আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
156 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (87 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু
১/ কুরবানির গরুর গোস্ত পরিমাপ করা কি জায়েজ?
২/ ফিতা নিয়ে গরুর ওজন করতে কি হাট এ যাওয়া উচিত?

৩/ কুরবানির পশু ক্রয় এর ক্ষেত্রে কি বিবেচনা করা উচিত?

৪/ কাজো নজ্রুল ইসলাম এক কবিতায় লিখেছিলেন" তার ভয়ে হাবিয়া দোজখ নিভু নিভু হয়ে যায়" এটা কি সাহিত্য হিসেবে স্বাভাবিক বিবেচনা করা যায়? তার এই বিষয় নিয়ে সমালোচপ্না করা যাবে কি?

৫/ ব্যবসায় চাকুরীর চেয়ে নয় গুণ বরকত রয়েছে এটি কট্টুকু সত্য?

৬/ কোনো খারাপ কাজ বা চেতনা মন থেকে ঘৃনা করাই কি যথেষ্ট? নাকি এরজন্য সরাসরি বলা বা করা উচিত?
৭/ উচ্চপদস্থ কাওকে কিংবা বয়সে বড় কাওকে কি ভুল শুধ্রে দেওয়া যেতে পারে?

৮/ ইসলাম এ উগ্রবাদী কাদের বলা হয়?

৯/ "ইবাদুর রহমান তারা যারা তর্ক এড়িয়ে যায়" এই আয়াত এর ব্যাখ্যা কি? এখানে কোন ধরণের তর্ক বোঝানো হয়েছে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
পরিমাপ করা নাজায়েয নয়।তবে কথা হল, আপনি কি করবেন পরিমাপ করে?

(২)
ফিতা দিয়ে মাপা অনর্থক কাজ।

(৩)
নিখুত রয়েছে কি না?  সেটাই বিবেচনা করবেন।

(৪)
জ্বী, সমালোচনা করতে পারবেন।

(৫)
জ্বী, এটা সত্য কথা।
عليكم بالتجارة فإن فيها تسعة أعشار الرزق
তোমাদের জন্য ব্যবসা করা উচিৎ।কেননা রিযিকের দশ ভাগের নয় ভাগ ব্যবসাতে রয়েছে।(মসনদে সাইদ ইবনে মনসুর)
অবশ্য হাদীসের সনদে কালাম রয়েছে।

(৬)
মন থেকে ঘৃণা তখন যথেষ্ট যখন হাত বা মুখ দ্বারা সম্ভব নয়।
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ  ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "
নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম-৭৩)

(৭)
জ্বী, হেকমতের সাথে শুধরে দেওয়া যাবে।

(৮)
যারা ফিতনা ফাসাদ করে। দ্বীন প্রতিষ্টার করতে যারা বাধা দেয়।তারাই উগ্রবাধী।

(৯)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«أَنَا زَعِيمٌ بِبَيْتٍ فِي رَبَضِ الْجَنَّةِ لِمَنْ تَرَكَ الْمِرَاءَ وَإِنْ كَانَ مُحِقًّا، وَبِبَيْتٍ فِي وَسَطِ الْجَنَّةِ لِمَنْ تَرَكَ الْكَذِبَ وَإِنْ كَانَ مَازِحًا وَبِبَيْتٍ فِي أَعْلَى الْجَنَّةِ لِمَنْ حَسَّنَ خُلُقَهُ»
আবূ উমামা (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ন্যায়সঙ্গত হওয়া সত্ত্বেও ঝগড়া পরিহার করবে আমি তার জন্য জান্নাতের বেষ্টনীর মধ্যে একটি ঘরের যিম্মাদার; আর যে ব্যক্তি তামাশার ছলেও মিথ্যা বলে না আমি তার জন্য জান্নাতের মাঝখানে একটি ঘরের যিম্মাদার আর যে ব্যক্তি তার চরিত্রকে সৌন্দর্যমন্ডিত করেছে আমি তার জন্য জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে অবস্থিত একটি ঘরের যিম্মাদার।[সুনানে আবি দাউদ-৪৮০০)
তবে হক্বের আওয়াজ উত্তোলন করার সময় হকের কথা বলা নিষেধ নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...