ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/16492 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
নাপাক পানি : এমন প্রবহমান পানি, যাতে নাপাকি পড়ার কারণে পানির রং, ঘ্রাণ বা স্বাদ পরিবর্তন হয়ে গেছে। অথবা আবদ্ধ অনেক পানি, যাতে নাপাকি পড়ার কারণে সব দিকের পানির রং, ঘ্রাণ বা স্বাদ বদলে গেছে। অথবা আবদ্ধ অল্প পানি, যাতে নাপাকি পতিত হয়েছে। এসব পানি দিয়ে অজু ও গোসল জায়েজ হবে না। কোনো নাপাক বস্তুও পবিত্র করা যাবে না।(শেষ)
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত।
عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ، قال: سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْمَاءِ وَمَا يَنُوبُهُ مِنَ الدَّوَابِّ وَالسِّبَاعِ، فَقَالَ: إِذَا كَانَ الْمَاءُ قُلَّتَيْنِ، لَمْ يَحْمِلِ الْخَبَثَ .
'তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে পানি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলো আর যে পানিতে কোন কোন সময় চতুস্পদ জন্তু ও হিংস্র পশু নামে, সে সম্পর্কেও। তিনি বললেন, যখন পানি দুই “কুল্লা” পরিমাণ হয় তখন তা অপবিত্র হয় না।(সুনানে নাসায়ী-৩২৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
উক্ত হাদীস দ্বারা বুঝা যায় যে, পানি যদি দুই কুল্লা(বিশেষ একটা পরিমাণ যা বেশী বুঝায়) না হয়, তাহলে উক্ত পানিতে সামান্য নাজাসত পড়লে সেই পানি নাপাক। সুতরাং গোসলের সময়ে যদি আপনার সর্বদা প্রস্রাব বের হয়ে থাকে যেমনটা আপনি প্রশ্নে উল্লেখ করেছেন, এবং লিঙ্গ চুয়ে পানি বালতিতে পড়ে, তাহলে বালতির পানি নাপাক হিসেবে বিবেচিত হবে।