জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বৈধ কোনো কাজে কাউকে রেফার করে তাহা হতে কমিশন গ্রহন জায়েজ।
তবে রেফারের রেফার এর কমিশন গ্রহন জায়েজ নয়।
কেননা এখানে শ্রম ছাড়া বিনিময় হচ্ছে,যাহা জায়েজ নয়।
কুরআনুল কারীমের আয়াত-
لا تاكلوا اموالكم بينكم بالباطل
এর ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বলেছেন, أن يأكله بغير عوض (শর্তযুক্ত আকদে) বিনিময়হীন উপার্জনই হল বাতিল পন্থার উপার্জন। (আহকামুল কুরআন, জাসসাস ২/১৭২)
হযরত হাসান বসরীসহ অন্যান্য অনেক তাফসীরবিদও আয়াতটির একই ধরনের তাফসীর করেছেন (দ্রষ্টব্য: রূহুল মাআনী ২/৭০, ৫/১৫; তাফসীরুল মানার ৫/৪০)
.
شعب الإيمان (2/ 434):
" عَنْ سَعِيدِ بْنِ عُمَيْرٍ الْأَنْصَارِيِّ، قَالَ: سُئِلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُّ الْكَسْبِ أَطْيَبُ؟ قَالَ: " عَمَلُ الرَّجُلِ بِيَدِهِ، وَكُلُّ بَيْعٍ مَبْرُورٍ ".
সারমর্মঃ
রাসুলুল্লাহ সাঃ নিজের হাতের কামাইকে উত্তম কামাই বলে আখ্যায়িত করেছেন।
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ""দ্বিতীয় উপায়টি হলো শেয়ার মাধ্যম, অর্থাৎ আপনি আপনার দলে যতগুলা লোক ঢুকাবেন, এর বিনিময়ে আপনার কমিশন বৃদ্ধি পাবে। তাদেরকে কাজটা সম্পর্কে বোঝাতে হবে এবং শেখাতে হবে পরবর্তী যদি কোন সমস্যা হয় এটার মোকাবেলা করতে হবে সাধ্যের মধ্যে""
এখানে যদি বিষয়টি এমন হয় যে আপনি তাদেরকে এই কাজে যুক্ত করানোর দরুন কমিশন পেলেন,এরা আবার পরবর্তীতে কাউকে এই কাজে যুক্ত করলে তাহা হতেও আপনি কমিশন পাবেন,তাহলে এটিকে রেফারের রেফার বলা হবে।
যাহা হতে কমিশন নেয়া জায়েজ নেই।
,
তবে যদি এখানে পদ্ধতি সেটি না হয়,বরং আপনি যাকে এই কাজে যুক্ত করবেন,শুধু তার বিনিময়েই কমিশন পাবেন,তারা কাউকে যুক্ত করালে আপনি আর কমিশন পাবেননা।
আপনি কাউকে যুক্ত করার পর আপনাকে যে যুক্ত করিয়েছে, সে কমিশন পায়না,আপনিই শুধু কমিশন পান।
তাহলে এক্ষেত্রে বৈধ কাজে কাউকে যুক্ত করানোর ফলে উক্ত কমিশন গ্রহন জায়েজ হবে।