আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
286 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (21 points)
১/গোনাহের প্রতি সন্তুষ্টি কি কুফরি?? হলে কোন ধরনের কুফরি??

২/ওয়াসওয়াশা রোগি যদি শিরক কুফরির অনিচ্ছাকৃত বা ইচ্ছাকৃত নিয়ত বুঝতে পারে না এমন পর্যায়ে থাকে তাহলে সে যদি ইচ্ছাকৃত নিয়তে কোন কাজ করে ফেলে (কোন বাক্য উচ্চারন না,সে ভাবে তার কাজের নিয়ত ঠিক নাই,প্রথমে নিয়ত ঠিক করলেও মাঝখানে বা শেষে
খারাপ নিয়ত চলে আসে)) কি তার ইমান ভেঙ্গে যাবে??

৩/সারাদিন ইমান নিয়ে সংশয়,প্রায় সময় কালেমা পাঠ,করে,,পবিত্রতা নিয়ে ও সংশয়,,সবকাজে তার চিন্তা,সগের  তুলনায় চুপচাপ,,মাঝেমধ্যে বোধশক্তি থাকেনা যে সে যে কাজ করতেসে কি নিয়তে করতেসে,,ভাল খারাপ নিয়ত ডিটেক্ট করতে পারেনা,,মনের মধ্য একাধিক দ্বিধাদ্বন্দ্ব এর চাপ থাকে,নিয়ত একটা ঠিক করতে গেলে আরেকটা ঠিক থাকেনা,,চিন্তায় চিন্তায় অস্থির,,এরা কি অসুস্থ??  শরিয়তে কি এদের জন্য ছাড় আছে??মানে এরা ইচ্ছাকৃত কুফরি শিরকি বাক্য উচ্চারন না করলেও কিন্তু( রাগবশত বা বিরক্তিতে বা শয়তানিতে পড়ে)  ইচ্ছাকৃত নিয়তের জন্য করা কাজের জন্য ইমান ভেঙ্গে যাবে??

৪/একজন দ্বিনি ভাই( সম্ভত আলেম) বলেছে  আমি ওয়াশোয়াসায় অসুস্থ।।ওয়াসওয়াশা রোগিদের জন্য ইচ্ছাকৃত ইমান ভংগকারি নিয়ত কি ধর্তব্য হবে যতদিন সুস্থ না হয়??

৫/(আল্লাহ  দয়া করে আমাকে  দুশ্চিন্তা মুক্ত ও সুস্থ করে দেবার আগ পর্যন্ত  কি সব সময় ধরে নিব """ ইচ্ছাকৃত অনিচ্ছাকৃত যতকিছু হবে হোক আমি মুসলিম আমার ইমান ভাংগে নাই।""??

৬/দিনে একাধিক বার ইমান ভাংগে আর একাধিকবার ইমান নবায়ন করে তাহলে কি একাধিক বার গোসল করতে হবে??

৭/আমি আজকে জবাব না দেয়ায় এক ব্যক্তি আমাকে এই ক্বারি সাহেব বলে ডাকে।।অন্য একজন এতে হেসে দেয়।আমি ভাবলাম আমাকে এটা ডাকছে তাই আমিও তাদের সাথে তাল মিলিয়ে হাসছি।আমার নিয়তে ইসলাম কে নিয়ে কোন খারাপ নিয়ত ছিল না,।পরক্ষনে ভাব্লাম আমি কোন কারি সাহেব কে ছোট করে ফেললাম নাকি!!!!ক্বারি সাহেব বলাতে হাসায় আমার কি ইমান চলে যাবে?
by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
আপু কিভাবে প্রশ্ন করে 
আমার একটি খুব জরুরি পশ্ন কিন্তু রেজিস্ট্রেশন করতে পারছি না ।
বারবার Emil already belongs to an account দেখায় 
by (21 points)
ওয়া আ'লাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ
এক ইমেলে রেজিস্ট্রেশন একবার করা যায় মেবি।সেই একাউন্ট দিয়েই একাধিক প্রস্ন করা যায়  ইন শা আল্লাহ 

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


শিরক খুবই মারাত্মক।  
আল্লাহ তাআলা নবীকে সতর্ক করে বলেছেন-
وَ لَقَدْ اُوْحِیَ اِلَیْكَ وَ اِلَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِكَ  لَىِٕنْ اَشْرَكْتَ لَیَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَ لَتَكُوْنَنَّ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ.

নিশ্চয় আপনার প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রতি এই ওহী প্রেরণ করা হয়েছে যে, যদি আপনি শিরক করেন তাহলে অবশ্যই আপনার সকল আমল বরবাদ হয়ে যাবে এবং নিশ্চিত আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন। -সূরা যুমার (৩৯) : ৬৫

অন্যত্র আল্লাহ আরো বলেছেন-
اِنَّهٗ مَنْ یُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللهُ عَلَیْهِ الْجَنَّةَ وَ مَاْوٰىهُ النَّارُ.
আর যে আল্লাহর সাথে শরীক করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। -সূরা মায়েদা (৫) : ৭২

আরেক আয়াতে আল্লাহ বলেছেন-
اِنَّ اللهَ لَا یَغْفِرُ اَنْ یُّشْرَكَ بِهٖ وَ یَغْفِرُ مَا دُوْنَ ذٰلِكَ لِمَنْ یَّشَآءُ وَ مَنْ یُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدِ افْتَرٰۤی اِثْمًا عَظِیْمًا.

নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করা ক্ষমা করেন না। এ ছাড়া অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। এবং যে আল্লাহর সাথে শরীক করে সে এক মহাপাপ করে। -সূরা নিসা (৪) : ৪৮

একজন মানুষ যত ভালো কাজই করুক কিন্তু সে যদি শিরক করে আল্লাহ তাআলার কাছে তার কোনো কিছুরই মূল্য নেই। এজন্য কিয়ামতের দিবসে মুশরিকরা যত ভালো কাজই নিয়ে আসুক আল্লাহ তাআলা সেগুলোকে ধুলিকণা-রূপ করে দিবেন। 

আল্লাহ তায়ালা বলেন-
وَ قَدِمْنَاۤ اِلٰی مَا عَمِلُوْا مِنْ عَمَلٍ فَجَعَلْنٰهُ هَبَآءً مَّنْثُوْرًا.

তারা (দুনিয়ায়) যা-কিছু আমল করেছে, আমি তার ফায়সালা করতে আসব এবং সেগুলোকে শূন্যে বিক্ষিপ্ত ধুলোবালি (-এর মত মূল্যহীন) করে দেব।  -সূরা ফুরকান (২৫) : ২৩
,

★নিজ আকিদাকে বিশুদ্ধ রেখে যদি কেউ কখনো শিরকী বাক্যকে অনিচ্ছায় ভুল বশত (মুখ ফসকে) বলে,তাহলে সেটা শিরিক হবে না।
তবে তওবা ইস্তেগফার করতে হবে।
আগামীতে কথা বলার সময় সর্বদায় সর্বোচ্চ থেকে কথা বলতে হবে,যাতে আর এহেন বাক্য যবান থেকে বের না হয়। 

আরো জানুনঃ 
,
ফাতাওয়ায়ে তাতারখানীয়াতে আছে

"وما كان خطأ من الألفاظ، لاتوجب الكفر، فقائله مؤمن علی حاله، و لايؤمر بتجديد النكاح، و لكن يؤمر بالإستغفار و الرجوع عن ذلك". ( كتاب أحكام المرتدين، الفصل الأول، ٧/ ٢٨٤، ط: زكريا) 
সারমর্মঃ  ভুলক্রমে কুফরী বাক্য বলে ফেললে কাফের হয়ে যায়না।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এতে ব্যাক্তি কাফের হয়ে যাবেনা।
তবে হারামকে হালাল বললে কুফরি হবে।

(০২)
এতে তার ঈমান ভেঙ্গে যাবেনা।

(৩.৪)
তারা যদি জেনে বুঝে ইচ্ছাকৃতভাবে কুফরি বাক্য বলে,তাহলে তাদের ঈমান চলে যাবে।

(০৫)
আপনি যদি জেনে বুঝে ইচ্ছাকৃতভাবে কুফরি বাক্য না হলেন,তাহলে আপনি কোনোভাবেই কাফের হয়েএ যাবেননা।

(০৬)
জী।

(০৭)
এতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (21 points)
১/ইমান ভংন কি শুধু মুখে কুফরি বাক্য উচ্চারন এর জন্য ধর্তব্য?? 

২/একদিনে একাধিক বার গোসল করা কষ্টসাধ্য হলে কি একবার গোসল করলে হবেনা??কারন ওয়াসোয়াসায় পড়া ব্যক্তি ত বুঝেনা ইমান ভাংছে কি ভাংগে নাই,,তাই একবার গোসল করে সারাদিন ইমান নবায়ন করলে কি হবে??

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...