আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
119 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (23 points)
আসসালামু আলাইকুম,
আমি একদমই চাচ্ছি না আর জেনেরাল লাইন পড়াশোনা করতে, আমি একজন বোন। আর আমার জেনেরাল লাইন পড়াশোনা করতে খুব অসুবিধা হয় যেমন আমকে পর্দা ছাড়ার ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে কলেজ, পড়াশোনাতে প্রচুর শিরকই বিষয় আছে যা গর্বের সাথে পড়াচ্ছে খুব ইমানে লাগে বিষয়টা আর পাঠ্যপুস্তকে যত অন্যায় হয় সব যেন ইসলাম ধর্ম ব্যবসায়ীরাই করে, এভাবে উপস্থাপন করা হয়,  এছাড়াও কম্বাইন্ড এডুকেশন, আমার কাছে ফিতনা লাগে।

এই ক্ষেত্রে আমি জেনেরাল লাইন পড়াশোনা ছেড়ে মাদ্রাসায় যেতে কি পারব? নাকি এই প্রতিকূল পরিবেশে লড়াই করব? আমি এই নিয়ে সিদ্ধান্ত হীনতায় ভুগছি। আমাকে যদি উত্তর দিতেন শায়েখ। আর আমআর জন্য কোন অফলাইন মাদ্রাসাটা ভালো হবে, আমি সাভারের ক্যান্টনমেন্টে থাকি


২) আর আমি সাম্প্রতিক এক জায়গায় পোস্ট দেখলাম যে আমরা যে কাটা বা হাড় রেখে দেই খাওয়া শেষে তা যদি বিসমিল্লাহ বলে ফেলে দেই তা নাকি সদকা হয়ে যাবে জীনদের খাবার হিসেবে এইটা কি সহীহ হাদিস?

1 Answer

0 votes
by (680,960 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)

নারীরা সর্বদাই পুরপুরুষ থেকে নিজেকে আড়াল করে রাখবে।সম্পূর্ণ আড়াল করে রাখবে।নিজের অবয়ব অন্যকে আন্দাজ করতে দেবে না।আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ۚ ذَٰلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ ۚ
তোমরা তাঁর পত্নীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্যে এবং তাঁদের অন্তরের জন্যে অধিকতর পবিত্রতার কারণ।(৫৫/৩৪)

https://ifatwa.info/30426/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, ফ্রি মিক্সিং পরিবেশে কোন কোন শর্তে লেখাপড়া করা জায়েজ আছে।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ফ্রিমিক্সিং অর্থ হচ্ছে, যেখানে নারী পুরুষ অবাধে বিচরণ করে। একজন অন্যজনকে দেখতে পারে,ইচ্ছা হলে একজন অন্যজনের সাথে খোশগল্প করতে পারে,একজন অন্যজনকে অনুভব করতে পারে।এবং সেখানেই শয়তান এসে ধোঁকা দিতে সক্ষম হয়। 

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি ফ্রি মিক্সিং পরিবেশে লেখাপড়ার দরুন আপনি পূর্ণ পর্দা পালনে সক্ষম না হোন,ফিতনার প্রবল আশংকা বোধ হয়,তাহলে আপনি জেনারেল লাইন ছেড়ে দিতে পারেন।

আপনি অফলাইন মাদ্রাসার জন্য আপনার মাহরাম কোনো পুরুষ এর মাধ্যমে স্থানীয় আলেম বা ইমাম সাহেবের সাথে যোগাযোগ করে নিকটতম কোনো মহিলা মাদ্রাসায় ভর্তি হতে পারেন।

(০২)
এটা জীনদের খাবার।
বিসমিল্লাহ না বলে ফেলে দিলেও তাহা জীনেরা খাবে।

সদকার নিয়তে ফেলে দিলে ইনশাআল্লাহ সদকার ছওয়াব মিলবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّهُ كَانَ يَحْمِلُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِدَاوَةً لِوَضُوئِهِ وَحَاجَتِهِ فَبَيْنَمَا هُوَ يَتْبَعُهُ بِهَا فَقَالَ مَنْ هَذَا فَقَالَ أَنَا أَبُوْ هُرَيْرَةَ فَقَالَ ابْغِنِيْ أَحْجَارًا أَسْتَنْفِضْ بِهَا وَلَا تَأْتِنِيْ بِعَظْمٍ وَلَا بِرَوْثَةٍ فَأَتَيْتُهُ بِأَحْجَارٍ أَحْمِلُهَا فِيْ طَرَفِ ثَوْبِيْ حَتَّى وَضَعْتُهَا إِلَى جَنْبِهِ ثُمَّ انْصَرَفْتُ حَتَّى إِذَا فَرَغَ مَشَيْتُ فَقُلْتُ مَا بَالُ الْعَظْمِ وَالرَّوْثَةِ قَالَ هُمَا مِنْ طَعَامِ الْجِنِّ وَإِنَّهُ أَتَانِيْ وَفْدُ جِنِّ نَصِيْبِيْنَ وَنِعْمَ الْجِنُّ فَسَأَلُونِي الزَّادَ فَدَعَوْتُ اللهَ لَهُمْ أَنْ لَا يَمُرُّوْا بِعَظْمٍ وَلَا بِرَوْثَةٍ إِلَّا وَجَدُوْا عَلَيْهَا طَعَامًا

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উযু ও ইস্তিন্জার ব্যবহারের জন্য পানি ভর্তি একটি পাত্র নিয়ে পিছনে পিছনে যাচ্ছিলেন, হঠাৎ তিনি তাকিয়ে বললেন, কে? আমি বললাম, আমি আবূ হুরাইরাহ। তিনি বললেন, আমাকে কয়েকটি পাথর তালাশ করে দাও। আমি তা দিয়ে ইস্তিন্জা করব।  তবে, হাড় এবং গোবর আনবে না। আমি আমার কাপড়ের কিনারায় কয়েকটি পাথর এনে তাঁর কাছে রেখে দিলাম এবং আমি সেখান থেকে কিছুটা দূরে গেলাম। তিনি যখন ইস্তিন্জা হতে বেরোলেন, তখন আমি এগিয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, হাড় ও গোবর এর ব্যাপার কী? তিনি বললেন, এগুলো জ্বিনের খাবার। আমার কাছে নাসীবীন নামের জায়গা হতে জ্বিনের একটি প্রতিনিধি দল এসেছিল। তারা ভাল জ্বিন ছিল। তারা আমার কাছে খাদ্যদ্রব্যের আবেদন জানাল। তখন আমি আল্লাহর নিকট দু‘আ করলাম যে, যখন কোন হাড্ডি বা গোবর তারা লাভ করে তখন তারা যেন তাতে খাদ্য পায়। (বুখারী শরীফ ৩৮৬০.(১৫৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৭৮)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...