আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
162 views
in পবিত্রতা (Purity) by (22 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ, সম্মানিত শাইখ, এক বোনের জন্য অতিদ্রুত মাসালা জানার দরকার,এর আগেওপ্রশ্ন করেছিলাম কিন্ত এখনো বুঝতেছিনা
এক বোনের সারা মাস ই হলুদ স্রাব ই যায়। (ইস্তেহাজার সমস্যা)  তো ১৫দিন পবিত্র থাকার পর যা যায় তাকেই হায়েজ হিসবে গন্য করতে বলা হয়েছে, এভাবে সর্বোচচ ১০দিন ১০রাত। তো ১হায়েজের পর ১৫দিন পবিত্র থাকার পরে, উনার যথারীতি সাধারণ নিয়মে হলুদ স্রাব ই যায়, যা সামান্য পরিমাণ। এভাবে আজ রাতে ৫দিন হবে।কোন ব্লাড দেখা যায় নি, হালকা স্রাব।।আবারঅই বোনের পিরিয়ড এর রক্ত আসার আগে মানে ১৫দিন পবিত্র থাকার পর হলুদ কে হায়েজ ধরা হলে, এর ৫/৬দিন পর হলুদ পরিবর্তন হয়ে কালচে যায়, এর কয়েকদিন পর পিরিয়ডের রক্ত আসে।পেট ব্যাথাও তখন প্রচুর থাকে।প্রশ্ন হচ্ছে উনার স্রাব এটা খুব ই সামান্য পরিমাণ যায় ১৫দিন পবিত্র থাকার পরে, এভাবে ৫দিন অতিক্রান্ত হলো, এখনো কোন রক্ত আসেনি। প্রতিমাসেই উনার এমন হয়। প্রশ্ন ২টি।(প্লিজ পুরো ব্যাপারটা মিলে খোলাসা করে উত্তর দিলে মুনাসিব হবে, আমার কথায় ভুল থাকলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী)
১)১৫দিন পবিত্রের পর এভাবেই১ম  ১০দিন হালকা হলুদ স্রাব যায়(যা নরমাল দিন গুলোতে যেমন যায় তেমন হালকা)  এভাবে ১০দিন অতিক্রম এর পর যদি ব্লাড আসে, উনি হায়েজের দিন কিভাবে ধরবে?শুধু হলুদ স্রাব যাচ্ছে এই কয়েকদিন(তাও সামান্য) উনি আপাতত নামায পড়ছেনা এইজন্য।(বলে রাখা ভাল,এই ১০দিন পর কিন্ত উনার পিরিয়ড এর মতই ব্লাড, পেট প্রচুর ব্যাথা, সব ই হয় যেমন নরমালী একজন পিরিয়ড ব্যক্তির থাকে,এই সময় উনি নামায পড়বে?)

২)বলা হয়, ১৫দিন পবিত্র এর পর যা আসে তাই হায়েজ, তো ইস্তেহাজার রোগীর (যারা কখনোই সাদা স্রাব যায় না) সে যখন ১৬তম দিনে চেক করে সামান্য ১/২ফোটা স্রাব দেখতে পাই যাতে বুঝা যায় না সেটি সাদা নাকি হলুদ,(কিন্ত অই ব্যক্তি জানে যদি যায় তাহলে সেটি হলুদ ই),তাহলে অই ব্যক্তি কি অই ওয়াক্ত থেকেই হায়েজ ধরবে?নাকি স্পষ্ট হলুদ স্রাব যখন দেখবে তখন থেকে হায়েজ ধরবে?

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,

أن النساء کن یبعثن بالکرسف إلی عائشۃ رضی اللہ تعالیٰ عنھا فکانت تقول : لا حتی ترین القصۃ البیضاء‘‘ ( المؤطأ للإمام مالک : ۱/۵۹۱ ،  : مصنف ابن عبد الرزاق، حدیث نمبر : ۱۱۵۹ )
সারমর্মঃ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ সেই সমস্ত মহিলাদের বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা দেখিতে না পাও। 
,
আরো জানুনঃ

★শরীয়তের বিধান মতে উভয় হায়েজের মাঝে কমপক্ষে ১৫ দিন তুহুর থাকবে।

(০১)
ঐ বোন, ১৬ তম দিনে যদি সাদা ব্যাতিত অন্য যেকোনো রঙ এর স্রাব দেখে,তাহলে সেই ১৬ তম দিন থেকে ১০ দিন হায়েজ ধরবে। 

আর যদি ১৬ তম দিনে সাদা স্রাব দেখে,তাহলে এটি হায়েজ নয়।
এটি ইস্তেহাজা।

(০২)
স্পষ্ট সাদা স্রাব নাকি অন্য কালারের?
বিষয়টি নির্ণয়ের জন্য প্যাড এর সহায়তা নিতে হবে।
প্যাড সাদা দেখলে সাদা স্রাব মনে করবে,এক্ষেত্রে বিষয়টি ইস্তেহাজা।

আর প্যাডে অন্য কালার স্পষ্ট আকারে দেখা গেলে সেটি ১৬ তম দিন হতে হায়েজ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...