আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
224 views
in পবিত্রতা (Purity) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম।  আমার খুব সাদা স্রাব হয়।মেডিসিন খাইলাম কিন্তু ঠিক হলোনা।  প্রতি নামাজ এর আগে সালোয়ার চেঞ্জ করে নামাজ পড়তে হয়। নামাজ পড়া শেষ হলে আগের পরিধান করা সালোয়ার আবার পরি। কিন্তু অজু করার সময়  নাপাকি সালোয়ার পড়ে অজু করি তারপর চেঞ্জ করে নামাজ পরি। এতে কোন সমস্যা হবে অজুর?? যদিও নাপাকি শুকিয়ে থাকে। ২ঃ আমি হিফয করি তো সারাদিন ফোন দেখে হিফজ করি। নাপাকি  সালোয়ার পড়ে কি তিলাওয়াত করা যাবে হিফয এর জন্য??  ৩ঃ যাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব  নয় তারা যদি কুরবানির দিন সারা দিন না খেয়ে  দিনের প্রথম খাবার গোশত খায় তাহলে কি তাদের সওয়াব হবে??  নাকি যারা শুধু কুরবানী করবে তাদের জন্যই এটা আবশ্যক??  আমার উপর কুরবানী  ওয়াজিব নয় আমি কি এই আমল টা করতে পারব??

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَعَبْدَةُ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ جَاءَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي امْرَأَةٌ أُسْتَحَاضُ فَلاَ أَطْهُرُ أَفَأَدَعُ الصَّلاَةَ قَالَ " لاَ إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ وَلَيْسَتْ بِالْحَيْضَةِ فَإِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ فَدَعِي الصَّلاَةَ وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ وَصَلِّي " . قَالَ أَبُو مُعَاوِيَةَ فِي حَدِيثِهِ وَقَالَ " تَوَضَّئِي لِكُلِّ صَلاَةٍ حَتَّى يَجِيءَ ذَلِكَ الْوَقْتُ "

আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আবু হুবাইশের কন্যা ফাতিমা (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি একজন ইস্তিহাযার রোগিণী, কখনও পবিত্ৰ হই না। আমি কি নামায ছেড়ে দেব? তিনি বললেনঃ “না, এটা একটা শিরার রক্ত, হায়িয নয়। যখন তোমার হায়িয শুরু হবে, নামায ছেড়ে দেবে। যখন হায়িযের সময়সীমা শেষ হবে, তোমার শরীর হতে রক্ত ধুয়ে ফেলবে (গোসল করে নেবে) এবং নামায আদায় করবে।" আবু মুআবিয়া তার বর্ণিত হাদীসে বলেন, তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, (হায়িযের মুদ্দাত শেষ হওয়ার পর) প্রত্যেক নামাযের জন্য ওযু কর (নামায আদায় কর), যতক্ষণ পরবর্তী (হায়িযের) সময় না আসে। 
(সহীহ। ইবনু মাজাহ (৬২১), বুখারী ও মুসলিম,তিরমিজি ১২৫)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
যদি ইস্তেহাজার স্রাব অনবরত আসতেই থাকে,তাহলে  প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে অযু+নামাজের কোনো সমস্যা  হবেনা।

আর যদি অনবরত না আসে,তাহলে অযুর পর নামাজের আগে সালোয়ার পরিবর্তন করার সময় শরীরে নাপাকি লেগে থাকলে তাহা ধুয়ে নামাজ আদায় করতে হবে।
অযু হয়ে যাবে,পুনরায় অযু করতে হবেনা।

আর সালোয়ার পরিবর্তন এর সময় শরীরে নাপাকি লেগে না থাকলে কোনো সমস্যা নেই।

(০২)
আপনার অনরবত ইস্তেহাযা আসার কারনে আপনার জন্য নাপাক সালোয়ার পড়ে তিলাওয়াত করা যাবে।

(০৩)
তাহলে তাদের ছওয়াব হবে কিনা,সেই মর্মে কোনো ফজিলত কুরআন হাদীসে নেই।

তবে আপনি চাইলে এই আমলটি করতে পারবেন।
তবে এর জন্য যেনো রোযা হয়ে না যায়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 485 views
0 votes
1 answer 945 views
...