পাক করতে করতে অবস্থা খারাপ। সিউর না জন্য পাক ধরতে পারবো? নাহলে আমার ওয়াসওয়াসা আরো বেড়ে যায় সাবধানতা অবলম্বন করতে গেলে।

দয়া করে জানাবেন।

1 Answer

0 votes
by (685,200 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَنْ تَمِيمِ الدَّارِيّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْوُضُوءُ مِنْ كُلِّ دَمٍ سَائِلٍ»

‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয (রহঃ) তামীম আদ্ দারী (রাঃ)হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক প্রবহমান রক্তের কারণেই অযু করতে হবে।
(সুনানে দারা কুতনি ১/১৫৭.মিশকাত ৩৩৩)

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ক্ষত হতে পূজ/পানি যদি প্রবাহিত হয় বা বের হয়ে গড়িয়ে পড়ে,তাহলেই কেবল সেক্ষেত্রে অযু ভেঙ্গে যাবে ও সেই পানি নাপাক বলে গন্য হবে।

যদি প্রবাহিত না হয় বা গড়িয়ে না পড়ে,তাহলে অযুও ভেঙ্গে যাবেনা,সেই পানি নাপাক বলে গন্য হবেনা।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
হ্যাঁ প্রবল ধারনার ভিত্তিতে কাপড় শরীরকে পাক ধরবেন।

(০২)
প্রবল ধারনা যদি না হয়,সেক্ষেত্রে আপনি দেখবেন যে যেখানে উক্ত পূজ/পানি লেগেছে,(চিন্হ/গন্ধ ইত্যাদি দেখে কোথায় সেই পানি/পূজ লেগেছে,সেটি নির্ণয় করে দেখবেন) যে এক দিরহাম চেয়ে কম লেগেছে?
যদি এক দিরহাম চেয়ে কম লাগে,তাহলে আপনাকে কিছুই পাক করতে হবেনা।

আর যদি এক দিরহাম সমপরিমাণ হয় বা তার চেয়ে বেশি হয়,তাহলে কাপড়ের ঐ অংশ পাক করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 117 views
0 votes
1 answer 119 views
...