জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَعَبْدَةُ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ جَاءَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي امْرَأَةٌ أُسْتَحَاضُ فَلاَ أَطْهُرُ أَفَأَدَعُ الصَّلاَةَ قَالَ " لاَ إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ وَلَيْسَتْ بِالْحَيْضَةِ فَإِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ فَدَعِي الصَّلاَةَ وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ وَصَلِّي " . قَالَ أَبُو مُعَاوِيَةَ فِي حَدِيثِهِ وَقَالَ " تَوَضَّئِي لِكُلِّ صَلاَةٍ حَتَّى يَجِيءَ ذَلِكَ الْوَقْتُ "
আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আবু হুবাইশের কন্যা ফাতিমা (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি একজন ইস্তিহাযার রোগিণী, কখনও পবিত্ৰ হই না। আমি কি নামায ছেড়ে দেব? তিনি বললেনঃ “না, এটা একটা শিরার রক্ত, হায়িয নয়। যখন তোমার হায়িয শুরু হবে, নামায ছেড়ে দেবে। যখন হায়িযের সময়সীমা শেষ হবে, তোমার শরীর হতে রক্ত ধুয়ে ফেলবে (গোসল করে নেবে) এবং নামায আদায় করবে।" আবু মুআবিয়া তার বর্ণিত হাদীসে বলেন, তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, (হায়িযের মুদ্দাত শেষ হওয়ার পর) প্রত্যেক নামাযের জন্য ওযু কর (নামায আদায় কর), যতক্ষণ পরবর্তী (হায়িযের) সময় না আসে।
(সহীহ। ইবনু মাজাহ (৬২১), বুখারী ও মুসলিম,তিরমিজি ১২৫)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
যদি ইস্তেহাজার স্রাব অনবরত আসতেই থাকে,তাহলে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে অযু+নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।
আর যদি অনবরত না আসে,তাহলে অযুর পর নামাজের আগে সালোয়ার পরিবর্তন করার সময় শরীরে নাপাকি লেগে থাকলে তাহা ধুয়ে নামাজ আদায় করতে হবে।
অযু হয়ে যাবে,পুনরায় অযু করতে হবেনা।
আর সালোয়ার পরিবর্তন এর সময় শরীরে নাপাকি লেগে না থাকলে কোনো সমস্যা নেই।
(০২)
আপনার অনরবত ইস্তেহাযা আসার কারনে আপনার জন্য নাপাক সালোয়ার পড়ে তিলাওয়াত করা যাবে।
(০৩)
তাহলে তাদের ছওয়াব হবে কিনা,সেই মর্মে কোনো ফজিলত কুরআন হাদীসে নেই।
তবে আপনি চাইলে এই আমলটি করতে পারবেন।
তবে এর জন্য যেনো রোযা হয়ে না যায়।