আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
124 views
in পবিত্রতা (Purity) by (129 points)
edited by
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

মুহতারাম দুটি প্রশ্ন।

(ঘটনা বর্ণনার স্বার্থে ১ম ২য় ৩য় দিন এভাবে চিহ্নিত করা হল।)
১ম প্রশ্ন
১ম দিন দুপুর বেলা আমি বাসা থেকে বের হচ্ছিলাম একটা লম্বা সফরের জন্য(প্রায় বারোশ কিমি)

বের হবার পর রাস্তায় নতুন পিচ ঢালা দেখে ইচ্ছে করে পায়ের বুড়া আংগুল দিয়ে তাতে ঘষি।পরে ভাবি এটা চামড়ায় অযুতে পানির পৌছাতে ঝামেলা করবে কিনা।একটু দেখি চেক করি(পুরাপুরি চেক করা হয়নি) যে সামান্য কাল দাগ পড়েছে।

এরপর আমি ব্যাপারটা ভুলে যাই,অযু করি নামাজ পড়ি।

এরপর সেইদিন রাতে ফজরের আগে আগে ফরজ গোসল করি।এর মাঝে সেখানে পিচের দাগ ছিল কিনা কতটা ছিল থাকলেও তাতে পানি পৌছেছে কিনা জানিনা।এরপর ২য় দিন ও সমস্ত নামাজ আদায় করি,৩য় দিন যুহরের নামাজ পড়তে যেয়ে তখন হুট করে নামাজের মাঝে মনে হয় যে আমি পিচ এ আংগুল ঘষেছিলাম।এতদিন বিন্দুমাত্র মনে ছিল,এরপর নামাজ শেষ করে আংগুল দেখি সেখানে একটা কালো কিছু একটা,যেটা আংগুল দিয়ে খুটেও যাচ্ছিলনা,পরে দাত লাগিয়ে কামড়ে কিছুটা চামড়া তুলে সেটা তুলতে হয়।(আমি মোটামুটি নিশ্চিত এটা পিচের কিছুনা,কারণ পিচে ঘষার পর আমি ততক্ষণে ৭০০ কিমি ভ্রমণ করেছি,এরমাঝে হাটাহাটিত আছেই।অযুও করেছি।তাই এতকিছুর পর দাগ থাকাত কথানা।আর উক্ত কালোজিনিস পরে কখন লেগেছে জানিনা)

যাইহোক তখন উক্ত কালো জিনিস তুলে তৎক্ষণাৎ পায়ের আংগুল টুকু আবার ধুই,যাতে একটু আগের অযু অসম্পুর্ন থাকলেও সম্পন্ন হয়ে যায়।এরপর উক্ত যুহর নামাজ আবার পড়ে এই প্রশ্ন লিখছি।

আমার মূল প্রশ্ন,সেই পিচে পা ঘষার পর থেকে এখন অব্দি সমস্ত নামাজ/অযু/ফরজ গোসল হয়েছে কিনা।

আমি জাহেল তাই সিদ্ধান্ত নিতে পারছিনা,আমার ঘটনা বর্ণনা করলাম,আপ্নারা কিছু বলুন যাতে সেমতে বুঝতে পারি

২য়প্রশ্ন,

৩য় দিন,একটি আরিচা ঘাটে এসে ফজরের একদম শেষ মুহুর্তে পৌছি,মসজিদের অযু খানা বন্ধ ছিল,পাশে একটু দ্যুরে একটা ট্যাপ পাই,ট্যাপে অযু করি,সেখানকার(বসার জায়গা) টাইলস থেকে পানি পড়ে পাঞ্জাবিতে ছিটকে আসে।আমি এটাকে কিছু মনে না করে নামাজে দাড়াই,তাশাহুদে বসা অবস্ত্যায় খেয়াল হয় টাইলসএ সাদা দাগ ছিল।এরপর নামাজ শেষে চেক করে দেখি হ্যা সাদা দাগ ছিল।আমার পানি ফেলার আগে তা শুকনা ছিল।এটা খুব সম্ভবত পাখির পায়খানার সাদা দাগ। কি পাখি তা স্বাভাবিকভাবেই অজানা।এখন প্রশ্ন উক্ত নামাজ কি হয়েছে কাপড় কি পাক ধরব

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,
اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ
ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ
ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ} 
ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]

মুসলিম শরীফের সনদে বর্ণিত হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত হাদীস তার  উজ্জল দৃষ্টান্ত।
হাদীসটি এই,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কারো তার পায়ুপথে কিছু বের হওয়ার সন্দেহ হয়।এবং উক্ত বের হওয়া না হওয়া নিয়ে সে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়।তাহলে সে যেন মসজিদ থেকে (অজু করার নিমিত্তে) বের না হয়,যতক্ষণ না সে বায়ুর আওয়াজ শুনছে বা এর দুর্গন্ধ তার নাকে আসছে।(আল-আশবাহ ওয়ান-নাযাইর;১/৪৭)............এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/293


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
আপনি যদি নিশ্চিত না হন, যে রাস্তায় ঘষার দরুণ এই কালো দাগ লেগেছে,তাহলে আপনার পূর্বের অজু গোসল হয়েছে।
যেহেতু আপনি নিশ্চিত নন, তাই আমরা আপনাকে বলবো, পূর্বের অজু গোসল সবকিছুই বিশুদ্ধ হয়েছে। তবে নিশ্চিত হলে, পাক্কা ইয়াকিন বিশ্বাস হলে, আপনাকে অবশ্যই পূর্বের নামায দোহড়িয়ে নিতে হবে।কেননা পূর্বের অজু গোসল কিছুই আপনার হয়নি। 

(২)
উক্ত ফজরের নামাযকে দোহড়িয়ে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...