আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
364 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)

আসসালামু আলাইকুম। 
কোন অঞ্চলে মুসলিমদের উপর কাফিররা আক্রমণ করলে তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মুসলিমদের উপর জিহাদ ফরয হয়ে যায়।আমাদের সীমানার ঠিক ওপারেই রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর নৃশংস আগ্রাসন চালাচ্ছে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সামরিক বাহিনী।আমাদের উপর কি মিয়ানমারের সাথে জিহাদ করা ফর‍য হয়নি?

জিহাদ একটি রাষ্ট্রীয় ইবাদাত।জিহাদ করতে হয় শাসকের নেতৃত্বে।খুব সম্ভবত  ২০১৫ অথবা ২০১৬ এর দিকে রোহিঙ্গা ক্রাইসিস শুরু হয়। এখন ২০২০।মাঝের এই এতগুলো বছরে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে একটিও সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে বলে আমার জানা নেই।  

www.globalfirepower.com এর র‍্যাংকিং অনুযায়ী সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের অবস্থান ৩৫তম,আর বাংলাদেশের অবস্থান ৪৬তম।ব্যবধান কিন্তু খুব বেশি না।কাজেই "প্রতিপক্ষ অতি শক্তিশালী" এই অজুহাত ও আমরা দেখাতে পারছিনা।

এখন ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে তো এমনটাই মনে হচ্ছে যে আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে একটি ফরয লঙ্ঘন করছি।আমাদের সরকারের, সামরিক বাহিনীর এবং সাধারণ বেসামরিক নাগরিকদের এখন কী করা উচিত,এসম্পর্কে কিছু বলুন।

by (3 points)
একটি ফাতওয়ায় বলা হয়েছে,
"জিহাদ সাধারণত ফরযে কেফায়া।কিন্তু কোনো শহরে কাফিররা আক্রমন করলে সেই শহরের প্রত্যেকের জন্য তখন প্রতিহত করা এবং শত্রুর বিরুদ্ধে জিহাদ করা ফরযে আইন।তবে অন্যান্য শহরের মুসলিম অধীবাসীদের জন্য তখন ফরযে কেফায়া।ফরযে কেফায়ার দায়িত্ব আদায় করার জন্য সরকার বা রাষ্ট্র প্রধানের হুকুম বা অনুমতির প্রয়োজন নেই।"

তাহলে বাংলাদেশের বেসামরিক জনগণের কি নিজ উদ্যোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জিহাদ শুরু করা উচিত নয়? 

1 Answer

0 votes
by (566,640 points)
edited by
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


সাধারণ মাস'আলা মাসাঈল আয়ত্বে না থাকার কারণে দৈনন্দিন জীবনে দ্বীন ইসলাম পালন করতে যে সমস্ত দ্বীনি ভাই,বোন আটকে যান, যাদের দ্বীনি ইলম অর্জনের কাছাকাছি কোনো নির্ভরযোগ্য মাধ্যম নেই,মূলত তাদেরকে দিকনির্দেশনা দিতেই আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস।

দ্বীনের পরিধি অনেক ব্যাপক।সকল বিষয়ে আলোচনা করা বা দিকনির্দেশনা দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না।চেষ্টা করলেও সম্ভব হবে না। প্রত্যেক বিষয়ে আমরা সামান্য আলোকপাত করে থাকি।

জাযাকাল্লাহ, আপনার প্রশ্নটির জন্য। 

উপরোক্ত প্রশ্নটির ব্যাপারে উলামায় কেরামের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। মতবিরোধপূর্ন প্রশ্নগুলো উত্তর দেওয়ার জন্য স্থান, কাল, পাত্র অনেক কিছু জানার প্রয়োজন হয়। যেটা অনলাইনে জানা সম্ভব নয়। 
তাই এই প্রশ্নগুলোর উত্তরের জন্য আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট উলামায় কেরামের সাথে যোগাযোগ করলে ভালো হয়।

ইলম অর্জনের জন্য সফর করা জরুরী।তথা কষ্ট করে ইলম অর্জন করাই আমাদের পূর্বপুরুষদের রীতি ও নীতি। সুতরাং আপনাকে বলবো, আপনি বিস্তারিত জানতে কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করুন।

আল্লাহ আপনার ইলম অর্জনের স্পৃহাকে আরো বাড়িয়ে দিক। আমীন।

প্রত্যেকটা বিষয়ে প্রথমে নিম্নের হাদীসকে লক্ষ্য করবেন।

হাসান ইবনে আলী রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে।

ﻭﻋﻦ ﺍﻟﺤَﺴَﻦِ ﺑﻦ ﻋَﻠﻲٍّ ﺭﺿﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﺣَﻔِﻈْﺖُ ﻣِﻦْ ﺭَﺳُﻮﻝ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﷺ : « ﺩَﻉْ ﻣَﺎ ﻳَﺮِﻳﺒُﻚَ ﺇِﻟﻰ ﻣَﺎ ﻻ ﻳﺮِﻳﺒُﻚ » ﺭﻭﺍﻩُ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ﻭﻗﺎﻝ : ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ ﺻﺤﻴﺢٌ 

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি।তিনি বলেন,সন্দেহ যুক্ত জিনিষকে পরিহার করে সন্দেহমুক্ত জিনিষকে গ্রহণ করো।(সুনানু তিরমিযি-২৪৪২)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 1,691 views
...