আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
81 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)
edited by
বিকাশে অ্যাকাউন্ট খোলার সময় তারা তাদের কিছু টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস তুলে ধরে এবং তাতে সম্মতি প্রদান করতে বলে । এর মধ্যে একটি টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন হলো ...

(বাংলাদেশের প্রচলিত আইন, বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারিকৃত মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস সরবরাহের জন্যে প্রযোজ্য বিধি, বিধান, নীতিমালা, সার্কুলার, এবং আদেশ/নির্দেশ অনুযায়ী বিকাশ সেবা এবং বিকাশ একাউন্ট-এর লেনদেন/কার্যক্রম পরিচালিত হবে। বিকাশ গ্রাহক উক্ত বিধি, বিধান, নীতিমাল সার্কুলার প্রভৃতি মেনে চলতে বাধ্য থাকবেন।)

(নাউজুবিল্লাহ)

পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য তারা এই টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস গুলোর নিচে আবার (আমার সম্মতি আছে) লিখা বাটনে ক্লিক করতে বলে।

(নাউজুবিল্লাহ)

অর্থাৎ, যা বুঝা যাচ্ছে তাদের এই সার্ভিস পরিচালিত হবে মানবরচিত কুফরী আইন দ্বারা এবং তারা তাদের সার্ভিসে অ্যাকাউন্ট খুলার জন্য আবার এতে সম্মতি প্রদান করতে বলে ।

(নাউজুবিল্লাহ)

তাহলে কি বিকাশে অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে বিরত থাকতে হবে ও সেটা বয়কট করতে হবে?


(মানবরচিত কুফরী আইন আমরা প্রত্যাখ্যান করি) ।

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


শরীয়তের বিধান মতে সুদ হারাম।
চাই ব্যাংকের মাধ্যমে সুদ গ্রহণ করা হোক বা অন্য কোনো মাধ্যমে সুদকে গ্রহণ করা হোক।সবই হারাম ও নাজায়েয।

সুদ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন-

ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳَﺄْﻛُﻠُﻮﻥَ ﺍﻟﺮِّﺑَﺎ ﻻَ ﻳَﻘُﻮﻣُﻮﻥَ ﺇِﻻَّ ﻛَﻤَﺎ ﻳَﻘُﻮﻡُ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻳَﺘَﺨَﺒَّﻄُﻪُ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤَﺲِّ ﺫَﻟِﻚَ ﺑِﺄَﻧَّﻬُﻢْ ﻗَﺎﻟُﻮﺍْ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟْﺒَﻴْﻊُ ﻣِﺜْﻞُ ﺍﻟﺮِّﺑَﺎ ﻭَﺃَﺣَﻞَّ ﺍﻟﻠّﻪُ ﺍﻟْﺒَﻴْﻊَ ﻭَﺣَﺮَّﻡَ ﺍﻟﺮِّﺑَﺎ ﻓَﻤَﻦ ﺟَﺎﺀﻩُ ﻣَﻮْﻋِﻈَﺔٌ ﻣِّﻦ ﺭَّﺑِّﻪِ ﻓَﺎﻧﺘَﻬَﻰَ ﻓَﻠَﻪُ ﻣَﺎ ﺳَﻠَﻒَ ﻭَﺃَﻣْﺮُﻩُ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻭَﻣَﻦْ ﻋَﺎﺩَ ﻓَﺄُﻭْﻟَـﺌِﻚَ ﺃَﺻْﺤَﺎﺏُ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ ﻫُﻢْ ﻓِﻴﻬَﺎ ﺧَﺎﻟِﺪُﻭﻥَ

যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়।
তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত!
অথচ আল্লা’হ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন।
অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল।
আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। (সূরা বাকারা-২৭৫)


বিকাশ যেহেতু টাকা আদান প্রদানের কাজ করে থাকে, এবং এটাই বিকাশের মূখ্য উদ্দেশ্য।হয়তো তাতে সুদের কিছু সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।তবে তা নিতান্তই কম।সুতরাং বিকাশ একাউন্ট খোলা জায়েজ আছে, অনুমোদন রয়েছে।

আরো জানুনঃ   

মানবরচিত আইন দ্বারা যে রাষ্ট্র পরিচালিত হয়,সেখানে সরকারী যেকোনো বৈধ চাকুরী করা জায়েজ আছে,এ সংক্রান্ত জানুনঃ  

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
যেহেতু মানবরচিত আইন দ্বারা যে রাষ্ট্র পরিচালিত হয়,সেখানে সরকারী যেকোনো বৈধ চাকুরী করা জায়েজ আছে,সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতেও বিকাশ একাউন্ট খোলা জায়েজ আছে।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...