আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
112 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম,

১. যদি সূর্যোদয় ৬:৩৮ এ হয় তবে ইশরাকের নামাজ কয়টার সময় থেকে পড়তে হবে?

২. কোনো মুসলিম ভুখন্ড কুফফার শক্তি কর্তৃক আক্রান্ত হলে সেখানে থাকা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জিহাদ ফরজ। আর তারা অক্ষম হলে পার্শ্ববর্তী দেশের মুসলমানদের জন্য জিহাদ ফরজ। সে হিসাবে কী আমাদের জন্য জিহাদ ফরজ? আর এই ফরজ কীভাবে আদায় করতে হবে?

৩. গুরাবাদের সম্পর্কে কিছু বলুন।

৪. ইসলামে রাজতন্ত্র কি জায়েয?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ইশরাকের নামায হল সেই নামায যা সূর্যোদয়ের পর পড়া হয়ে থাকে।
ইশরাকের নামাযই কি দোহার নামায?এ সম্পর্কে মতবেদ রয়েছে।কেউ কেউ উভয়টিকে একই নামায হিসেবে গণ্য করে থাকেন।আবার কেউ কেউ উভয়টিকে পৃথক পৃথক নামায হিসেবে গণ্য করে থাকেন।(বিস্তারিত জানুন,আল মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-২৭/২২১) ইশরাক এবং দোহার নামাযের রাকাত সংখ্যা ও সময় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1929

হযরত আনাস রাযি,থেকে বর্ণিত
(مَنْ صَلَّى الْغَدَاةَ فِي جَمَاعَةٍ ثُمَّ قَعَدَ يَذْكُرُ اللَّهَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ ، ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ ، كَانَتْ لَهُ كَأَجْرِ حَجَّةٍ ، وَعُمْرَةٍ ، تَامَّةٍ ، تَامَّةٍ ، تَامَّةٍ)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি জামাতের সাথে ফজরের নামায পড়বে,অতঃপর সূর্যোদয় পর্যন্ত বসে আল্লাহর যিকিরে লিপ্ত থাকবে,তারপর দু'রাকাত নামায পড়বে,তাহলে সে একটি হজ্ব ও একটি উমরার সওয়াব পাবে।এরপর তিনি তাকিদ করে বলেন,হ্যা পূর্ণ হজ্ব ও উমরার সওয়াব সে পাবে।(সুনানু তিরমিযি-৫৮৬)

এই হাদীস সম্পর্কে মতবেদ রয়েছে।কেউ কেউ দুর্বল বলেছেন।আবার কেউ কেউ হাসান বলেছেন।
আলবানি রাহ এ হাদীসকে হাসান বলেছেন।

( أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا صَلَّى الْفَجْرَ جَلَسَ فِي مُصَلَّاهُ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ حَسَنًا )
রাসূলুল্লাহ সাঃ ফযরের নামাযের পর পপরিপূর্ণ সূর্যোদয়ের পর্যন্ত মুসল্লায় বসে থাকতেন।(সহীহ মুসলিম-৬৭০)উক্ত হাদীসে নামায পড়ার কথা বর্ণিত হয়নি।

হাদীসের ভাষ্যমতে উক্ত ফযিলত ঐ ব্যক্তির সাথেই খাস মনে হচ্ছে, যে ব্যক্তি ফজরের নামায জামাতের সাথে পরে মসজিদে বসে থেকে সূর্যোদয়ের পর ইশরাকের নামায পড়বে।

সাধারণ নিয়ম হল,কথা না বলে ইশরাক পড়া।
তবে যদি কোথাও মনের অজান্তে দ্বীনি কথাবার্তা শুরু হয়ে যায়,
তাহলে আশা রাখা যায় যে, কে ব্যক্তি হাদীসে বর্ণিত সওয়া পাবে।

তবে নিয়মিত এমনটা করা যাবে না, আর করলে সে সওয়াব পাবে না ।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/4006

২,৩,৪ নং প্রশ্নের জবাব আপনি স্থানীয় কোনো আলোমদের কাছ থেকে জেনে নিন। আমাদের কাছে জানতে হলে, আমরা পরবর্তীতে রেফারেন্স সংগ্রহ করে
জানাবো।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 1,468 views
...